পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ROR রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ রুটী খাইতে পারে বা কে চৰ্ম্মপাদুকার উপরে সন্দেশ রাখিয়া সর্বাগ্ৰে তুলিয়া খাইতে পারে। ক্রমে ঢাকা কালেজ স্থাপিত হইযা শিক্ষিতদলের সংখ্যা যতই বাডিতে লাগিল এবং কলিকাতার আন্দোলনেব। তবঙ্গ সকল যতই পুর্ববঙ্গে ব্যাপ্ত হইতে লাগিল, ততই ঢাকা সহরে নব নব কায্যের সূত্রপাত হইতে লাগিল ; ব্ৰাহ্মসমাজ স্থাপন, বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন, বিধবা বিবাহেব আন্দোলন প্ৰভুতি সকল অ্যান্দোলনই ক্ৰমে ক্ৰমে দেখা দিল । এই প্ৰথম শিক্ষিত উৎসাহী যুবকবৃন্দের মধ্যে পাবলোকগত সুপ্ৰসিদ্ধ ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট বামশঙ্কর সেন, ভগবানচন্দ্ৰ বসু, অভিযাচরণ দাস, ঈশ্বর চন্দ্ৰ সেন, অভিযাকুমার দত্ত, স্কল সমূহেব ইনস্পেক্টৰ দীননাথ সেন ও পববৰ্ত্তী সমযেব কালীপ্ৰসন্ন ঘোষ প্ৰভৃতি অনেকে প্ৰসিদ্ধি লাভ করিষাছেন। কিন্তু পুর্ববঙ্গে ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কাব বিষয়ে সর্বাপেক্ষা একাগ্ৰত। দেখাই যাছিলেন, দুই ব্যক্তি ৷ প্ৰথম ব্ৰাহ্মসমাজেব প্ৰতিষ্ঠা কৰ্ত্ত। ব্রজসুন্দর মিত্ৰ, দ্বিতীীষ কৌলীন্য প্ৰথাবি সংস্কাব প্ৰব্যাসী বাসবিহাৰী মুখোপাধ্যায । ব্রজসুন্দন মিত্ৰ মহাশয়। ১৮৪৭ সালে নিজে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইযা নিজ ভবনে ব্ৰাহ্মসমাজ স্থাপন কবেন , এবং অপারে বা অগ্রসব হইয়া তাহাব ভােব আপনাদেব হ*ে গ্ৰহণ না করা পয্যন্ত নিজেই তাহাব ভাব বহন করেন । এই কালের মপে ঢাকাতেও ব্ৰাহ্মসমাজের নবোখান ও তৎসঙ্গে সঙ্গে সর্ববিধ সামাজিক উন্নতি বিষযক বিষয়ের আন্দোলন দুষ্ট হই যাছিল , এবং অভয়চরণ দাস, দীননাথ সেন, কালীপ্ৰসন্ন ঘোষ প্ৰভৃতি স্বদেশেব উন্নতি সাধনে দেহ মন নিযোগ করিয়াছিলেন । ইহাব সকলেই সে সময়ে ব্ৰাহ্মসমাজের সহিত সংসৃষ্ট ছিলেন । ব্ৰাহ্মসমাজই সে সমযে প্ৰবল সামাজিক শক্তিব উৎস স্বৰূপ হাইযা ছিল । সেই ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা-কৰ্ত্তা ব্রজসুন্দব মিত্র মহাশযোিহ সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্ত দেওয়া যাইতেছে :- खड्ड्र्याद्ध बेिड এই সাধু পুৰুষ বাঙ্গালা ১২২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃহীন হইষা র্তাহাকে বাল্যকাল পাবাপ্ৰয়ে ও পরগৃহে যাপন করিতে হয়। তৎপরে ইংবাজী শিক্ষাবি মানসে কলিকাতায় আসিয়া ঘোর দারিদ্র্যে ও কঠোৰ সংগ্রামে কালব্যাপন করেন। শিক্ষা সাঙ্গ করিবাব পুর্বেই সামান্য বেতনে কাৰ্য্য আরম্ভ করেন । কিন্তু তাহাতে এরূপ স্বাভাবিক ধৰ্ম্মভীরুতা ওঁ কৰ্ত্তব্যপবায়ণতা ছিল যে, অচিরকালের মধ্যে উত্তরোত্তর পদোন্নতি হইয়া তিনি উচ্চপদে আবোহণ করেন। পদের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে স্বদেশের উন্নতিৰ বাসনা তাহার মনে প্ৰবল হইতে থাকে। তাহার দৃষ্টি প্ৰথম ব্ৰাহ্মসমাজেৰ দিকে আকৃষ্ট হয়। ১২৫৩ বা ১৮৪৭ সালে, তিনি কতিপয় বন্ধুকে উৎসাহিৰ্ণ