পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৯

ar Fwya Prif CD057 দীনবন্ধু বাঙ্গালা ১২৩৬ বা ইংরাজী ১৮২৯ সালে কলিকাতার অদূরবস্ত্রী SLBDD DDDDB KB KK LDB BBBD SS DuDB BDBDD BBD DBDDmSDS কালাচান্দ মিত্ৰ সামান্য বিষয কৰ্ম্ম কবিয অতি কষ্টে সংসার যাত্ৰা নিৰ্বাহ করিতেন । তঁহার একপ সামর্থ্য ছিল না যে, নিজ পুত্রেব উচ্চ শিক্ষার ব্যয নির্বাহ করেন ; সুতবাং তিনি বাল্যে দীনবন্ধুকে গ্ৰাম্য পাঠশালাতে সামান্যৰূপ জমিদারি হিসাব শিখাইয়া অল্প বিষসেই তাহাকে বিষয় কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিযা দেন। ঐ কৰ্ম্মের আয় অতি অল্প ছিল, কিন্তু তাহাতেই তিনি নিজ আযেব অনেক সাহায্য হইত বলিয়া মনে করিতেন। কিন্তু এই কাজ করিযী। দুীনবন্ধু চিত্তে সন্তোষ লাভ করিতেন না। র্তাহাব মন অধিক জ্ঞান লাভের জন্য, বিশেষতঃ ইংরাজী শিক্ষা করিবার জন্য, পিঞ্জবাবদ্ধ বিহঙ্গের ন্যায় সর্বদ। আপনাকে অসুখী বোধ করিত। অবশেষে একদিন দীনবন্ধু কৰ্ম্ম ছাড়িয়া স্বীয পিতাকে কিছু না বলিয়া গোপনে কলিকাতাষ পলাই যা আসিলেন , এবং একজন আত্মীয্যের আশ্রযে থাকিয়া ই-বাজী শিক্ষা আরম্ভ করিলেন । এই সময়ে তাহাকে বিদ্যা শিক্ষাব জন্য নানা প্ৰকার ক্লেশ সহ কবিতে হইয়াছিল । স্বযং বন্ধন করিষা পাওষাইয়। "অপবেব বাসাতে থাকিতে হইত। কিন্তু কোনও ক্লেশই তাহাকে স্বীয অভীষ্ট পথ হইতে বিবত কবিতে পাবিত না । দীনবন্ধুব কলিকাতায় আসা ও বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ করা বিষয়ে একটি কৌতুকজনক ঘটনা আছে। শৈশবে তঁহার পিতা তাতােব নাম বাখিযাছিলেন “গন্ধৰ্ব্ব নাবায়ণ” , লোকের মুখে এই নাম দাডাইল “গান্ধ”, সমবযঙ্গ বালকদিকেব। মুখে হইয়া পডিল “খু খু গন্ধ, গন্ধ” ! এই রূপে পিতৃদত্ত নামটি বালকের অশাস্তির একটা কারণ হইয়া উঠিযাছিল। যদিও উৰ্তাহার জননী বিদ্রািপকারী বালকদিগকে তিবস্কার করিষা বলিতেন, “তোরা একদিন দেখবি ওব গন্ধে দেশ আমোদিত হবে।” তথাপি সমবয়স্কদিগের বিদ্রেরূপে শিশু গন্ধৰ্ব নাবাষণ নিশ্চয় উত্যক্ত হইতেন । বোধ হয়। এই কারণেই তিনি কলিকাতাতে আসিয়া নিজে দীনবন্ধু নাম লইলেন এবং সেই নামেই স্কুলে ভক্তি হইলেন। যাহাব দুঃখ-সন্তপ্ত হৃদয় হইতে “নীলদর্পণ” বাহিব হইয়াছিল, তিনি যে নিজে দীনবন্ধু নাম পছন্দ করিয়া লইয়াছিলেন এটা একটা বিশেষ স্মৰণীয় ঘটনা। বলিতে হইবে । যাহা হউক। তিনি স্কুলে ভিত্তি হইয়। এরূপ আগ্রহের সহিত আত্মোন্নতি সাধনে নিযুক্ত হইলেন যে, সকল শ্রেণীতে প্ৰশংসা ও নির্দিষ্ট পারিতোষিক লাভ করিতে লাগিলেন। দীনবন্ধু শিক্ষা বিষয়ে একটু অগ্রসর হইয়াই গুপ্ত কবির প্রভাবের মধ্যে পডিযা গেলেন ; প্ৰভাকরে লিখিতে আরম্ভ করিলেন । এই সময়ে তিনি “মানব-চরিত্র” নামে একখানি পদ্যগ্রন্থ বচনা করেন। তাহাতে তাহার কবিত্ব খ্যাতি তদানীন্তন সমাজে ব্যাপ্ত হয । ভাকরে লিখিত কবিতাগুলির মধ্যে কতকগুলি কবিতা লোকের দৃষ্টিকে AV