পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vyr 9ff ቅ ግa› KBBBDD DBDS DDD DBBDB DBBB BB DDDBDBDD DDBB ও দারিদ্র্যের তাড়না বিশেষভাবে সহ কবিতে হইযছিল। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি তঁাহাব অনুবাগের সঞ্চার দেখিযা পিত। কাশীকান্ত উগ্ৰমূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন। এমন কি প্ৰহাব পৰ্য্যন্ত করিতে বিবত হন নাই । কিন্তু কিছুতেই নবকান্তকে নিবাস্ত কবিতে পাবিলেন না। তাহার পিতৃবিযোগেব। পরে তাহাব কঠোব সংগ্ৰাম উপস্থিত হইল । পতা উইল করিয়া গেলেন, যে ছেলে স্বধৰ্ম্মে না থাকিবে সে তাহাব পবিত্যক্ত ম্পত্তি পাইবে না । তদনুসাবে নবকান্তু সর্বপ্রকার পৈতৃক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইযা অসম্পূর্ণ শিক্ষা লইযা পরিবার প্রতিপালনেব জন্য ঘোর সংগ্রামের ধ্যে পাডিলেন। তিনি প্ৰথমে ধামাবাই নামক স্থানেব। স্কুলে শিক্ষকতা কায্যে নযুক্ত হন। পরে শ্ৰীনগর মাইনবা স্কুলোব প্ৰধান শিক্ষকের কাজ কবেন। তাহার পরিবারস্থ ব্যক্তিগণ বলেন যে, “স্কুলোেব সম্পাদক তাহাকে বিল সম্বন্ধে একটা অসঙ্গত প্ৰস্থাবে সম্মত হইতে অনুবোধ কবাদ্য, তিনি তৎক্ষণাৎ কাশ্য পবিত্যাগ করিয়া ঢাকায় চলিয়া গেলেন” । ঢাকাতে আসিয়া তিনি প্ৰথমে পোগোস স্কুলে, তৎপবে জগন্নাথ ক্লালেজে শিক্ষক ৰূপে প্ৰতিষ্ঠিত থাকেন। ১৮৬৯ সালের শেষে কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় ঢাকা ব্ৰাহ্মমন্দিবের প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ঢাকাতে গিযা ৪০ জনকে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। তাহার মধ্যে বকান্ত চট্টোপাধ্যায একজন ছিলেন । সে সমযে, ঢাকাতে কিরূপ আন্দোলন উঠিয়াছিল, তাহা অগ্ৰেই প্ৰদৰ্শন করিয়াছি । ইহার পরে নবকান্ত বাবু নানা সৎকাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইতে লাগিলেন। তাহারও উল্লেখ করিয়াছি। তাহার ভবন আশ্রয়াথিনী হিন্দু বিধবা ও কুলীন কন্যাগণেব আশ্ৰয়স্থান হুইযা উঠিল। তিনি কৌলীন্য-প্ৰথা ভঞ্জন, বহুবিবাহ নিবারণ, সুরাপান এ দুনীতি নিবাবণ প্ৰভৃতি সকল প্ৰকাব দেশহিতকবি কাৰ্য্যে অবিরাম পরিশ্রম কবিতে লাগিলেন । এইৰূপ নানা সদনুষ্ঠানে রত থাকিতে থাকিতে বাঙ্গাল। ১১৩১ সালেব ১৫ই আশ্বিন তাহাব জন্মদিনে ইহলোক পরিত্যাগ কবিলেন । ব্ৰাহ্মসমাজ ও নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কাৰ্য্য ব্যতীত এই কালেব মধ্যে রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়ের কৌলীন্য-প্ৰথা নিবারণের চেষ্টাতে মানুষের মনকে উত্তেজিত রাখিয়াছিল, তাহা দশম পরিচ্ছেদে তাহার জীবন চরিতের মধ্যে উল্লেখ করিয়াছি। বিদ্যাসাগর মহাশয় যে বাজবিধির দ্বাবা বহুবিবাহ নিবাবণে প্ৰয়াসী হইয়াছিলেন, তাহার পশ্চাতে যে বাসবিহাৰী মুখোপাধ্যায়ের প্ৰয়াস বহু পরিমাণে ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার সেই উদ্যমে শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের সেরূপ সহায়তা পান নাই। রাসবিহারী অশিক্ষিত হইয়াও তঁাহার উৎসাহদাতা হইয়াছিলেন বলিয়া তিনি শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের প্রতি হাডে চটিয়া গিয়াছিলেন। যাহা হউক পুর্ববঙ্গ হইতে বহুদিন সৰ্ববিধ সামাজিক উন্নতির অনুকুল বাক্য শোনা যাইতেছে।