পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১০

AOS a রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ উৎসাহের সহিত রাজনীতির আন্দোলনে সাহায্য করিতে লাগিলেন। কংগ্রেসের অবলম্বিত আলোচ্য বিষয সকলের মধ্যে একটি বিষয় তিনি সর্বপ্রথমে অবতাবণা করেন ; এবং দৃঢ়তার সহিত প্রচার করেন। । তাহা বিচার ও শাসন বিভাগকে স্বতন্ত্র করা। রাজপুরুষগণ এতদিনের পর এই পবামর্শ অনুসারে। কাৰ্য্য করিবাব জন্য প্ৰস্তুত হইযাছেন। কিন্তু মনোমোহন ঘোষ মহাশয় যে সময়ে এদিকে সকলের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তখন এবিষযে অনেকেব। দৃষ্টি পডে নাই। ইহাতেই তাহার দূৰদৰ্শিতা ও স্বজাতিপ্ৰেমেব নিদর্শন পাওয়া যাইতেছে। ১৮৬৯ হইতে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তিনি স্বদেশবাসিগণের চিত্তে স্বজাতি প্ৰেম উদ্দীপ্ত করিবার জন্য নানা স্থানে বক্তৃতাদি করেন । ১৮৮৫ সালে তিনি স্বদেশীযগণের প্রতিনিধিৰূপে ইংলণ্ডে গমন করিয়া সে দেশের নানা স্থানে ভাবতের দুঃখ দুৰ্গতির বিষয়ে বক্তৃতা করেন। সেই বক্তৃতার ফলে অনেকের দৃষ্টি ভাবতবর্ষের দিকে আরুষ্ট হয় ; এবং ইংলণ্ডে ভারতহিতৈষী দলের অঙ্গপুষ্টি ও তাঁহাদেব প্রভাব বৃদ্ধি হয়। এইৰূপে স্বদেশেব হিত চিন্তাতে রত থাকিতে থাকিতে ১৮৯৬ সালে দারুণ পক্ষাঘাত বোগে তাহাব মৃত্যু হয়। র্তাহার মাতৃভক্তি অতিশয় প্ৰগাঢ় ছিল। কলিকাতায্য বিষয্য কৰ্ম্মে ব্যাপৃত থাকিবার সময়েও একটু অবসর পাইলেই জননীর চবণদর্শনের জন্য কৃষ্ণনগবেব বাড়ীতে যাইতেন , এবং মাতৃ সঙ্গে কয়েক দিন যাপন করিয়া আসিতেন। সেই নিয়মানুসারে ঐ বৎসবেব অক্টোবব মাসে পুজাব বন্ধেব সময় কৃষ্ণনগবেব বাড়ীতে গমন কবিযাছিলেন । সেখানে একদিন হঠাৎ মাথাতে রক্ত উঠিয়া অচেতন হইয়া পড়েন। তাহার কয়েক ঘণ্টাব মধ্যেই প্ৰাণ বায়ু তাহার দেহকে পরিত্যাগ কবিয়া যায । এতদ্ভিন্ন এই কালেব নেতৃবৃন্দের মধ্যে কেহ কেহ এখনও জীবিত আছেন ; BBDz DDBD DBBDDSDDDB DDDu DBDEBBDD DS शू6भं *बिरुका কৰ্ম্ম হইতে অবস্থিত হইয়া কৃষ্ণনগরে বসিবার পর ১৮৬৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লাহিডী মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা লীলাবতীর বিবাহ হয়। ডাক্তার তারিণীচরণ ভাদুড়ী নামক একজন এসিষ্ট্যাণ্ট সার্জনের সহিত এই বিবাহ হয়। দেশীয় প্ৰচলিত রীতি অনুসারে এ বিবাহ হয় নাই।