পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3o রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ অভ্যর্থনার জন্য এক সভা করিয়াছিলেন। উক্ত সভাতে ডাক্তার বেরিণি, অপরাপর কথা বলিয়া শেষে বলিলেন, “আমার আর এখানে থাকিবাব প্ৰয়োজন নাই। সূৰ্য্য যখন উদিত হয় তখন চন্দ্রের অন্তগমনই শোভা পায়। মহেন্দ্ৰ বঙ্গাকাশে উদিত হইয়াছেন, এখন আমার অন্তগমনের সময়” । অতএব অপরাপব নেতাদিগের ন্যায় মহেন্দ্ৰলাল সরকারও সে সময়ে কলিকাতাবাসীৰ ও সেই সঙ্গে সমগ্ৰ বঙ্গবাসীর চিত্তকে প্ৰবল রূপে আন্দোলিত করিয়াছিলেন । কেশবচন্দ্ৰেব্য বক্তৃতা, দীনবন্ধুব নাটক, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস, বিদ্যাভূষণ মহাশযের সোমপ্ৰকাশ, মহেন্দ্ৰলাল সবকারেব হোমিওপ্যাথি, এই সকলে এই কালের মধ্যে শিক্ষিত দলের মনে যেমন নবভাব আনিয়া দিতেছিৰি, তেমনি আর এক কাৰ্য্যের আয়োজন হইয়। নব আকাজক্ষার উদয় করিয়াছিল। YDDSHHDBBDEELtS BDD DLBD EBBDBD BBDD DBBDBDB DD মহাশয়ের প্রতিষ্ঠিত, “জাতীয় মেলা’ নামক মেলা ও প্ৰদৰ্শনীব প্ৰতিষ্ঠা এবং দেশেব সকল বিভাগের ও সকল শ্রেণী:ব নেতৃবৃন্দের তাহার সহিত যোগ । বঙ্গসমাজের ইতিবৃত্তে ইহা একটি প্ৰধান ঘটনা ; কাবণ সেই যে বাঙ্গালিব মনে জাতীয উন্নতিব সম্পূহ জাগিষাছে তাহা আর নিদ্রিত হয নাই। নিবগোপাল মিত্ৰ মহাশয়েব হৃদয স্বদেশ-প্রেমে পুর্ণ ছিল। তিনি বহুদিন হইতে অনুভব কবিয আসিতেছিলেন যে, দেশের লোকোব দৃষ্টিকে বিদেশীয রাজাদিগোব প্ৰসাদ লাভেব দিক হইতে ফিবাইযা জাতীয স্বাবলম্বনেব দিকে অ্যান কৰ্ত্তব্য। লোকে কথায্য কথায় গবৰ্ণমেণ্টের দ্বাবস্থ হয, ইহা তাহাব সহ হইত না। এজন্য তিনি নিজ প্ৰচাবিত সংবাদ পত্রে দুঃখ প্ৰকাশ কবিতেন , বন্ধু বান্ধবেব নিকটে ক্ষোভ করিতেন, এবং কি উপায়ে দেশেব লোকোব মনে জাতীয স্বাবলম্বন প্ৰবৃত্তি প্ৰবল হয়। সেই চিন্তা করিতেন। এই চিন্তার ফলস্বৰূপ ১৭৮৮ শকের ( ১৮৬৭ খ্ৰীষ্টাব্দেব ) চৈত্র সংক্রান্তিতে হিন্দুমেলাব অধিবেশন হইল। গণেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মহাশষ সম্পাদক ও নবগোপাল মিত্ৰ মহাশয় সহকাৰী সম্পাদক হইলেন। মেলার অধ্যক্ষগণ স্বদেশীষ উন্নতি, স্বদেশীয সাহিত্যের বিকাশ, স্বদেশীয় সংগীতাদির চর্চা, স্বদেশীয় কুন্তী প্ৰভৃতির পুনবিকাশ প্ৰভৃতির উৎসাহ দান কবিবার জন্য প্ৰতিজ্ঞারাঢ় হইলেন। বর্ষে বর্ষে চৈত্র সংক্রান্তিতে একটি মেলা খোলা স্থিবি হইল । দেশের অনেক মান্য গণ্য ব্যক্তি এইজন্য অর্থ সাহায্য করিতে অগ্রসব হইলেন। উৎসাহদাতাদিগের মধ্যে রাজা কমলকৃষ্ণ বাহাদুর, বাবু রমানাথ ঠাকুর, বাবু কাশীশ্বর মিত্র, বাবু দুৰ্গাচরণ লাহা, বাবু প্যারীচরণ সরকার, বাৰু গিবিশ্চন্দ্র ঘোষ, বাবু কৃষ্ণদাস পাল, বাবু রাজনারায়ণ বসু, বাবু দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুব, পণ্ডিত জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন, পণ্ডিত ভারতচন্দ্ৰ শিরোমণি, পণ্ডিত তাবানাথ তর্কবাচস্পতি প্ৰভৃতির নামের উল্লেখ দেখা যায়। অতএব উদ্যোগকর্তৃগণ সকল বিভাগের মানুষকে সম্মিলিত করিতে ক্ৰটী করেন নাই ।