পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ চলিবে না, অনর্থক অনেক সময় যাইবে । সুতরাং নিজে চিন্তা করিয়া এক নূতন প্ৰণালীতে র্তাহাকে সংস্কৃত পড়াইতে আরম্ভ করিলেন। ইহা হইতেই তাহার উত্তরকালে রচিত উপক্ৰমণিকা ও ব্যাকরণ-কৌমুদী প্ৰভৃতির সূত্রপাত হইল । ১৮৪৬ সালে সংস্কৃত কলেজের এসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারির পদ শূন্য হইলে বিদ্যাসাগর মহাশয় ঐ পদ পাইলেন। কিন্তু উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ রসময় দত্ত মহাশযের সহিত মতভেদ হওযাতে দুই এক বৎসবেব মধ্যে ঐ পদ পবিত্যাগ করিতে হইল। ১৮৫০ সালের প্রারম্ভে দুৰ্গাঁচবণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া চিকিৎসা ব্যবসায় আবম্ভ করাতে, মার্শেল সাহেবেব অনুবোধে, মাসিক ৮০ টাকা BBDL0S DDBBD DDDuu uDBDB BKK YBBDB S SBBD LDL ELB DDBD অধিক দিন থাকিতে হয় নাই। ঐ সালেই তাহার বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কাব মুর্শিদাবাদেব জজ-পণ্ডিতের কৰ্ম্ম পাইযা চলিয়া যাওযাতে সংস্কৃত কলেজেব সাহিত্যাধ্যাপকের পদ শূন্য হইল। বিদ্যাসাগব মহাশয় এডুকেশন কাউন্সিলের সভাপতি মহাত্মা বেথুনেব পবামর্শে ঐ পদ গ্ৰহণ করিলেন । সেই পদ হইতে ১৮৫১ সালেব জানুযারি মাসে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাক্ষেব পদ @of* エ I অধ্যাক্ষের পদে প্ৰতিষ্ঠিত হইযই তিনি নানা প্ৰকার সংস্কার কাৰ্য্যে হস্তাপণ কবেন। প্ৰথম, প্ৰাচীন সংস্কৃত পুস্তকগুলির বক্ষণ ও মুদ্রণ, (২য) ব্ৰাহ্মণ ও বৈদ্য ব্যতীত অন্য জাতির ছাত্ৰগণের জন্য কলেজেব দ্বাবা উদঘাটন , (৩য়) ছাত্রদিগের বেতন গ্রহণের বীতি প্ৰবৰ্ত্তন, ( ৪র্থ) উপক্ৰমণিকা, ঋজুপাঠ প্ৰভৃতি সংস্কৃত শিক্ষার উপযোগী গ্ৰন্থাদি প্ৰণষন, (৫ম) ২ মাস গ্রীষ্মাবকাশ প্ৰথা, প্ৰবৰ্ত্তন (৬ষ্ঠ) সংস্কৃতের সহিত ইংরাজী শিক্ষা প্ৰচলন। সংস্কৃত কলেজেব শিক্ষাপ্ৰণালীব মধ্যে এই সকল পরিবর্তন সংগঠন করিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে যে কত চিন্তা ও কত শ্রম করিতে হইয়াছিল। তাহা আমরা এখন কল্পনা করিতে পারি না । সে কালের লোকের মুখে তাহার শ্রমের কথা যাহা শুনিযাছি, তাহা শুনিলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয । ইহার পর দিন দিন তাহাব পদবৃদ্ধি ও খ্যাতি প্ৰতিপত্তি বাডিতে লাগিল । পূর্বেই বলিয়াছি, ১৮৪৭ সালে তাহাব “বেতাল পঞ্চবিংশতি” মুদ্রিত ও প্রচারিত হয়। “বেতাল” বঙ্গসাহিত্যে এক নবযুগের সূত্রপাত করিল। তৎপরে ১৮৪৮ সালে “বাঙ্গালার ইতিহাস” ১৮৫০ সালে “জীবনচরিত।” ১৮৫১ সালে “বোধোদয়” ও “উপক্ৰমণিকা’, ১৮৫৫ সালে “শকুন্তলা” ও “বিধবাবিবাহ বিষয়ক প্ৰস্তাব” প্ৰকাশিত হইল। বিদ্যাসাগব। মহাশয়ের নাম আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলের নিকট পরিচিত হইল। • শিক্ষাবিভাগে ইনস্পেক্টারের পদ সৃষ্ট হইলে বিদ্যাসাগব মহাশয় সংস্কৃত