পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VN) রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ জামাত কালীচরণের প্রতি, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রীতি ও শ্রদ্ধার *bिाग्रक भांड । পত্নীব উন্মাদৰোগ-প্ৰাপ্তির দিন হইতে জীবনের শেষ দিন পৰ্য্যন্ত কালীচবণ বাবু কঠোব ব্ৰহ্মচৰ্য্য ব্ৰত ধাবণ করিয়াছিলেন । আহারে বিহারে পোষাকে পরিচ্ছদে, কেহ তাহাকে বিলাসেব ত্ৰিসীমায় পদাৰ্পণ কবিতে দেখে নাই । কেবল জ্ঞান-চৰ্চা, সাধুসঙ্গ, সদালাপ ও স্বীয কৰ্ত্তব্যসাধনে নিমগ্ন থাকিতেন। এই ভাবে জীবনের শেষ পৰ্য্যন্ত র্তাহাব দিন অতিবাহিত হইয়াছিল। একদিকে কালীচবণ বাবু অপব দিকে বিদ্যাসাগব মহাশয, দুই জনেই এই সমযে ভগ্ন লাহিড়ী পবিবাবেব পুনঃ প্ৰতিষ্ঠার জন্য বদ্ধ-পবিকাব হইলেন । ঈহার কলিকাতাতে প্ৰতিষ্ঠিত হইলেই, বিদ্যাসাগব মহাশয় রামতনু বাবুর দ্বিতীয় পুত্ৰ শবৎকুমাবকে ডাকিয়া মেট্ৰপলিটান কলেজেব লাইব্ৰেবিয়ানোব পদে নিযুক্ত কবিলেন। কিছু কিছু অর্থাগম হইতে লাগিল। পুত্রের সাহায্যে কলিকাতাতে ইহাদেব দিন একপ্ৰকাব চলিতে লাগিল। আব্ব এক সাধু পুরুষেব নাম এই খানেই উল্লেখ কবা উচিত। ইনি সে সময়কাব কলিকাতাবাসী শিক্ষিত ভদ্রলোকদিগেব ও সর্বসাধাবণেব গ্ৰীতি ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। ইহাব নাম শ্যামাচাবণ ( দে ) বিশ্বাস। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজেব সম্মুখেই ইহার ভবন ; সুতবাং শ্ৰীতিসূত্রে আবদ্ধ হইয়া, ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগব, দ্বাবকানাথ বিদ্যাভূষণ, প্যাবীচবণ সবকবি, প্ৰসন্নকুমার সর্বাধিকারী প্রভৃতি বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ইহাব ভবনে সৰ্ব্বদা গমন করিতেন। সেখানে প্ৰায় প্ৰতিদিন এই সকল মহাজনের একটি সুহৃদগোষ্ঠব অধিষ্ঠান হইত। শুষ্ঠামাচরণ বাবু নিজে সাধু, সদাশয়, সত্যবাদী, স্পষ্টভাষী ও অকৃত্রিম মানুষ ছিলেন। এজন্য তঁহাকে সকলেই ভাল বাসিত । এমন কি আমবা তখন কলেজেব ছেলে, আমবাও তঁহাকে অতিশষ ভক্তিশ্রদ্ধা কবিতাম। তিনি কিরূপে স্বীয় ভ্রাতা বিমলাচবণ বিশ্বাসেব গুরুতব ঋণভাব স্বীয় স্কন্ধে লইয়া, নিজেব উচ্চ বেতন ও পদ সত্ত্বেও, চিবদিন টানাটানিব মধ্যে বাস কবিয়াছিলেন, তাহা আমাদের ন্যায় যুবকগণের আদর্শ স্থল ছিল। লাহিড়ী মহাশষ শ্যামাচরণ বাবুর সহিত গভীব গ্ৰীতি-সুত্রে বদ্ধ ছিলেন। কৃষ্ণনগবে থাকিবার সময় যখনি তিনি কলিকাতায় আসিতেন তখন অব কোথাও থাকুন না থাকুন, বিশ্বাস মহাশয়ের ভবনে দুই চাবিদিন বাস কবিতেন। অন্যত্ৰ থাকিলেও প্ৰতিদিন একবাব সে ভবনে পদাৰ্পণ কবিতেন। সে ভবন তাব নিজের ভবনেব ন্যায় ছিল। সে কেবল শ্যাম বাবুব সহৃদযন্তাব গুণে। যে সহৃদয়তা চিবদিন লাহিড়ী মহাশয়কে সেবা কবিয আসিয়াছিল, সেই সহাদয়তা তার কলিকাতায় আসাব পাবে যে র্তাহাকে আলিঙ্গন কবিষ ধবিল তাহা বলা অত্যুক্তি মাত্র। লাহিড়ী মহাশয় সহরে প্রতিষ্ঠিত হইয়া যাহাদের বন্ধুতা লাভ করিয়া আপ্যায়িত হইলেন, তঁহাদের মধ্যে শু্যামাচরণ বিশ্বাস একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তি ছিলেন।