পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ya O ब्रांख्या गोंदिौ ७ ८६बांबौब नांख শ্ৰীষ্টীয় প্রচারক বাস করিতেন। তিনি ১৮১৪ সালে সেখানে একটি ইংরাজী স্কুল খোলেন। প্ৰথম দিন। ১৬টি মাত্র বালক উপস্থিত হয়। কিন্তু ত্বরায় ছাত্রসংখ্যা বদ্ধিত হইতে লাগিল। অবশেষে হুগলীর কমিশনার মিষ্টর ফর্বস (Mr. Forbes) ওলন্দাজদিগের পরিত্যক্ত পুরাতন কেল্লাতে স্কুলের জন্য একটি প্রশস্ত ঘর দিলেন। রেভাবেণ্ড মে সেখানে স্কুল কবিতে লাগিলেন। দুই এক বৎসরেব মধ্যে আবও কয়েকটি শাখা স্কুল স্থাপিত হইয়। ঐ সকল স্কুলে প্ৰায় ৯৫১ জন বালক শিক্ষালাভ করিতে লাগিল। মিষ্টর ফর্বস স্কুলগুলির উত্তরোত্তর উন্নতি দর্শনে প্রীত হইয়া গবৰ্ণমেণ্টেব্য নিকট হইতে মাসিক ৬০০ ছয় শত টাকা সাহায্য দেওয়াইয়া দিলেন। রেভরেণ্ড মেরী চুচুডার স্কুলগুলিব উন্নতিদর্শনে উৎসাহিত হইয়া বৰ্দ্ধমানোব রাজা তেজচন্দ্ৰ বাহাদুর আপনার প্রতিষ্ঠিত পাঠশালাটিকে ইংরাজী স্কুলে পবিণত কবিলেন। ওদিকে শ্ৰীবামপুবে কেবী, মার্শম্যান প্ৰভৃতি মিশনারিগণ ইংবাজী শিক্ষার এই মহা-আন্দোলনের মধ্যে উদাসীন ছিলেন না । ১৮১৫ সালে তাহারা শ্ৰীরামপুরে তঁহাদের সুপ্ৰসিদ্ধ কলেজেব। সুত্রপাত করিলেন। এতদ্ভিন্ন তাহাব রামমোহন রায ও দ্বারকানাথ ঠাকুবেব সাহায্যে নানা স্থানে ইংরাজী স্কুল স্থাপন করিতে লাগিলেন। একাপ জনশ্রুতি আছে যে, রামমোহন রায় ধৰ্ম্মবিহীন শিক্ষাকে বড় ভয পাইতেন । সেজন্য নব প্ৰতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজেব ধৰ্ম্মবিহীন শিক্ষাকে ভয়েব চক্ষে দেখিতেন। এ সম্বন্ধে একটি গল্প আছে। হিন্দু কলেজ প্ৰতিষ্ঠিত হওয়ার কিছুদিন পরে একজন আসিযা তাহাকে বলিল, -“দেওযানজি, অমুক আগে figgs Polytheist, volts?' RRTrfg" diest, এখন হইয়াছে atheist.” রামমোহন রায় হাসিযা বলিলেন,-“শেষে বোধ হয় হইবে beast" । যাহা হউক। তিনি মিশনারিদিগের ধৰ্ম্মানুগত শিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন। সেইজন্য ১৮৩০ সালে আলেকজাণ্ডাব ডফ আসিয়া সাহায্য চাহিলেই তাহার স্কুল স্থাপনে বিশেষ সহায়তা কবিযাছিলেন। এই সময়ে এদেশীয় ভদ্রলোকদিগেব মধ্যে স্বীয স্বীয সন্তানদিগকে ইংরাজী শিক্ষা দিবার জন্য যথেষ্ট আগ্রহ দৃষ্ট হইয়াছিল। ১৮১৪ সালে কাশীধামে জয়নারায়ণ ঘোষাল নামক একজন সন্ত্রান্ত হিন্দু ভদ্রলোক মৃত্যুকালে লণ্ডন মিশনারি সোসাইটীর হন্তে ইংরাজী শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিংশতি সহস্ৰ মুদ্রা দিয়া যান। গবৰ্ণমেণ্টকে ইংরাজী শিক্ষা দান বিষয়ে উদাসীন দেখিয়াই তিনি ঐ প্রকার করিয়া থাকিবেন। এদেশে রাজপুরুষগণ অনেক সময় প্ৰজাবৃন্দের চিন্তা, রুচি, প্ৰবৃত্তি ও আকাজক্ষা বিষয়ে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ থাকি।যা কিরূপ দূরে দূরে বাস করেন তাহার অপরাপর প্রমাণের মধ্যে একটি প্ৰমাণ এই যে, যখন দেশের সর্বত্র ইংরাজী শিক্ষার জন্য এত আগ্রহ দৃষ্ট হইতে লাগিল, তখন গবৰ্ণর জেনেরাল ও তাহার পারিষদবর্গ কেবল প্ৰাচীন সংস্কৃত ও আরবী গ্রন্থের মুদ্রাঙ্কণ এবং নদীয়া ও