পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ and at home with men distinguished by their proficiency in Eastern tongues. I am quite ready to take the oriental learning at the valuation of the orientalists themselves. I have never found one among them, who could deny that a single shelf of a good European library was worth the whole native literature of India and Arabia." “এক সেলফ ইউবোপীয় গ্রন্থে যে জ্ঞানের কথা আছে, সমুদয ভারতবর্ষ ও আরবদেশেব সাহিত্যে তাহা নাই”-এই কথাটা প্ৰাচ্য শিক্ষা-পক্ষীয়দিগের গাত্রে তপ্তজলেব ছডার ন্যান্য পডিল। তাহার ক্ষেপিয আগুন হইযা গেলেন। পাবলিক ইনষ্ট্রাকশন কমিটীর সভাপতি 'মেঃ সেক্সপিযাব ও সেক্রেটারি মেঃ জেমস প্রিনসেপ পদত্যাগ করিলেন। গবৰ্ণর জেনেবল মেকলোকে উক্ত কমিটীর সভাপতিব পদে বরণ করিলেন । এদেশীয়দিগের শিক্ষা সম্বন্ধে মেকলেব বাজ্য আবম্ভ হইল । বলা বাহুল্য, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, রামগোপাল ঘোষ, তারাচান্দ চক্ৰবৰ্ত্তী, শিবচন্দ্ৰ দেব, প্যাৰীচাঁদ মিত্র, রামতনু লাহিড়ী প্ৰভৃতি হিন্দুকালেজ হইতে নবোৰ্ত্তীর্ণ যুবকদল সর্বান্তঃকবণের সহিত মেকলেব শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিলেন। তঁাহারা যে কেবল ইংরাজী শিক্ষাব্য পক্ষপাতী হইয সর্বত্র ইংরাজী শিক্ষা প্ৰচলনেব চেষ্টা কবিতে লাগিলেন তাহা নহে, তাহারাও মেকলের ধুয়া ধরিলেন। বলিতে লাগিলেন যে,-এক সেলফ ইংরাজী গ্রন্থে যে জ্ঞানের কথা আছে, সমগ্ৰ ভারতবর্ষ বা আববদেশের সাহিত্যে তাহা নাই। তদবধি ইতাদের দল হইতে কালিদাস সরিয়া পড়িলেন, সেক্সপিয়াব সে স্থানে প্ৰতিষ্ঠিত হইলেন ; মহাভাবত, রামাষণা দিব নীতিব উপদেশ অধ:কৃত হইয়া Edgeworth's Tales সেই স্থানে আসিল ; বাইবেলেব সমক্ষে বেদ বেদান্ত গীতা প্ৰভৃতি দাডাইতে পাবিল না। মানুষ যে আলোক পায় তদনুসারেই যদি চলে। তবেই তাহার প্রশংসা । আমরা এক্ষণে এই যুবকদলের অতিরিক্ত প্ৰতীচ্যু-পক্ষপাতিতার অনুমোদন করিতে পারি না। সত্য, কিন্তু তাহারা যে অকপটচিত্তে স্বীয় স্বীয় হৃদয়ের আলোক অনুসারে চলিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন তাহার প্রশংসা না কবিয়া থাকিতে পারি না। নব্যবঙ্গের তিন প্ৰধান দীক্ষাগুরুর হস্তে র্তাহাদের দীক্ষা হইয়াছিল। প্ৰথম দীক্ষাগুরু ডেবিড় হেয়ার, দ্বিতীয় দীক্ষাগুরু ডিরোজিও, তৃতীয় দীক্ষাগুরু মেকলে । তিন জনই তাহাদিগকে একই ধুয়া ধরাইয়া দিলেন -প্ৰাচীতে যাহা কিছু আছে তাহা হেয় এবং প্ৰতীচীতে যাহা আছে তাহাই শ্রেয়াঃ । এই অতিরিক্ত প্ৰতীচ্য-পক্ষপাতিতার বোক বঙ্গসমাজে বহুকাল চলিয়া আসিয়াছে। তাহার বিবরণ পরে প্রদত্ত হইবে । রামগোপাল ঘোষের ভবনে এই যুবকদলের এক আডড ছিল