পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ইংরাজদিগের সাহায্য প্রার্থনা করা স্থিরীকৃত হয়। কোনও কোনও ইতিহাস লেখক এই কথার প্রতিবাদ করিয়াছেন। তাহারা বলেন কৃষ্ণচন্দ্রের এই মন্ত্রণা সভার সহিত যোগ ছিল না । কিন্তু ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত-লেখক বলিয়াছেন কৃষ্ণনগরেব রাজবাটীতে এ প্ৰবাদ চলিত আছে, যে পলাসী যুদ্ধের পর ক্লাইব সাহেব কৃষ্ণচন্দ্ৰকৃত সাহায্যের প্রতিদানস্বরূপ তাহাকে পাচটি কামান উপহার দিয়াছিলেন। সে পাচটি কামান অদ্যাপি কৃষ্ণনগরের রাজবাটীতে বিদ্যমান vale | নবাব সিবাজদ্দৌলা নিহত হইলে আলিবর্দী খাঁর জামাতা মীরজাফর তদীর্ষ সিংহাসনে আবোহণ করিলেন । এই সময় হইতে ইংরাজগণ বাঙ্গালার প্ৰকৃত শাসনকৰ্ত্ত হইলেন বটে, কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্রের দুঃখ সম্পূৰ্ণৰূপে ঘুচিল না। মীরজাফর অল্পদিনের মধ্যেই স্বীয পুত্র মীবণকে রাজকীযপদে অভিষিক্ত কবিয়া নিজে বাজাকাৰ্য্য হইতে অবস্থিত হইলেন । ১৭৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দে বজাঘাতে মীবণের মৃত্যু হইল , এবং মীবাজাফরেব জামাতা মীরকাসিম নবাবেব পদে প্ৰতিষ্ঠিত হইলেন । ইংরাজিদিগোিব সহিত মীরকাসিমেব মনোবাদ ঘটে। তিনি ইৎবাজদিগেব রাজধানী হইতে অপেক্ষারুত দূরে থাকিবার আশায় মুঙ্গেরে স্বীয় রাজধানী স্থাপন কবেন। ইহাব পাবে তিনি দেশের মধ্যে যে যে বড লোককে ইংবা জদের বন্ধু মনে করিতেন, বা ইংরাজদিগকে তুলিবাব পক্ষে সহায় বলিয়া বিশ্বাস কবিতেন, তাহাদিগকে পবিয়া মুঙ্গে বেব দুৰ্গে বন্দী ও হত্যা করিতে প্ৰবৃত্ত হন । তদনুসাবে রাষ্ণচন্দ্ৰ ও তাহাব জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ শিবচন্দ্ৰকে মুঙ্গেবেবী দুর্গে কিছুদিন বন্দী কবিয বাখেন। ইংবাজিদিগের ভয়ে হঠাৎ মুঙ্গের ছাডিয়া পলাযন কবা আবশ্যক না হইলে, মীরকাসিম বোধ হয় সপুত্ৰ কৃষ্ণচন্দ্ৰকেও হত্যা করিতেন । কিন্তু ইংব্যাজেব। আসিয। পড়াতে পিতাপুত্রে সে যাত্রা রক্ষা পাই যাছিলেন । ১৭৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ই-বাজগণ দিল্লীব সম্রাট সাহ আলমের নিকট বাঙ্গালা BDDDC uuuDDSS TG DBDD MBBBLYY LBDDB BBBDD suB DBBD DDBBBD উন্নতি বিধানে মনোযোগী হন । কিন্তু তাহাদেব অনভিজ্ঞতাবশতঃ রাজস্ব সংক্রান্ত সমুদয কাৰ্য্য ঘোব বিশৃঙ্খলাব মধ্যে পডিয়া গেল । কি জানি কিরূপ দান্ডাষ এই ভযে জমিদাবগণ প্ৰজাকুলের নিকট স্বীয় বাকি প্ৰাপ্য আদায় কবিয়া লইতে লাগিলেন। অনেক প্ৰজা নিঃস্ব হচেয়া গেল । ইহাব উপরে ১৭৬৮ ও ১৭৬৯ এই দুই বৎসর অনাবৃষ্টি হইয়া শস্যেৰ সম্পূর্ণ ক্ষতি করিল। তাহার ফলস্বরূপ দেশে ভয়ানক মন্বন্তব উপস্থিত হইল। একপ দুৰ্ভিক্ষ এদেশে আর হয় নাই ।। ১২৭৬ বঙ্গাব্দে ঘটিয়াছিল বলিয়া এই দুভিক্ষ “ছিয়াত্তরে মন্বন্তর” নামে চিবদিন বাঙ্গালীর মনে মুদ্রিত হইয়া রহিয়াছে। সেই ভয়ানক মহামারীর বিশেষ বর্ণনা এখানে দেওয়া নিম্প্রয়োজন। এই মাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, ১৭৭০ সালের জানুয়ারী হইতে আগষ্ট পৰ্য্যন্ত এই নিয়মাসের