পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 N রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ যুবা আপন আপনি চরণ নিজ বশে বাপিতে পারিলেন না। তঁাহাবা ঐ সঙ্গে নৃত্য আরম্ভ করিলেন । প্ৰাচীন ও পদস্থ একজনও দণ্ডায়মান হইলেন । এক বিজ্ঞবর প্রথমাবধি গম্ভীবিভাবে ছিলেন, তাহাব পদ শেষে অস্থির হইয়া উঠিল। তিনি উক্ত প্ৰাচীনকে নাচাইবাবি ছলে আপনি নাচিতে লাগিলেন।” যে সমাজে সমাজপতি রাজা বন্ধুগণ-সহ একটা দাসী শ্রেণীস্থ বালিকাকে সুরাপান করাইযা তাহার সহিত হাস্য পবিহাসে কবিতে লজ্জা বোধ করেন। না, যে সমাজে সমাজেব শীর্ষস্থানীয ব্যক্তির ভবনে নিমন্ত্রিত ভদ্রমণ্ডলীর মধ্যে এইকপ আমোদ চলিতে পাবে, সে সমাজেব নীতিব অবস্থা কিরূপ দাড়ায় उांश् जकहलझे अक्रयान कब्रेिड ऑांटब्रन । ইহা পরবত্তী ঘটনা হইলেও গিৰীশচন্দ্রের সময়ে যে ইহা অপেক্ষা উচ্চতর অবস্থা ছিল না, তাহা বলিতে পাবা যায। রাজসংসাবেব সম্পৰ্কীয ও আশ্রিত ব্যক্তিদিগেব নীতি এই প্ৰকাব হাওযাতেই বদ্ধিত হইত। দ্বিতীয় শ্রেণীব লোকদিগেব। অনেকে বিদেশে বাস করিতেন। সুতরাং কৃষ্ণনগরের তদানীন্তন সামাজিক অবস্থাব সহিত তাহাদেব যোগ ছিল না, এজন্য তঁহাদের বিষয়ে আলোচনা ত্যাগ করা গেল । যে সকল বিদেশীয় আমলা প্ৰভৃতি কৰ্ম্মসুত্ৰে গোয়াড়ীতে বাস কবিতেন, তাহাদের অবস্থা কি ছিল দর্শন করুন। কাত্তিকোষ চন্দ্র রাষ বলিতেছেন :-“গোষাডীতে কয়েক ঘর গোপ মালোগাডার ও অন্যান্য নীচজাতিব বসতি ছিল । পবে যখন ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্ট স্থান প্ৰশস্ত ও নদীতীবস্থ দেখিয়া ইহাতে বিচাবালয সকল স্থাপন করিলেন, সেই সময় সাহেবেরা গোয়াড়ীর পশ্চিম দিকে ও তাহাদের আমলা, উকীল ও মোক্তারেরা ইহাব পুর্বদিকে আপনি আপনি বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ কবিতে লাগিলেন। তৎকালে বিদেশে পবিবাব লইয়া যাইবার প্ৰথা অপ্ৰচলিত থাকাতে এবং পবিস্ত্রীগমন নিন্দিত বা বিশেষ পাপীজনক না। থাকাতে, প্ৰায় সকল আমলা, উকীল বা মোক্তারের এক একটি উপপত্নী BDDDuDYS DBBBuDS KDBDL S S SDDBLB BBDuBD BDDDDB BDD DBuBD গণিকালয় সংস্থাপিত হইতে লাগিল। পুর্বে গ্ৰীসদেশে যেমন পণ্ডিত সকলেও বেশ্যালয়ে একত্রিত হইষা সদালাপ করিতেন, সেইকােপ প্ৰথা এখানেও প্ৰচলিত হইয়া উঠিল ! যাহারা ইন্দ্ৰিয়াসক্ত নহেন, তাহাবা ও আমোদেব ও পরম্পর সাক্ষাতেব নিমিত্ত এই সকল গণিকালযে যাইতেন। সন্ধ্যার পাব বান্ত্রি দেড় প্ৰতর পর্য্যন্ত বেশ্যালয়ে লোকে পূর্ণ থাকিতে। বিশেষতঃ পর্বোপলক্ষে সেথায় লোকের স্থান হইয়া উঠিত না । লোকে পুজার রাত্ৰিতে যেমন প্ৰতিমা দর্শন কবিয বেডাইতেন, বিজয়ার রাত্ৰিতে তেমনি বেশ্য দেখিয়া বেড়াইতেন।” এ সকল বিবরণ উদ্ধৃত করিতেও লজ্জা বোধ হইতেছে। কিন্তু লজ্জা বোধ করিয়া প্ৰকৃত অবস্থাব প্ৰতি চক্ষু মুদিয়া থাকিলে কি হইবে। তদানীন্তন কৃষ্ণনগরের যে অবস্থা বর্ণনা করিয়াছেন, তদনুরূপ।