পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪

@ $ বামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ BBDD DBDBDDYLDLL DBD BDB BBBBBLLLLLuDS DDuDBLB DBBDDDD BBBDD বালকগণের কঠোব। তপস্যাব ভাব কল্পনাতেও আনিতে পাবিবেন না। তখন কলিকাতায আসিলে অধিকাংশ বালকই এক বৎসবের মধ্যে অন্ততঃ একবার গুরুতর পীড দ্বাবা আক্রান্ত হইত। এই পীডা সচরাচবি অজীর্ণতাদোষ বন্ধপ দ্বাব দিযা প্ৰবেশ কবিতা , পাবে জব বিকাব দিয উপসংহার কবিতা । দেওযান কাৰ্ত্তিকেয চন্দ্ৰ বাষ, ইহারই কযেক বৎসর পাবে বিদ্যাশিক্ষার্থ আসিয়া কিছুদিন বামতনু বাবুব বাসাতে ছিলেন। তিনি সে সময়কার কলিকাতার অবস্থা যাহা বৰ্ণনা কবিযাছেন তাহা উদ্ধত কবিতেছি— “তৎকালে মফঃস্বলেব যে সকল লোক প্ৰথমে কলিকাতা যাইতেন তাহাদেব মধ্যে অনেকেবই অজীর্ণ বোগ হইত। এ পীডাকে “লোণা লাগা কতিত। যাহাবা তথাযি অল্পকাল থাকিষাই প্ৰত্যাগমন করিতেন, তাহাব। বাটী আসিযা লোণা কাটাইবার নিমিত্ত কঁাচা থোড খাইতেন, ঘোল ও কলিব বোল পান কবিতেন এবং গাত্ৰে কঁচা হরিদ্র মাখিতেন । অতাল্প গুরুপাক দ্রব্যেই আমার অসুখ হইতে, একারণ আমি আহারেব বিষয়ে অত্যন্ত সাবধান থাকিস্তাম। তথাপি দুই মাসেব মধ্যে আমাব অকচি জন্মিল । এবং ক্রমশঃ বল এককালে গেল। মৃৎপাত্রে অধিক দিন লবণ থাকিলে যেমন তাহা জীৰ্ণ হইযা যায়, অামাব শরীর ঠিক সেইরূপ হইল। অত্যন্থর আঘাতেষ্ট "আমার গায্যের ত্বক উঠিতে লাগিল। শৰীবের বর্ণ শ্বেত হইয়া গেল । ঔষধ সেবনে কোন ও উপকাব না। তাওযাতে নৌকাযোগে গৃহাভিমুখে যাত্রা করিলাম। পরদিন হইতেই শাবীব সুস্থ হইতে অবন্ত হইল।” এখন মফঃস্বল হইতে পীডিত হইযা লোকে সুস্থ হইবার জন্য কলিকাতা নগরীতে আগমন করে , তখন কলিকাতাতে দুইমাস থাকিলেই লোকের শরীব ভগ্ন হইত এবং কলিকাতা হইতে বাহিব হইলে তৎপব দিনই শাবীব সুস্থ হইতে আবন্ত হইত ! সে সময়ে কলিকতাব যে অবস্থা ছিল তাতাতে একাপ ঘটনা কিছুই বিচিত্র ছিল না। তখন জলের কল ছিল না, প্ৰত্যেক ভবনে এক একটি কুপ ও প্ৰত্যেক পল্লীতে দুই চারিটি পুষ্করিণী ছিল। এই সকল পচা দুৰ্গন্ধময। জলপুর্ণ পুষ্কবিণীতে কলিকাতা পবিপুর্ণ ছিল। অনুমান কবি, যখন কলিকাতার পত্তন হয় তখন বৰ্ত্তমান বাজধানীর আদিম স্থানে দুই একটি ক্ষুদ্র গ্রাম ভিন্ন সমগ্ৰ স্থান ধানের ক্ষেত ছিল । সহচর যেমন বাডিয়াছে লোকে ধানের ক্ষেতে পুন্ধবিণী খনন করিযা করিয়া বাস্তুভিটা প্ৰস্তুত কবিযাছে। এইরূপে প্ৰত্যেক গৃহস্থের গৃহের সঙ্গে সঙ্গে এক একটি ক্ষুদ্র পুষ্করিণী হইয়াছে। এই মনুমানেব। আর একটি প্ৰমাণ এই যে, পুষ্কবিণী সকল সহবের পুর্বাংশেই ধিক পরিমাণে দৃষ্ট হইত ; কারণ সুতানুটী, গোবিন্দপুর প্রভৃতি আদিম গ্রাম সকল” নদীর পাশ্বেই অবস্থিত ছিল ; সেখানে অধিক পুষ্করিণীর প্রয়োজন छेिछ ना ।