পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ब्रांबड्छूं छांदेिी ७ उ६कांशीब बनषांख উৎপীড়ন আল্লানভাবে অটল ধৈৰ্য্যের সহিত বহন করিয়াছেন। এমন গভীর মাতৃভক্তির দৃষ্টান্ত অতি বিরল ! উপার্জনের সমুদয় টাকাই মাতার হন্তে দিতেন। মাতা হাতে তুলে যা দিতেন তাতে কখনও দ্বিরুক্তি ছিল না। খৃষ্ট্রেব ত্যাগাস্বীকার, স্বৰ্গীয় অতুলন। ধৈৰ্য্য, ক্ষমাশীলতা, তিনি জীবনের প্ৰতি কাৰ্য্যে, তাহার প্রভুর আদর্শ যেন প্ৰতিফলিত করার জন্যই তদীয় শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন ! এমন খ্ৰীষ্টগত জীবন জগতে দুর্লভ ! রবিবারগুলি তাহার জীবনের যেন আরও পরীক্ষা ও কষ্টেব দিন ছিল । রবিবার যে খ্ৰীষ্টশিষ্যেব কি সাধনাব দিন তাহা তাহার জীবনে সুস্পষ্ট দেখেছি। বিশেষ আহারাদি সে দিন হইত না , কেবল নির্জনে বসে শাস্ত্ৰ পাঠে ও প্রার্থনাদিতে সময় যাপিত হইত। আর মাতা ও সে দিন যেন অধিক বিষাদে, মনঃক্ষোভে, তিবন্ধাব পীডনে, সন্তানের সংশোধন কবিবেন ভেবে সকল প্ৰকাবি কষ্ট দিতেন ; নানা প্রকারে সাধনাব বাঘাত জন্মাইতেন । কিন্তু তিনি সকলই অবিচলিতভাবে বহন করে ক্লেশজনিত বিষাদের মৃদু হাসিতে কেবল বলিতেন -“মা আমার শাস্ত্ৰে কি আছে জানিলে তুমি কখনও এমন কবিতে না।” * * * পুত্রের প্রতি এই কঠোব ব্যবহাব যে দেখিত সেই অবাক হইত। সকলেই বলাবলি কবিতা-“এতি ধৈৰ্য্য কোথায পাইল, যাতে নিয়ত মারা এত DDS D DDD DBB KYDD SS যে পরিবারে এরূপ পিতাব স্মৃতি থাকে। সে পবিবার ধন্য ! যে বংশের লোকে মাতার পদদ্বয তাম্রকুণ্ডে স্থাপন পুর্বক পুজা করিতে পাবে, সে বংশের পক্ষে এই মাতৃভক্তি আর আশ্চর্য্যের বিষযা কি ? এই চবিত্রেব গুণেই, ১৮৫৭ শ্ৰীষ্টাব্দেব সিপাহী বিদ্রোহেব সময, সিপাহীগণ যখন আগবানগর আক্রমণ করে, এবং প্ৰত্যেক ইংরাজ ও প্ৰত্যেক দেশীঘ খ্ৰীষ্টানকে হত্যা করিতে প্ৰবৃত্ত হয়, তখন তৎপ্ৰদেশীয় হিন্দুগণই তাহাকে লুকাইয়া বাথিয়া তাহার প্রাণরক্ষা করিয়াছিল । এই চরিত্র দেখিযাই সুবাপান-নিবারণী সভার সুপরিচিত বক্তা Ossos se še" (Rev. Evans)-fife »bran Pico bi to Kota দ্বারকানাথের সহিত আগরাব কেল্লাতে বন্দী ছিলেন-বলিয়াছিলেন - "Meek as a lamb, humble as a baby, true as steel-air fief নিরীহ তাতে মেষশাবক, বিনয়ে শিশু ও সত্যনিষ্ঠাতে ইস্পাত স্বরূপ ছিলেন। এই চরিত্রের গুণে মুগ্ধ হইয়াই ভক্তিভাজন বামতনু লাহিডী মহাশয় আমাকে একবার বলিয়াছিলেন—“বয়সে সে আমার কনিষ্ঠ ভাই ছিল, কিন্তু চরিত্রগুণে আমার পিতৃস্থানীয় ” দুঃখের বিষয় দ্বারকানাথের জীবন অকালেই বিলীন হইয়াছিল। ১৮৬৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি ইহলোক পরিত্যাগ করেন। ঐইরূপে দেখা যাইতেছে এই লাহিড়ী বংশীয় ব্যক্তিগণের অনেকেই সহৃদয়, সদাশয়, ধৰ্ম্ম-পরায়ণ, পরোপকারী ও সত্যনিষ্ঠ লোক ছিলেন। এরূপ কুলে