পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RAg বামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ “অবলাবান্ধব’ ইহার কয়েক বৎসর পুর্বে ঢাকা হইতে প্ৰকাশিত হয় ; এবং নারীগণের শিক্ষা ও উন্নতির সম্বন্ধে অত্যগ্রসর দলের কাগজ বলিয়া পরিগণিত হয়। কলিকাতাতে আসিষা নূতন নূতন লেখকদিগের সাহায্যে অবলাবান্ধবেব শক্তি ব্ৰাহ্মসমাজ মধ্যে প্রবল হইয়া উঠে। ব্ৰাহ্ম যুবক যুবতীদিগের মধ্যে অনেকে ঐ ভাবাপন্ন হইযা উঠেন । এই ক্ষেত্রে হাইকোটেব ভূতপুর্ব সুপ্ৰসিদ্ধ উকিল দুৰ্গামোহন দাস মহাশয়। ১৮৭০ সালে হাইকোটে ওকালতী করিবার জন্য বরিশাল হইতে কলিকাতায় আসিলেন। তিনি আসিয়া গাঙ্গুলী মহাশয্যের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হইলেন। ব্ৰাহ্মীদিগোিব উপাসনাস্থান যে ভাবতবৰ্ষীয ব্ৰহ্মমন্দিব তা হাতে কেন মহিলাদিগের জন্য পর্দাব বাহিবে বসিবাব স্থান থাকিবে না, অগ্রসর যুবকদলেব মধ্যে এই আলোচনা কিছুদিন চলিল । অবশেষে তাহাবা কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয়কে আপনাদেব অভিপ্ৰায জানাইলেন। বলিলেন যে, তাহারা স্বীয স্বীয় পরিবাবেবী মহিলাদিগকে লইযা পর্দার বাহিরে প্ৰকাশ্যভাবে বসিতে ইচ্ছুক, এ বিষযে তাহাকে সম্মতি দিতে হইবে। আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্ৰ মহা সমস্যার মধ্যে পডিয়া গেলেন। তঁাতার উপাসকমণ্ডলীব কতকগুলি লোক যেমন এই প্ৰাৰ্থন জানাইলেন, অপরদিকে প্ৰাচীন ভাবাপন্ন অনেক সভা তদ্বিরুদ্ধে মত প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন । এই চর্চা যখন চলিতেছে এমন সমযে একদিন অগ্রসর দলেব কতিপয় ব্যক্তি স্বীয স্বীয পত্নী ও কন্যাগণকে লঙ্গীয়া আসিয়া পৰ্দাব বাহিবে সাধাবণ উপাসকগণের মধ্যে বসিলেন। প্ৰাচীন ও নবীন উপাসকগণের মধ্যে মহাবিরোধ ও আন্দোলন উপস্থিত হইল। স্বযং কেশবচন্দ্র সেন মতাশষও এতদূব যাইতে প্ৰস্তুত ছিলেন DD S TDD BBBBDDBD DBDDBD KB BDBBDLD DBDD BDBBDS SDBDzDBB সেন্ধপ নিষেধ ন্যান্যসঙ্গত বিবেচনা কবিলেন না । বলিলেন-“র্তাহাবাও উপাসকমণ্ডলীব সভ্য, মন্দির। নিৰ্ম্মাণ বিষযে তঁাহারাও সাহায্য করিয়াছেন, মন্দিবের মধ্যে যেখানে ইচ্ছা তঁহাদের বসিবার অধিকাব আছে।” কিন্তু সে আপত্তি শোনা হইল না । বারান্তরে তাহার। মহিলাগিণের সহিত উপস্থিত হইলে তাহাদিগকে বসিতে নিষেধ কাবা হইল। তখন তাহারা বিরক্ত হইয়া ভারতবর্ষীয় ব্ৰহ্মমন্দিবে আসা পবিত্যাগ করিলেন , এবং প্ৰসিদ্ধ ডাক্তাব অন্নদাচরণ খাস্তগিব মহাশয়েব ভবনে এবং তৎপরে অন্য স্থানে একটি স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপন করিলেন। এই সমাজের কাৰ্য্য স্বতন্ত্রভাবে কিছুদিন চলিয়াছিল , তৎপরে কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশষ ব্ৰহ্মমন্দিরে পর্দাব বাহিরে মহিলাদিগের জন্য বসিবার আসন করিয়া দিলে, প্ৰতিবাদকারিগণ নিজেদের সমাজ তুলিয়া দিয আবার ব্ৰহ্মমন্দিবে ফিরিয়া আসিলেন । স্বতন্ত্র সমাজটি উঠিয়া গেল বটে, কিন্তু স্ত্রীশিক্ষা ও ফ্ৰীজাতির উন্নতি-বিষযে প্ৰাচীন ও নবীন দুই দলের মধ্যে যে পার্থক্য ঘটিয়াছিল। তাহা সম্পূর্ণ তিরোহিত হইল না। কেশবচন্দ্ৰ ভাবতাশ্রম ভবনে বয়স্থা বিদ্যালয় স্থাপন