পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৪

SN রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ তাহা হইতে সে সমযকার অনেক বিবরণ জানিতে পারা যায়। ইহার কনিষ্ঠ সহোদর শ্ৰীনাথ শিকদার বামতনু লাহিডী মহাশয়ের সহপাঠী ও তাহার প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন। তাহাব সহিত লাহিড়ী মহাশয় সর্বদা ইহাদের বাড়ীতে বেডাইতে যাইতেন, তখন রাধানাৰ্থেব জননী পুত্ৰনির্বিবশেষে তাহাকে যত্ন করিতেন। সেই অকৃত্ৰিম স্নেহ ও সদাশযতার স্মৃতি চিরদিন লাহিড়ী মহাশয়েব মনে মুদ্রিত ছিল। রাধানাথ যে শ্রেণীতেই উন্নীত হইতেন সেই শ্রেণীতেই অগ্রগণ্য বালকদিগের মধ্যে স্থান প্ৰাপ্ত হইতেন। প্ৰথম শ্রেণীতে আসিযাই বাধানাথ তৎকালের বীতি অনুসারে ষোল টাকা বৃত্তি পাইয়াছিলেন। সমুদয় শিক্ষণীয বিষযের মধ্যে গণিতেব প্রতি তাতার বিশেষ মনোযোগ ছিল। " সে সময়ে ডাক্তার টাইটুলার (Dr. Tytler) নামে হিন্দু কলেজে একজন প্ৰসিদ্ধ শিক্ষক ছিলেন। এই ডাক্তাব টাইটুলাব সে সমযকাব উৎকেন্দ্ৰ ব্যক্তিদিগের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য বলিয়া পরিগণিত ছিলেন । বামমোহন রায্যের গ্রন্থাবলীব মধ্যে ডাক্তার টাইটুলীবের সহিত বিচােব বলিযা যে সকল বিচার দৃষ্ট হয তাহা বোধ হয ইহাবই সঙ্গে ঘটিষাছিল। ইহার বিষয়ে এইরূপ শোনা যায যে, ইনি সংস্কৃত ভাষা পাঠ করিতে ও শুনিতে বন্ড DDDBDBDS DBDBDDBDS SYDDS YBBDT TDBD S BDBB BB D EB YYY কবিয না আসিত সে সেদিন ডাক্তাব টাইটলাবকে প্ৰবঞ্চনা কবিবাব এক উপায বাহির কারিত । তাতাকে শুনাই যা কোনও সংস্কৃত উদ্ভট কবিতাব এক চবণ আবৃত্তি কবিত। আমনি ডাক্তাব টাইটুলাব তন্মষ হইযা জিজ্ঞাসা করিতেন—“কি, কি, আবার বল, সমগ্ৰ কবিতাটা বল”। এইরূপে কবিতা শুনিতে ও তাহার অর্থ বুঝিতে সমষটা কাটিয যাইত, বালক নিস্কৃতি লাভ কবিত। সহবে এবৰূপ জনশ্রুতি আছে যে, তিনি নাকি একবার নিজের পুত্ৰেব ছাগলের গাডি চডিয়া গড়ের মাঠে বাহিব হইয়াছিলেন। ডাক্তার টাইটুলার একজন পণ্ডিত লোক ছিলেন। গণিত বিদ্যান্য তাহাব মত সুপণ্ডিত লোক তখন কলিকাতাতে ছিল না। বাধানাথ টাইট্ৰলাবেব নিকটে গণিত বিদ্যাতে পাবিদর্শী হইয়াছিলেন। র্তাহার নিকটে নিউটন-প্ৰণীত সুপ্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থ “প্রিন্সিপিয়া’ পডিয়াছিলেন। ডিবোজিও যখন একাডেমিক এসোসিয়েশন স্থাপন কবিলেন, তখন কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ প্ৰভৃতিব ন্যান্য রাধানাথও তাহাতে যোগ দিলেন ; এবং ডিরোজিওর শিন্যদলের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তি হইয়া উঠিলেন। তঁাহাব দেহে যে প্ৰকার বল, মনে সেইরূপ সাহস ছিল । তিনি বাক্যে যাহা বলিতেন। কাজেও সেই প্ৰকার কবিতেন ; কাহাকেও ভয় বা কাহারও মুখাপেক্ষা করিতেন না। তিনি যে স্বীয় হৃদয়স্থিত বিশ্বাসানুসারে সর্বদা কাৰ্য্য করিতেন, তাহার একটি প্রমাণ এই যে, কেহই