পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ কবিতে প্ৰবৃত্ত হইতেছি। বলিতে গেলে রামমোহন বাযেব অত্যুদয়, হিন্দুকলেজের প্রতিষ্ঠা, ব্ৰাহ্মসমাজের স্থাপন, ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগব ও অক্ষযাকুমার দত্তেব আবির্ভাব, মধুসুদন দত্তের প্রভাব প্ৰভৃতি ঘটনা-পবন্স্পরা দ্বারা বঙ্গসমাজে যে নব আকাজক্ষার উচ্ছাস হইযাছিল, তাহা এই কযেক বৎসর আপনার কাজ কবিয আসিতেছিল । এই ১৮৬০ সাল হইতে ১৮৭০ সালের মধ্যে তাহ আবও ঘনীভূত আকারে আপনাকে প্ৰকাশ কবিযাছিল। এই কালেব মধ্যে নববঙ্গেবি কয়েকজন নািতন নেতা দেখা দিয়াছিলেন এবং বঙ্গবাসীব চিত্ত ও চিন্তাকে নূতন পথে প্ৰবৃত্ত কবিয়াছিলেন। তঁাতাদেব সংক্ষিপ্ত জীবন-চবিত পাব পবিচ্ছেদে প্ৰদত্ত হইবে। আপাততঃ উৰ্তাহাদেব কাৰ্যোব বিষয়ে কিছু আলোচনা কবা। যাইতেছে। এই কালের প্রথম ভাগে কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয নবোদীয়মান বাবিব ন্যায় বঙ্গাকাশে উঠিতে লাগিলেন ; এবং তাহাকে আবেষ্টন করিষা ব্ৰাহ্মসমাজ ও সুৰ্য্যমণ্ডলের ন্যান্য মানব-চক্ষুব গোচব হইল। ১৮৫৬ সালে দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব মহাশয় ধ্যান ধারণাতে বিশেষ ভাবে কিছুকাল যাপন কবিবাব আশযে সহর ত্যাগ কবিয়া হিমালয। শিখবে গমন কবেন । ১৮৫৮ সালেব শেষভাগে তিনি সহরে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন। তিনি আসিযা দেখেন যে, তাহাব সহাধ্যায়ী বন্ধু প্যারীমোহন সেনেব। দ্বিতীয় পুত্ৰ কেশবচন্দ্ৰ সেন ব্ৰাহ্মসমাজে যোগ দিযাছেন। ইহাতে তাহাব জিদয আনন্দে নৃত্য কবিয়া উঠিল। তিনি কেশবকে আপনাব প্ৰেমালিঙ্গনেব মধ্যে গ্ৰহণ করিলেন। উভযেব যোগ মণি-কাঞ্চনেব যোগেব ন্যান্য হইল। উভযে মিলিত হইয। নব নব কায্যে হস্তার্পণ করিতে লাগিলেন । ১৮৫৯ সাল হইতে ব্ৰাহ্মসমাজে। নবশক্তিব সঞ্চার দেখা গেল । এক দিকে দেবেন্দ্ৰনাথ তাহাব শৈলবাসকালেব সাধনাব চবম ফল সকল তাহাব চিবিস্মবাণীয BLBBBuituDD DBBD DBD DDBSuDBD DBBD DDBD BDBD DBD DLLYB gBDB DD KB DBDBLD LELLL DDD S S DDS SDBDBB DBBB TT uBDBB ব্যাপ্ত হইষা পডিল যে, দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব গিরিশৃঙ্গ হইতে নামিয়া ব্ৰাহ্মসমাজকে জাগাইয়া তুলিয়াছেন। এই সংবাদে নানা শ্রেণীব লোক ব্ৰাহ্মসমাজেব উপাসনার দিনে ভাঙ্গিযা পড়িতে লাগিল। একদিনেব। উপদেশ শুনি যা আমরা সাতদিন মন স্থির রাখিতে পান্বিতাম না । হৃদযে কি নব ভাব জাগিতা ! চক্ষে কি নূতন জগৎ আসিত । এই সকল উপদেশ গ্রন্থাকারে নিবদ্ধ হইয়া বঙ্গসাহিত্যেব অমূল্য সম্পত্তি-রূপে রহিয়াছে। আজ তাহাদেব আব্দর না হউক একদিন হইবেই হইবে । এমন সুন্দব ভাষায় এরূপ উচ্চ সত্য সকল যে ব্যক্তি হইতে পারে, ইহাই বঙ্গভাষার অসীম স্থিতিস্থাপকতার নিদর্শন। কিছু না হইলে ভাষাবি দিক দিয়া এই উপদেশগুলি বঙ্গীয সাহিত্য-সেবীর পাঠ্য। অপরদিকে যুবক কেশবচন্দ্রের উৎসাহাগ্নি সকলোব দৃষ্টিগোচর হইল। তিনি একাকী ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করিলেন না। তঁাহাব পদবীর অনুসরণ