পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পবিচ্ছেদ S as কলেজের অধ্যাক্ষের পদের উপরে, নদীয়া, হুগলী, বৰ্দ্ধমান ও মেদিনীপুরের ইনস্পেক্টরের পদ প্ৰাপ্ত হন। এক দিকে যখন তাহাব পদ ও শ্রম বাডিল, তখন অপর দিকে তিনি এক মহাব্ৰতে আত্মসমৰ্পণ করিলেন। সেই সালেই বিধবাবিবাহ হিন্দুশান্ত্রানুমোদিত ইহা প্ৰমাণ কবিবাবে জন্য গ্ৰন্থ প্ৰচাব কবিলেন। বঙ্গদেশে আগুন জ্বলিষ উঠিল। কিন্তু সমাজসংস্কারে এই তাহার প্রথম তস্তক্ষেপ নয়। ১৮৪৯ সালে মে মাসে বেথুন সাহেব যখন বালিকাবিদ্যালয় স্থাপন কবেন, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয। তাহাব প্ৰথম সম্পাদক নিযুক্ত হন। তিনি ও তঁাহাব বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কার বেথুনেব পৃষ্ঠপোষক হইয়া দেশে নািস্ট্রীশিক্ষা প্ৰচলন কাৰ্য্যে আপনাদের দেহ মন প্ৰাণ সমৰ্পণ কবেন। ১৮৫৬ সাল বিদ্যাসাগব মহাশযের জীবনেব। সর্বশ্রেষ্ঠ কাল। এই বৎসরে র্তাহার কাৰ্য্যপটুতা যে কত তাহা জানিতে পারা গেল। এক দিকে বিধবাবিবাহেব প্ৰতিপক্ষগণেব আপত্তিখণ্ডনার্থ পুস্তক প্ৰণয়ন, বিধবাবিবাহ প্ৰচলনাৰ্থ বাজবিপি প্ৰণযনেব চেষ্টা, কাৰ্য্যতঃ বিধবাবিবাহ দিবাব আযোজন, এই সকলে তঁাতাকে ব্যাপৃত হইতে হইল , অপরদিকে এই সময়েই শিক্ষাবিভাগেব নব-নিযুক্ত ডিবেক্টাব মিষ্টাব গর্ডন ইযংযের সহিত র্তাহার ঘোরতব বিবাদ বাধিয়া গেল । এই বিবাদ প্ৰথমে জেলায় জেলায় বালিকাবিদ্যালয় স্থাপন লইষা ঘটে। বিদ্যাসাগবে মহাশয় নদীষা, হুগলী, বৰ্দ্ধমান ও মেদিনীপুব এই কায জেলার স্কুল ইনস্পেক্টরেব পদ প্ৰাপ্ত হইলেই, নানা স্থানে বালকদিগের শিক্ষাবি জন্য বিদ্যালয স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে বালিকাবিদ্যালয স্থাপনে প্ৰবৃত্ত হইলেন । তিনি মনে করিলেন এদেশে স্ত্রীশিক্ষা প্ৰচলনেব জন্য তাহাব যে আন্তবিক ইচ্ছা ছিল, তাহ| কিযৎপবিমাণে কাৰ্য্যে পবিণ্যত কবিবাব সময় ও সুবিীপ উপস্থিত । তিনি উৎসাহেব সহিত র্তাহাব সঙ্কল্প সাধনে অগ্রসর হইলেন। কিন্তু ইষৎ সাহেব, বালিকাবিদ্যালয স্থাপনেব জন্য গভর্ণমেণ্টেব্য অর্থ ব্যয় করিতে অস্বীকৃত হইযা বিদ্যাসাগর LDDDBLBBB LBD DD BBDD DDBBD DDSS S gD DBBD SDBBDuDB মহাশয় লেফটেনাণ্ট গভর্ণবের শবণাপন্ন হইলেন। সে যাত্রা তাহাব মুখ বাক্ষা হইল বটে, কিন্তু ডিবেক্টার তাহাব প্ৰতি হাডে চটিয়া বহিলেন । কথায় কথায় মতভেদ ও বিবাদ হইতে লাগিল । এই বিবাদ ও উত্তেজনাতে বিদ্যাসাগর মহাশযেব চিত্ত এই বৎসবের অধিকাংশ সময় অতিশয় আন্দোলিত ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষেব বিবিধ চেষ্টাসত্ত্বেও এই বিবাদেব মীমাংসা না হওয়ায় অবশেষে ১৮৫৮ সালে তঁহাকে কৰ্ম্ম পবিত্যাগ কবিতে হয় । এদিকে ১৮৫৬ সালেব অগ্রহায়ণ মাসে তাহাব অন্যতম বন্ধু শ্ৰীশচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ন মহাশয় এক বিধবাব পাণিগ্রহণ করিলেন । তাহাতে বঙ্গদেশে যে আন্দোলন উঠিল, তাহাব অনুরূপ জাতীয় উত্তেজনা আমরা অল্পই দেখিয়াছি। ইতিপূর্বে শাস্ত্রানুসারে বিধবাবিবাহের বৈধতা লইয়া যে বিচার চলিতেছিল।