পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

star Play Nob এখানে কয়েক বৎসর থাকিয়া গবৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক নড়াইলেব জমিদারীর বিশৃঙ্খলা নিবারণার্থ প্রেরিত হন । সে কাৰ্য্য দক্ষতাব সহিত সম্পাদনা করিয়া ১৮৮২ সালে আবার কলিকাতাতে প্ৰতিনিবৃত্ত হন। ১৮৮২ সালে কলিকাতার হ্যারিসন বোড ও খিদিরপুরের ডকেব। জমি কিনিবার ভাব তাহার উপবে পডে। এ কাৰ্য্য তিনি দক্ষতা সহকাবে নিম্পন্ন করিয়া কর্তৃপক্ষেব প্ৰশংসাভাজন হন । বিষয় কায্যে সর্বসাধারণেব শ্ৰীতি ও শ্রদ্ধাভাজন হইয ১৮৯২ সালেব এপ্ৰেল মাসে তিনি পেনশন লাইন্যা কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্ৰহণ করেন , এবং কলিকাতাতে বাস কবিতে থাকেন । পেনশন লওযাব পােব অধিক দিন জীবিত থাকেন নাই । ১৮৯৪ সালের ৩রা মে দিবসে কলিকাতাব वाौिटऊ झटयाटश ईशब्र भूङ् श् । জীবনের কঙ্কালময় কাঠামখানা ত এই গেল। কিন্তু তিনি কি মানুষ ছিলেন তাহা সংক্ষেপে বলিবাবা নহে । তাহা দেখিযা আমরা সকলন্দাই বলিতাম। উপযুক্ত গুৰুব উপযুক্ত শিষ্য। পঠদ্দশাতেই বাবাসতেব প্ৰসিদ্ধ ডাক্তাব নবীনকৃষ্ণ মিত্রেব কন্যা কুম্ভীবালাব সহিত ইহাব বিবাহ হয । বিদ্যাসাগর মহাশয এই বিবাহের ঘটক ছিলেন ; তিনিই কৃষ্ণনগরে গিয়া পাত্র দেখিয়া আশীৰ্বাদ কবিয আসিয়াছিলেন। কুন্তীবালাব অল্পবয়সেই পিতৃবিযোগ হয়। তখন নবীনকৃষ্ণেব ভ্ৰাতা বঙ্গসমাজে জ্ঞান ও সাধুতাব জন্য সুপ্ৰসিদ্ধ কালীকৃষ্ণ মিত্ৰ মহাশযেব প্ৰতি তাহাব রক্ষণাবেক্ষণ ও শিক্ষাব ভাব পডে। কালীকৃষ্ণ বাবু নিজে যত্নপূর্বক কুন্তীবালাকে ইংবাজী ও বাঙ্গালা শিক্ষা দিযাছিলেন। কিন্তু হায্য । সুখের সমুদয উপক বণ যখন বিদ্যমান, তখন এক দুর্ঘটনা ঘটিযা ১৮৬৯ সাল হইতে চিরজীবনের জন্য কালীচৰণ বাবুব পারিবাবিক সুখ বিনষ্ট হয়। ঐ সালে অকালে এক পুত্ৰ হাবাইয়া কুণ্ঠী উন্মাদ-রোগগ্ৰস্ত হন । তদবধি কালীচবণ বাবুব গৃহ শাস্তিহীন হইয়া যায। উন্মাদ-বোগগ্ৰস্তু পত্নীকে লইষা প্রাণভযে তাহাকে সর্বদা সশঙ্কচিত্তে বাসা কবিতে হইত। তখন হইতে র্তাহার যে ধৈৰ্য্য ও কৰ্ত্তব্যপবায়ণতার দৃষ্টান্তু আমরা দেখিয়াছি তাহা ভুলিবর নহে। অ্যাব একটা কথা এইখানেই বলিয়া রাখিযাব যোগ্য । তাহা বিদ্যাসাগব মহাশয়েব সহৃদয়ত। একদা কুষ্ঠী তাহার উন্মাদ অবস্থাতে এই গে। ধবিলেন যে, বিদ্যাসাগর খাওযাইয়া না দিলে খাইবেন না । অন্যে আহার করাইতে গেলে মুখ বন্ধ করিষা থাকিতেন, কোনও ক্রমেই মুখে অল্পের গ্রাস লাইতেন না । এই সংবাদ যখন বিদ্যাসাগব মহাশয়েব নিকটে গেল, তখন তিনি হাসিয়া বলিলেন-“তা আর কি হবে, মেয়েটা কি না খেযে মারা যাবে, আমি দু’বেল গিয়া খাওয়াইয়া আসিব ।” তিনি সত্য সত্যই কয়েক মাস ধরিয়া দু’বেলা আসিয়া কুন্তীকে খাওয়াইয়া যাইতেন। আমরা ইহা দেখিয়াছি। ইহা মিত্র পরিবারেব প্ৰতি, বিশেষতঃ সুযোগ্য 良枪