পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y E" মধ্যে সমগ্ৰ বঙ্গদেশে প্ৰায় এক কোটি লোকের এবং কেবলমাত্র কলিকাতা নগরে ১৫ই জুলাই হইতে ১৫ই সেপ্টেম্ববের মধ্যে ৭৬০০০ লোকোব মৃত্যু হয়। এরূপ হৃদয়-বিদারক দৃশ্য কেহ কখনও দেখে নাই। পথে ঘাটে, হাটে বাজারে, খানা খন্দে, দলে দলে মানুষ মরিয়া পডিয়া থাকিতে ; ফোলিবার লোক পাওয়া যাইত না। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, নব-প্ৰতিষ্ঠিত ইংরাজরাজগণ এই মহামাবী নিবারণেব বিশেষ কোন উপায অবলম্বন কবেন নাই । ইতাব পাবে ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্ট বঙ্গদেশকে নানা পরগণাতে ভাগ কবিয়া জমিদারদিগেব সহিত বাজস্বের নূতন বন্দোবস্ত কবিতে প্ৰবৃত্ত হন। সেই সময। কৃষ্ণচন্দ্র স্বীয জ্যেষ্ঠ পুত্র শিবচন্দ্রেব নামে জমিদাবিব। নূতন বন্দোবস্ত কবিয লন। ১৭৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে বাজা এক দান পত্র লিখিয়া শিবচন্দ্রকে সমুদয জমিদাবিব মালিক কবেন। তৎপবে কৃষ্ণনগরের এক ক্রোশ পুর্বে অলকানন্দ নদীতীব্বে গঙ্গাবাস নামে এক সুবাম্য ভবন নিৰ্ম্মাণ কাবাইযা তথায্য বাস করেন। এই স্থানে ১৭৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে ৭৩ বৎসব বিষসে তাহতাব দেহান্ত হয। ক্লষ্ণচন্দ্ৰেৰ দুই মহিষী ছিলেন। প্রথমাব গর্ভে শিবচন্দ্ৰ, ভৈববচন্দ্ৰ, হরচন্দ্ৰ, মহেশচন্দ্র ও ঈশানচন্দ্ৰ এই পঞ্চ পুত্ৰ জন্ম গ্ৰহণ করেন ১ কনিষ্ঠার গর্ভে শভুচন্দ্রের জন্ম তয। শম্ভুচন্দ্ৰ পিতাব বিকদ্ধাচাৰী হইযা বর্তাহাব অপ্ৰিয হইযাছিলেন । শিবচন্দ্ৰ বাজপদ প্ৰাপ্য হইলে তিনি স্বীয জননীবা সহিত হবধাম নামক স্থানে গিয বাস কবিলেন । অপবোবা শিবনিবাসেই রহিলেন । এখনও শিবনিবাস ও হব পামে এই রাজবংশেব শাখাদ্বয বিদ্যমান আছে । ক্লষ্ণচন্দ্ৰ কায্যক্ষম দৃঢ়চেতা অধ্যাবসাযশীল লোক ছিলেন। তিনি যৌবনেব প্ৰবন্ত হইতেই যে কাপ বিপজালে জডিত হই যাছিলেন এবং তাহার অধিকাবি কালে বাজ্য মধ্যে যত প্ৰকাব বিপদ ঘটিষাছিল, একপ কোনও এক ব্যক্তিব্য ভাগ্যে ঘটিতে দেখা যায় না । অথচ কোনও বিপদ তাহাকে অভিভূত কবিতে পাবে নাই । অসীম প্ৰত্যুৎপন্নমতিত্বগুণে তিনি সমুদয় বিপজ্জাল কাটিয়া বাতিব হইতেন। চতুদিকে যখন বিপদ ঘিবিয আসিত DTDL S S S KuSKDS DDDD S BDL S SsBLYS DDDBD কবিতেন । গুণগ্ৰাহিতা ও গুণীগণের উৎসাহদান কাৰ্য্যে ইনি বিক্রমাদিত্যেব। অনুসাবণ কবিয়াছিলেন। ইহাব রাজসভা সুপণ্ডিত, সুকবি, সুগায়ক ও সুরসিকগণে পুর্ণ ছিল । ইহাবই অধিকার কালে নবদ্বীপে হরিরাম তর্কসিদ্ধাস্ত, কৃষ্ণানন্দ বাচস্পতি প্ৰভৃতি, গুপ্তিপাডা গ্রামে প্ৰসিদ্ধ সুকবি বাণেশ্বব বিদ্যালঙ্কাব প্ৰভৃতি, ত্ৰিবেণীতে জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন প্ৰভৃতি, শান্তিপুবে বাধামোহন গোস্বামী প্ৰভৃতি, সুপণ্ডিতগণ যশ-প্ৰভাতে বঙ্গদেশকে সমুজ্জল করিতেছিলেন। রাজা ইহাদেৰ অনেককে বৃত্তি ও নিষ্কর ভূমিদান করিয়া গিষাছেন। ইহাবই রাজসভাতে কবিবর ভারতচন্দ্র রায় ‘গুণাकब्र दिब्राखिङ छिटलन ।