পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V~)g বামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ সপরিবারে মন্দিরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সে বারে মন্দিবেন্দ তত্ত্বাবধায়ক মহিলাগণকে সকলের মধ্যে বসিতে নিষেধ করিলেন । তাহাব। বিবাদ না করিয়া চলিয়া গেলেন । তদবধি তাহারা মন্দিরে আসা পরিত্যাগ করিলেন , এবং একটি স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপন করিলেন। প্ৰথমে খাস্তগিরি মহাশয্যের ভবনে এই সমাজের অধিবেশন হইতে লাগিল। প্ৰতিবাদকারিগণ গিয়া তাহদের নবপ্রতিষ্ঠিত সমাজে উপাসনা করিবার জন্য মহামি দেবেন্দ্রনাথকে ধরিলেন। যে কেহ উপাসনা করিতে ডাকিত, তিনি নিতান্ত অসমর্থ না হইলে সে প্রার্থনা পুৰ্ণ করিতেন, দেবেন্দ্রনাথের এই নিষম ছিল , স্বতবাং তিনি আহবান মাত্ৰ আসিয়া একদিন উপাসনা করিয়া নবসমাজের উৎসাহী সভ্যগণকে আশীৰ্বাদ করিয়া গেলেন। ক্রমে ঐ সমাজ একটি স্বতন্ম বাডী ভাডা করিয়া সেখানে উঠিয়া গেল। কেশবচন্দ্ৰ দেখিলেন তাহাব সঙ্গের লোক দুই ভাগ হইয়া যায়, অনেক চিন্তা ও প্রার্থনানন্তব্য তিনি ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মমন্দিরের এক পার্শ্বে স্ত্ৰীস্বাধীনতাপক্ষীয় পরিবার সকলের মহিলাগিণের জন্য পর্দার বাহিরে আসন নির্দেশ কবিলেন । তাহা এক কোণে ও রেলের মধ্যে হওয়াতে যদিও ঐ দলেব সকলোব গ্ৰীতিপ্ৰদ হইল না, তথাপি দাস মহাশয়েব পরামর্শানুসাবে গাঙ্গুলি ভায়াব দল তাহাতেই সন্তুষ্ট হইয়া, কিছুদিন পবেই স্বতন্ত্র সমাজ তুলিয{ দিলেন ; এবং পুনবাষ ব্ৰাহ্মমন্দিবেব উপাসনাতে আসিতে লাগিলেন। ইহার পাবে ১৮৭২ সালে কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় “ভাবত আশ্ৰম” স্থাপন কবিয়া তাহাতে বন্যস্থা মহিলাদিগেব জন্য একটি স্কুল খুলিলেন। ব্ৰাহ্ম পবিবার সকলেব অনেক মহিল| তাহাতে ছাত্রী হইলেন । কিন্তু ঐ বিদ্যালয স্ত্রীস্বাধীনতা পক্ষীযদিগেব। মনঃপুত হইল না। কারণ ঐ বিদ্যালয়ে কেশববাবু মহিলাদিগের শিক্ষার যে আদর্শ অবলম্বন কবিয়াছিলেম, তাহ। স্ত্রীস্বাধীনতাপক্ষীযগণের মতে প্ৰকৃত আদর্শ অপেক্ষা হীন ছিল । কেশবচন্দ্ৰ নাবীদিগকে উচ্চ গণিত, জ্যামিতি, লজিক প্ৰভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়েব অবলম্বিত অনেক বিষযা শিক্ষা দেওয়া অবশ্যক বোধ কবিতেন না । তিনি শিক্ষা বিষযে পুরুষে ও নারীতে ভেদ বাখিতে চাহিতেন। নবীগণকে বিশ্ববিদ্যালযেব রীতি অনুসাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত বোধ করিতেন না । অপর পক্ষ ইহাব বিবোধী ছিলেন। তাহারা নারীদিগকেও বিশ্ববিদ্যালয্যের অবলম্বিত উচ্চশিক্ষা দিতে চাহিতেন। সুতরাং তঁাহাবা দ্বারকানাথ গাঙ্গুলিব উদ্যোগে এবং দুর্গামোহন দাস মহাশয়ের অর্থ সাহায্যে, অনুমান ১৮৭৩ সালে, কলিকাতাব সন্নিহিত বালিগঞ্জ নামক স্থানে, কুমারী এক্ৰযোডকে তত্ত্বাবধায়িকা করিয়া, হিন্দু-মহিলা-বিদ্যালয় নামে নারীগণের উচ্চশিক্ষার জন্য এক লোডিং স্কুল স্থাপন করিলেন। দুৰ্গামোহন বাবু এই স্কুলে স্বীয় কন্যাদিগকে দিলেন। কেবল তাহা নহে,