পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jeta 9fice .) পারিয়া খামাচরণ সরকার মহাশয় একটু অবস্থার উন্নতি করিতে পারিলেই চলিয়া যান ; এবং দেওয়ানজী যে অল্পদিন ছিলেন তাহাতেই তাহার শরীর ভাঙ্গিয়া যায় ; এবং তঁহাকে মেডিকেল কালেজ ছাড়িতে বাধ্য হইতে হয়। দেশে গিয এক মাস সাবধানে থাকিয়া। তবে তাঁহায় *ांदौद्ध गां८द्ध । DDD DDDD LDDLDLDB BDBBDBD DBDDBD LOTD DD DDBuBDDD স্নেহ যত্নেব পরিসীমা ছিল না। কালীচরণ লাহিড়ী মহাশয় উত্তরকালে বন্ধুবান্ধবকে একটি ঘটনার কথা সর্বদা বলিতেন এবং বলিবার সময়ে তাহার চক্ষু জলে পুর্ণ হইত। একবার পরীক্ষার কযেক মাস পুর্বে কালীচরণ বাবুব চক্ষে এক প্ৰকার পীড়া হয়, সে জন্য তাহাকে চক্ষুদ্বয় ব্যবহার কবিতে নিষেধ কবিয়া দেওয়া হয়। পরীক্ষা সন্নিকট, অথচ পডিতে নিষেধ, এই সঙ্কটে ভ্ৰাতৃবৎসল রামতনু বাবু এক উপায় অবলম্বন কবিলেন। তিনি প্ৰতিদিন কালেজ হইতে পড়াইয়া আসিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা কালীচরণের শয্যাপার্থে বসিয়া তঁহার পাঠ্য সমুদয় গ্ৰন্থ পড়িয়া শুনাইতেন ; ক্লান্তি বোধ করিতেন না। এইরূপে কালীচরণ বাবু পরীক্ষাতে উৰ্ত্তীর্ণ হইতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এই সমষের আর একটি স্মৰণীয় ঘটনা, তাহার জ্যেষ্ঠ সহোদর কেশব চন্দ্রের যশোহাব গমন। কেশব জজের সেবেস্তাদারেব পদে উন্নীত হইয়া আলিপুব হইতে যশোহরে গমন করেন। ঠিক কোন সালে যশোহব গিয়াছিলেন তাহা জানা যায় না ; কিন্তু সেখানে গিয়া অধিক দিন সুখে যাপন করিতে পারেন নাই। এরূপ শোনা যায, তিনি সেখানে গিয়া অল্পদিন পবেই ম্যালেরিয়া জরে আক্রান্ত হইযা নিজেব কাৰ্য্যের সাহায্যাৰ্থ বাধাবিলাসকে যশোহবে লইযা যান। ১৮৩৫ কি ১৮৩৬ সালে যশোহবে ম্যালেরিয়া জর প্রথম দেখা দেয় । অতএব তিনি ১৮৩৪ কি ১৮৩৫ সালে সেখানে গিয়া থাকিবেন । যশোহরে ম্যালেরিয়া জ্বরের প্রথম প্ৰাদুর্ভাবের ইতিবৃত্ত এই যে, ১৮৩৫ কি ১৮৩৬ সালের শীতকালে পাঁচ শত কি সাত শত কয়েদী যশোহরের সন্নিকটে একটি রাস্তা নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিল। ঐ বাস্তাটি যশোহর হইতে মহম্মদপুর দিযা ঢাকার অভিমুখে যাইবে এইরূপ স্থিব ছিল। মহম্মদপুরে নদীর অপর পারের কাজ শেষ হইলে, পর বৎসর জানুয়ারি মাসে কয়েদীগণ নদী পার হইয়া মহম্মদপুরের পারে কাজ আরম্ভ করিল। তাহারা রামসাগর ও হরেকৃষ্ণপুরের মধ্যস্থিত রাস্তা প্ৰস্তুত করিতেছে, এমন সময়ে মার্চ মাসে হঠাৎ তাহদের মধ্যে এক প্রকার জর দেখা দিল ; এবং অল্পদিনেই প্ৰায় দেড়শত মজুরের মৃত্যু হইল। যাহারা মজুর খাটাইতেছিল তাহারা প্ৰাণ ভয়ে কাজ ছাড়িয়া পলাইল ;