পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

丸史及 রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ করিষা তাহার যৌবন-সুহৃদগণের অনেকে ব্ৰাহ্মসমাজে আসিযা প্ৰবিষ্ট হইলেন। ইহাদের প্রেমোজ্জল হৃদয়ের সংস্পর্শে ব্ৰাহ্ম-সমাজে এক প্রকার নবশক্তির সঞ্চার হইল। দেবেন্দ্ৰনাথ ও কেশবচন্দ্ৰ মিলিত হইয়া এই সময়ে কযেক প্ৰকার কাৰ্য্যের আয়োজন করিলেন। প্ৰথম যুবকগণের ধৰ্ম্ম শিক্ষার্থ ব্ৰহ্মবিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। প্ৰতি ব্যবিবাব প্ৰাতে ঐ বিদ্যালয়ের অধিবেশন হইত ; তাহাতে মহাষি দেবেন্দ্ৰনাথ বাঙ্গালাতে এবং কেশবচন্দ্ৰ সেন ইংরাজীতে উপদেশ দিতেন । ঐ সকল উপদেশ দ্বাবা অনেক শিক্ষিত যুবক ব্ৰাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৰ্বোচ্চ উপাধিধারী যুবকগণ ব্ৰাহ্মসমাজেব সহিত সংসৃষ্ট হওয়াকে গৌরবের বিষয भ6न कब्रिड व्लव्नि । দ্বিতীয় যাহাবা ব্ৰহ্মবিদ্যালয়ের দ্বাবা আরুষ্ট হইতে লাগিলেন এবং তদগ্ৰেই যাহাবা কেশবচন্দ্ৰেব অনুসরণ করিযাছিলেন, তাহাদিগকে লইয়া কেশব এক সুহৃদেগাষ্ঠী স্থাপন কবিলেন , সপ্তাহের মধ্যে একদিন নিজভবনে তাহাদেব সঙ্গে বিশ্রাম্ভালাপের জন্য বসিতেন । সেখানে সর্বপ্রকার ধৰ্ম্ম ও সামাজিক বিষয়ে কথাবাৰ্ত্ত হইত। দেবেন্দ্ৰনাথ পাঞ্জাবীদিগেব সুহৃদেগাষ্ট্ৰীব সঙ্গত সভা নাম দেখিয়া ইহাব নাম সঙ্গত সভা রাখিলেন । এই সঙ্গত সভা ব্ৰাহ্মসমাজের নবশক্তির অদ্ভুত উৎসস্বরূপ হইল। যুবকসভাগণ সর্বান্তিকরণের সহিত আত্মোন্নতি প্ৰাখী হইযা সঙ্গতেব আলোচনাতে আপনাদিগকে নিক্ষেপ কবিতেন এবং যাহা কৰ্ত্তব্য বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হইত, তাহা সর্বতোভাবে আচবণ কবিবােব জন্য দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ হইয সভাস্থল পবিত্যাগ করিতেন। এক এক দিন ঘণ্টাব পর ঘণ্টা অতিবাহিত হইয়া যাইত, তাহাদের জ্ঞান BBBDLD DSDDD SutD DBBBD DBD DBY utD BB DBBDLDBKDS DBDDiuS কোথা দিয়া যে সময় যাইত কেহই বুঝিতে পারিত না। এরূপ আত্মোন্নতিব জন্য ব্যাকুলতা, এরূপ কৰ্ত্তব্যসাধনে দৃঢ় নিষ্ঠা, এরূপ সত্যানুসরণে চিত্তেব একাগ্ৰতা, এরূপ হৃদযস্থ বিশ্বাসে আত্মসমৰ্পণ, এরূপ ঈশ্বরে বিশ্বাস ও নির্ভব সচরাচর দেখা যায় না । অল্পদিনের মধ্যেই কেশবকে বেষ্টন করিষা এক ঘননিবিষ্ট মণ্ডলী সৃষ্টি হইল। ১৮৬১ সালে কেশবচন্দ্ৰ বিষয়কৰ্ম্ম হইতে অবস্থাত হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারে নিযুক্ত হইলে ইহাদের অনেকে তাহার অনুসাবণ করিয়া চিরদারিদ্র্যে বাপ দিয়াছিলেন এবং এখনও ইহাদেব অনেকে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মপ্ৰচাৰ কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিযা ব্ৰাহ্মসমাজের শক্তির উৎস স্বরূপ হইয बश्झिाgछन । সঙ্গত সভার সভ্যগণ যে নবভাবে দীক্ষিত হইলেন তাহা এই যে, হৃদয়ের বিশ্বাসকে কাৰ্য্যে পরিণত করিতে হইবে, তদ্ব্যতীত ধৰ্ম্ম হয় না । এই ভাব অস্তরে প্রবল হওয়াতে ১৮৬১ সাল হইতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে অনুষ্ঠানে পরিণত করিবার জন্য ব্যগ্ৰতা দৃষ্ট হইতে লাগিল। ঐ সালে দেবেন্দ্রনাথ তাহার দ্বিতীয়া