পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Aty? রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ অনেক ভদ্রলোককে সমবেত কবিয়া রাজবাটীতে এক সাধারণ হিতকরী সভা স্থাপন করিলেন ; এবং স্বয়ং। তাহার সভাপতি হইযা কাৰ্য্য নির্বাহ করিতে লাগিলেন। এই সভার সাহায্যে রাজা একটি মহাদুপকার সাধন করিয়াছিলেন। যে সকল ব্যক্তির নিষ্কর ভূমি বাজেয়াপ্ত হইয়াছিল, ভূম্যধিকারিদিগের দ্বারা আবেদন করাইযা তাহা প্ৰত্যাৰ্পণ করিতে গবৰ্ণমেণ্টকে বাধ্য করিয়াছিলেন। ভূম্যধিকারিগণের এই মহাদুপকার সাধন করিয়াই শ্ৰীশচন্দ্র নিরস্ত হন নাই । দেশের ও সমাজের সর্ববিধ উন্নতিকবি বিষযে মনোযোগী হতীয়ছিলেন। তিনি প্ৰথমতঃ পণ্ডিতগণেব সহিত স্মৃতি প্ৰভৃতি প্ৰাচীন গ্ৰন্থ সকল পাঠ কবিয শাস্ত্রীয় বিধির দ্বারা বিধবা-বিবাহের বৈধতা প্ৰতিপন্ন করিতে প্ৰয়াসী হন । একাপ শুনিতে পাওয়া যায, নবদ্বীপের পণ্ডিতগণের প্রতিবন্ধকতা নিবন্ধনই সম্পূর্ণ কৃতকাৰ্য্যা হইতে পারেন নাই । দেশে ইংবাজী শিক্ষা বিস্তাব বিষযেও। শ্ৰীশচন্দ্ৰ ধিশেষ উৎসাঙ্গী হইয়াছিলেন। ১৮৪৫ খ্ৰীষ্টাব্দে, গবৰ্ণর জেনেবল সার হেনবি তাডিঞ্জ বাহাদুবেব অধিকাবকালে, কৃষ্ণনগব কালেজ প্ৰতিষ্ঠিত হইলে, শ্ৰীশচন্দ্ৰ, পুর্বল পুৰুষেব বীতি লঙ্ঘন পূর্বক, স্বীয পুত্ৰকে কৃষ্ণনগর কলেজে ভক্তি কবিয়া দিযাছিলেন ; এবং নিজে কালেজ কমিটীব সভ্যপদ গ্ৰহণ কবিযাছিলেন । ১৮৪৪ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি বাজপাটীতে একটি ব্ৰাহ্ম সমাজ স্থাপন কবেন , এবং তাহাবই প্রার্থনানুসাবে ভক্তিভাজন দেবেন্দ্ৰ নাথ ঠাকুব মহাশয হাজাবিলাল নামক একজন প্রচারককে সমাজেব অ্যাচাৰ্য্যের কার্য্য কবিবাবে জন্য প্ৰেবণ। কবেন। এরূপ শুনিতে পাওযা যায যে, একজন বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ না পাঠাইটয়া হাজাবিলালকে প্ৰেবণ কবিতে বাজা দুঃখিত হইযা বাজবাটী তইতে ব্ৰাহ্ম সমাজকে স্থানান্তবিত কবেন । তিতার কিঞ্চিৎপরে কলিকাতাব অনুকাবণে কৃষ্ণনগবে মিশনাবিদিগেব বিরুদ্ধে আন্দোলন উপস্থিত হয । সেই সমযে শ্ৰীশচন্দ্ৰ নিজ ভবনে একটি অবৈতনিক ইৎবাজী বিদ্যালয় স্থাপন কবি যা বালকদিগকে শিক্ষা দিতে अiद्धg कgवन । শ্ৰীশচন্দ্ৰেব জীবনের অবসানকাল যেরূপ হইল তাত অতীব শোচনীয় । ক্ষিতীশবংশাবলী-চরিত-লেখক তাঙ্গা এইরূপে বর্ণনা করিষাছেন। ‘বাজ। বাল্যাবস্থা হইতে পৈত্ৰিশ বর্ষ বয়ঃক্রম পৰ্য্যস্ত, নিজেব ও স্বদেশের হিত বিধান ও মঙ্গলসাধনে সািন্তত রত ছিলেন। তাহাব পর কলিকাতাবাসী কতিপয় মধুরভাষী ধনশালী ব্যক্তিব সুধাচ্ছাদিত বিযপুবিত সংসর্গে তাহার আন্তরিক ও বাহিক ভাবেব বিস্তব বিপৰ্য্যয় হইতে লাগিল। তাহার বিষয় কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করা অতি ক্লেশকর জ্ঞান হষ্টতে লাগিল ; এবং সুহৃদ্বর্গের সুহৃস্বাক্য কর্ণকুহরে। কণ্টকাবৎ বোধ হইয়া উঠিল। আহার, বিহার, শয়ন, সকলই নিয়ম-বহির্ভূত হইতে আরম্ভ হইল ; দিবানিশি কেবল মদিরাপানে