পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পবিচ্ছেদ VS ভানিতেছেন এমন সময়ে তাহাব পিতৃগৃহের একজন প্ৰাচীন পরিচারিকা আসিয়া ভঁাতাকে তদাবস্থাতে দেখিয়া হায্য হায় করিতে লাগিল। জগদ্ধাত্রী হাসিয়া বলিলেন,--“আমি এই খানে বড় সুখে আছি । তুমি মাকে বলিও আমাব কোনও দুঃখ নাই। আমি কাজ কবিতে বড ভালবাসি।” তিনি রূপে গুণে লোকে বা চিত্তকে এমনি আকৃষ্ট করিষাছিলেন যে, যখন তিনি চলিযা যাইতেন লোকে পশ্চাৎ হইতে বলিত-“যেন সাক্ষাৎ ब्लकौ ।।” এই লাতিন্ডী ও বাযপবিবারদিগেব একটি বিশেষ সদগুণ এখানেই উল্লেখযোগ্য। ইতাদের পবন্স্পবের মধ্যে গ্ৰীতিবন্ধন অতীব সম্পূহণীষ । জগদ্ধাত্রী যখন সন্তুষ্টচিত্তে দাবিদ্র্যোব মধ্যে বাস করিতেন, নিজ দুঃখের কথা কাহাকেও YDBeDB BSYBB DuBBD DBDDD LDDLDBD BDD DBBJO D S S SSMBB প্ৰতিদিন নীলকুঠী হইতে ফিরিষা গৃহে যাইবাব সময় ভগিনীর গৃহে পদাপণ কবিতেন এবং গোপনে যথাসাধ্য সাহায্য কবিবাব প্ৰব্যাস পাইতেন । এইরূপ মাতামহকুলে রামতনু জন্মগ্রহণ কবিলেন । লাহিডী মহাশযেব জন্মকালে তঁাহার পিতা রামকৃষ্ণ সামান্য পৈত্রিক বিষযের আযেব দ্বাবা ও নিজে তৎকাল- প্ৰসিদ্ধ লালা বাবুদিগের ম্যানেজারি কবিয যাহত কিছু পাইতেন তদাবি কষ্টে সংসাবষাত্র নির্বাত কবিতেন । নবদ্বীপাধিপতি বাজা শিবচন্দ্রেব দৌহিত্ৰিদ্ধয, হবিপ্ৰসন্ন বাষ ও নন্দপ্ৰসন্ন রায়, সে সমযে বড লালা ও নূতন লালা নামে প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। রামকৃষ্ণ ইহাদেব সামান্য বিষয সম্পত্তিব ম্যানেজাবি কবিতেন । এই ভ্ৰাতৃদ্বয়েব সদাশয়তা, সত্যনিষ্ঠা ও সাধুচরিত্রের বিষযে অনেক আখ্যায়িক। কৃষ্ণনগরে প্রচলিত আছে । কাণ্ডিকেয়চন্দ্ৰ বায মহাশয আত্মজীবনচরিতে এক স্থানে বলিযাছেন -“এই ভ্ৰাতৃদ্বয্যের কোনও দোষ কখনও কেহ দেখেন নাই বা শুনেন নাই , পবন্তু সকলেই তঁহাদেব গুণের কথা কীৰ্ত্তন কবিতেন।” রামকৃষ্ণ নিজে যেরূপ ধৰ্ম্মপবাযণ লোক ছিলেন, সেইরূপ ধৰ্ম্মপবায়ণ প্রভুও পাইয়াছিলেন। কিন্তু লাল বাবুদের ম্যানেজাবিব বেতন স্বল্পই ছিল। ধৰ্ম্মভীৰু বামকৃষ্ণ উপবি আয়ের দিকে চাহিতেন না , সুতবাং কেশবচন্দ্ৰ উপাৰ্জনক্ষম না হওয পৰ্য্যন্ত ক্লেশেই তাহার সংসাব চলিত । রামকৃষ্ণ সন্তানদিগকে সর্বদা কুসঙ্গ হইতে দূবে রাখিবার চেষ্টা করিতেন। প্ৰতিদিন সাযৎকালে বিষয্য কৰ্ম্ম হইতে অবস্থিত হইযা কিযৎকাল ধৰ্ম্মালোচনাতে যাপন কবিতেন। সে সময়ে পাড়াতে দেবীপ্রসাদ চৌধুৰী নামে একজন ভদ্র গৃহস্থ ছিলেন। ইনি স্থানীয় আদালতে মহাফেজের কাজ করিতেন। দোল দুর্গোৎসব প্ৰভৃতি বার মাসে তেব পার্বণ, ব্ৰাহ্মণ ভিক্ষুককে দান, স্বীয় ভবনে শান্ত্রপাঠ, কথকতা প্ৰভৃতির ব্যবস্থাবিধান প্ৰভৃতি নিষ্ঠাবান• হিন্দুগৃহস্থোচিত সমুদয় কাৰ্য্যের জন্য তিনি কৃষ্ণনগরে প্রসিদ্ধ হইয়াছিলেন ।