পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A9 RV बांभड वांश्ष्टिी०७ ड६कांकौन बचनगांव এতদূর শোকার্ত হইয়াছ, সে জন্য তোমাকে ধন্যবাদ করি , কিন্তু এস আমবা সকলে ঈশ্ববকে ধন্যবাদ কবি যে, তিনি আমাব কন্যাকে বোগযন্ত্রণা হইতে উদ্ধার কবিয়াছেন।” একজন বন্ধু ভাগলপুব হইতে লিখিয়াছেন যে, আব্বা হইতে ইন্দুমতীকে কৃষ্ণনগরে লওয়াব পাব। তিনি লাহিডী মহাশষেবা পত্রে সর্বদা ইন্দুব সংবাদ পাইতেন। একবাব লাহিডী মহাশষ এই মৰ্ম্মে লিখিলেন—“তুমি শুনিয সুখী হইবে, ইন্দুমতীর রোগ যন্ত্রণা আর নাই, সে এখন বেশ সুখে আছে।” পত্ৰ পডিয়া তাহার মনে হইল, সৌভাগ্যক্রমে কোন ও অন্তকিত উপায়ে বোধ হষ, ইন্দুমতীব রোগেব উপশম হইয়াছে। পাবে অনুসন্ধানে জানিলেন যে, ঐ ংবাদ ইন্দুর মৃত্যু-সংবাদ। গীতাকার জ্ঞানী মানুষকে বিগত-শোক হইবার জন্য উপদেশ দিঘাছেন , এই ত সেই উপদেশ জীবনে ফলিত দেখিযাছি ! বিশেষ আশ্চয্যেবা বিষয। এই, যিনি মনেব আবেগ বশতঃ ব্ৰহ্মোপাসনাস্থলে ভাল করিষা বসিতে পাবিতেন না, যিনি কাহাবও সামান্য ক্লেশ দেখিলে এত উত্তেজিত হইতেন, নিজের শোকের সময। তাহাব এই পীীবতা ! প্ৰকৃত বিশ্বাসী ও ঈশ্ববি-প্ৰেমিক মানুষে অসম্ভব সম্ভব হত্য ! বলিতে কি, ঈশ্ববেবি মঙ্গলস্বৰূপে তাহার একম্প প্ৰগাঢ বিশ্বাস ছিল যে, কেহ শোকে অতিরিক্ত কাতিব হইত্যা কঁদিলে তাহার সহ্য হইত না । সে ব্যক্তিকে ঈশ্ববোিব মঙ্গল-স্বরূপে বা কথা শুনাইবাবি জন্য ব্যগ্ৰ হইতেন । এ বিষযে একদিনকার একটি ঘটনা আমার স্মবাণ আছে। নবকুমাবেব ও ইন্দুমতীব মুতু্যাব পাব। তিনি কলিকাতায্য আসিষা চাপাতলাতে একটি বাড়ী ভাডা কবিঘা কিছু কাল ছিলেন । সেই সময় একদিন আমি তাহার সহিত সাক্ষাৎ কবিতে গেলে আমাকে বলিলেন—“আমাদেব পাশেব বাড়ীতে একটি ছেলে মাবা গিযাছে, বাউীব লোক, পুরুষ শ্ৰী লোক, মিলিযা কয়দিন কঁদিতেছে । দেখা ঈশ্বরের মঙ্গল-স্বরূপে বিশ্বাস না থাকলে মানুষের কি দশা হয! আমি ওঁদের বাড়ীর পুরুষদিগকে বুঝাতে গিয়েছিলাম। আমি গিয়ে বললাম, আপনার তা পরকাল মানেন, একজন মঙ্গলকৰ্ত্ত আছেন তাও তি মানেন, তবে এতদিন ধরে এত কান্না কাটি কেন করেন ? তাতে তারা পুনর্জন্ম ও শাস্ত্রেব কথা তুলেন , আমি বললাম। আমি মুর্থ মানুষ, শান্ত্র টাস্ত্ৰ জানি না , এই বলে পালিয়ে এসেছি, তুমি শাস্ত্ৰ জান, তুমি কি শাস্ত্রের বচন টচন তুলে ওঁদিগকে বুঝিয়ে দিতে পার, অতিরিক্ত শোক কবা ধামিক লোকের পক্ষে উচিত নয় ?” আমি বলিলাম,-“ওঁবা যখন তর্ক তুলেছেন তখন বুঝাতে যাওয়া বৃথা।” বুঝাইতে আর যাওয়া হইল না। আমি এই সাধুপুরুষের ভাব দেখিয়া মনে মনে বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া ঘরে আসিলাম । নবকুমার ও ইন্দু চলিযা গেলে জননীর নিকট কৃষ্ণনগরের বাড়ী স্মশানসমান হইল। তিনি কৃষ্ণনগরের প্রতি বিমুখ হইলেন। যেন জীবনের