পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Saty বামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ পাইযাই আগ্রহ ও উৎসাহের সহিত আপনাব জ্ঞনোন্নতি সাধনে নিযুক্ত হইলেন। কিনিয়া ও ভিক্ষা করিয়া গ্ৰন্থ সংগ্ৰহ পুর্বক পাঠ করিতে আরম্ভ কবিলেন। তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে না পাবিয়া কিঞ্চিৎ বেতন বৃদ্ধি হইলেই কলিকাতা পাবলিক লাইব্রেবীর চাদাদায়ী সভ্য হইয়া, সেখানে গিয়া পাঠ কবিতে আবন্ত করিলেন। প্ৰতিদিন আফিসের ছুটীর পর লাইব্রেবীতে গিয়া বসিতেন ও সন্ধ্যাপৰ্য্যন্ত ইংরাজী সংবাদপত্র ও পত্রিকাদি পাঠ করিতেন , তদ্ভিন্ন বাশি রাশি গ্ৰন্থ বাউীতে আনিষা বাত্রে পাঠ করিতেন। এইরূপ শোনা যায, এই সমযে পাঁচ মাস কালের মধ্যে ৫৭ খানি বান্ধাই এডিনবাব রিভিউ, দুই তিন বাব পাডিয়া হৃদগতি করিয়াছিলেন । হরিশ একদিকে যেমন পড়িতেন, অপরদিকে তৎকাল প্ৰচলিত ইংবাজী সাময়িক পত্রে মধ্যে মধ্যে লিখিতেন। সে সময়ে হিন্দুকলেজের পুর্বতন ছাত্র *2*İM ÇETİR Hındu. Intelligencer R(Ca, arp ইংৰাজী কাগজ সম্পাদন কবিতেন, তাহাতে হাবিশেব লিখিত প্ৰবন্ধাদি সর্বদা বাহির হইত । এই লেখাব জন্য শিক্ষিত দলে তিনি সুপবিচিত হইযা পড়িলেন । তিনি ২৫২ টাকার কৰ্ম্মে প্ৰবেশ কবিযাছিলেন, ক্ৰমে ক্ৰমে বাড়িয়া তাহাব বেতন ৪০০২ চারিশত টাকা হইযাছিল। তিনি মৃত্যুকাল পৰ্য্যন্ত ঐ কৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন । ১৮৫২ সালে হরিশোেব মান সম্রােম এমন হই যাছিল যে, অপব্যাপার সভ্যগণেব আগ্রহে এই সালে তিনি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভার সভ্যপদে প্ৰবেশ করেন। প্ৰবেশ কবি যাই তিনি আইন, আদালত, বাজনীতি প্ৰভৃতির মৰ্ম্ম অবগত হইবার জন্য এমনি মনোনিবেশ করিলেন যে, ত্ববায তিনি ঐ এসোসিয়েশনের পরামর্শদাতৃগণেব মধ্যে একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তি হইয়া উঠিলেন। একদিকে যেমন রাজনীতি সম্বন্ধে দেশেব সর্বববিধ হিতকর বিষয়ে তিনি পরামর্শদাতা ও সহায় হইলেন, তেমনি অপবদিকে কতিপয বন্ধুর সহিত সমবেত হইযা বর্তাহার বাসভূমি ভবানীপুরে একটি ব্ৰাহ্মসমাজ স্থাপন করিলেন । তিনি ঐ সমাজের একজন উৎসাহী সভ্য ও সম্পাদক ছিলেন। তিনিই সর্বাগ্ৰে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারার্থে ইংবাজী বক্তৃতার প্রথা প্রবত্তিত করেন । এই সময়ে তাহার প্রদত্ত কতকগুলি বক্তৃতা মুদ্রিত হইয়াছে। এই সকল দেশহিতকর কাৰ্য্যেব মধ্যে অনুমান ১৮৫৩ সালে মধুসুদন রায় নামক একজন স্বদেশী-হিতৈষী ধনী ব্যক্তি একটি মুদ্রাযন্ত্র ক্রয় করিয়া একখানি সাপ্তাহিক ইংরাজী সংবাদপত্র বাহির করিবার অভিপ্ৰায় করিলেন । তিনিই “হিন্দু পেটিযট” বাহির কবিয়া কিছুদিন অপরের দ্বারা চালাইয়া পরে হরিশ চন্দ্ৰকে তাহার সম্পাদক নিযুক্ত করেন । হরিশ মনের মত একটা কাজ পাইয়া ঐ পত্রিকা সম্পাদনে দেহ মন নিয়োগ করিলেন । কিন্তু তখন ইংরাজী সংবাদ পত্ৰ পড়িবার লোক অল্পই ছিল; সুতরাং অনেক চেষ্টা করিয়াও হিন্দু পেট্টিয়টের