পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Abyê9 রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ১৮৫৫-৫৬ সালে একজন ডিরেক্টাবের অধীনে শিক্ষা বিভাগ নামে রাজকাৰ্য্যের এক বিভাগ সংগঠন করা হইল ; স্কুল সকল পরিদর্শনের জন্য একদল ইনস্পেক্টার নিযুক্ত হইলেন ; স্থানে স্থানে শিক্ষক প্ৰস্তুত কবিবার জন্য নিৰ্ম্মাল বিদ্যালয় সকল স্থাপিত হইল , গভর্ণমেণ্টের অর্থসাহায্য পাইযা নানাস্থানে নবপ্রতিষ্ঠিত ইংবাজী স্কুল। সকল দেখা দিতে লাগিল , এবং গ্রামে গ্রামে মিডিল স্কুল ও বাঙ্গালা স্কুল স্থাপিত হইতে লাগিল । এই সকল পরিবর্তনেব মধ্যে লাহিডী মহাশয় উত্তব্যপাডা স্কুলে একাগ্ৰতাব সহিত স্বকৰ্ত্তব্য সাধন করিতে প্ৰবৃত্ত বহিলেন । সে সমযে যাহাবা তাহাব ছাত্র ছিলেন, তঁহাদের অনেকোব মুখে শুনিয়াছি যে, তাহাব পাঠিনাব বীতি বড চমৎকাব ছিল। তিনি বৎসরের মধ্যে পাঠ্যগ্রন্থের সমগ্র পডাইয়া উঠিতে পারিতেন না। কিন্তু যেটুকু পড়াইতেন, সেটুকুতে ছাত্রগণকে এরূপ বুৎপন্ন কবিয়া দিতেন যে, তাহাব গুণে পরীক্ষাকালে ছাত্ৰগণ সন্তোষজনক ফল লাভ কবিতা। ফলতঃ জ্ঞাতব্য বিষয় যোগান অপেক্ষ জ্ঞান-সম্পূহ উদ্দীপ্ত করার দিকে তাহার অধিক যত্ন ছিল । বিশেষতঃ যখন ধৰ্ম্ম বা নীতি বিষয়ে কিছু উপদেশ দিবাব অবসর আসিত, তখন তিনি উৎসাহে আত্মহাবা হইয়া যাইতেন । নীতির উপদেশটি ছাত্ৰগণের মনে মুদ্রিত কবিবােব জন্য বিধিমতে uS DDDBDYS DDB DDD S DDDBD DLBuDBB KLBLBD kDBB LBB Sq L উৎসাহ-পূর্ণ হৃদয এবং সর্বোপবি ভঁাহাব জ্বলন্ত সত্যনিষ্ঠা-পুর্ণ জীবন থাকিত, সুতরাং তঁাহাব উপদেশ আগুনেব গোলাব ন্যায় ছাত্ৰগণের হৃদয়ে পডিযা সুমহৎ আকাজক্ষাব্য উদয় কবিতা । এই সময়ে যাহার। তাহার নিকটে পাঠ করিয়াছিলেন, তাহাবা সেদিনের কথা কখনই ভুলিতে পাবেন নাই। লাহিড়ী মহাশয় ১৮৫২ সাল হইতে ১৮৫৬ সাল পৰ্য্যন্ত উত্তরপাডা স্কুলের প্ৰধান শিক্ষকেবা কাজ কবিয়ছিলেন । এইখানে অবস্থানকালে তঁাহাব লীলাবতী ও ইন্দুমতী নামে দুই কন্যা জন্মগ্রহণ কবে । ১৮৫৪ সালে লীলাবতী ভূমিষ্ঠা হয়, ১৮৫৬ সালে ইন্দুমতীর জন্ম হয়। এখানে যে অল্পকাল ছিলেন। তন্মধ্যে তিনি ছাত্ৰগণেব কিবন্ধপ উশ্রদ্ধা ভক্তি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহার নিদর্শন নিয়ে প্রদত্ত হইতেছে। ঐ স্কুলে তাহাব স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখিবার জন্য র্তাহার অনুবক্ত ছাত্ৰগণ বহুবৎসব পরে উক্ত স্কুলগৃহে যে প্ৰস্তরফলক স্থাপন করিয়াছেন, তাহা উদ্ধৃত কবিয়া দেওয়া যাইতেছে।