পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

of 9ff V.) হইয়াছিল, তাহ অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশে।ব নিকট হইতে শুদে আসলে বলপুর্বক আদায় করা হইয়াছিল। এই ব্যবহারের স্বপক্ষে হেষ্টিংস বাহাদুর এইমাত্র বলিয়াছেন যে, একপ নিয়ম সে সময়ে দেশে প্রচলিত ছিল এবং গবর্ণমেণ্ট সাক্ষাৎভাবে এ প্রকারে রাজস্ব আদায় করিতে আদেশ করেন নাই । কিন্তু ইহাতে সংশয় নাই, তাহার অধীনস্থ কৰ্ম্মচারীদিগকে রাজস্বের এক কপর্দকও ছাডিতে নিষেধ করিয়াছিলেন ; এবং এইরূপ গহিত উপায়ে রাজস্ব আদাষ হইতেছে জানিয়াও উপেক্ষা কবিয়াছিলেন। আমার মূল বক্তব্য এই যে, ইংবাজগণ দেশের রাজারূপে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াও বহুদিন রাজার দাযিত্ব অনুভব করিতে পারেন নাই। রাজার দায়িত্ব বুঝিলে প্ৰজার প্রতি একপ ব্যবহার সম্ভব নয়। গ্রামের একজন সামান্য জমিদার যাহা কবিয়া থাকেন, তাহাও তাহারা করেন নাই। দেশীয় রাজগণ সর্বদাই দুৰ্ভিক্ষ মহামাৰী প্ৰভৃতি বিপদের সময রাজস্ব রেহাই দিয়া থাকেন এবং এখনও দিতেছেন। আমাদের বাস-গ্রামে জনশ্রুতি আছে, একবাব দুর্ভিক্ষের সময় গ্রামেব জমিদারগণ পৰ্বত সমান অল্লেব তৃপ ও শালতী ভরিয়া ডাল রাধিয়া শত শত দুভিক্ষাগ্ৰস্থ প্ৰজাকে বহুদিন আহাব করাইযা বঁাচাইয়াছিলেন । এইরূপে বণিকদিগেব রাজা হইয়া বসিতে ও রাজার কৰ্ত্তব্য সকল হৃদয়ে ধারণ করিতে অনেক দিন গেল। অপর দিকে প্ৰজাদিগেরও নূতন রাজাদিগের প্ৰতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করিতে বহুদিন লাগিল। প্ৰথম প্রথম এদেশের লোক বুঝিতে পারে নাই, ইংরাজেরা এদেশে স্থায়ী হইয়া বসিতে পারিবেন। কি না ? পলাশীর যুদ্ধে তাহারা দেশ জয় করিলেন বটে, কিন্তু চারিদিকে অন্তবিদ্রোহ চলিল। একদিকে মুসলমান নবাবদিগের সহিত বিবাদ, অপবদিকে পশ্চিমে ও দক্ষিণাত্যে মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের ও পুর্বে মাগদিগের সহিত বিরোধ চলিতে লাগিল। দেশের মধ্যেও বিষ্ণুপুব, বীরভূম প্ৰভৃতি স্থানে দলে দলে বিদ্রোহী দেখা দিতে লাগিল । ১৮২৫ সালেব মধ্যে এই সকল উপদ্রবের অধিকাংশ প্রশমিত হইল। বিগত শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতেই এদেশীয়গণ অনুভব করিতে লাগিলেন যে, ইংরেজবাজ্য স্থায়ী হইল এবং র্তাহাদিগকে এই নববাজ্যোব ও নূতন রাজাদিগের প্রয়োজনানুসারে গঠিত হইতে হইবে। ইংবাজ-বাজপুরুষগণও হৃদযঙ্গম করিতে লাগিলেন যে, ভাবত-সাম্রাজ্য বহুবিস্তীর্ণ হইতে যাইতেছে ; এবং সেই সাম্রাজ্যের দায়িত্বভার Šाझाgाद्र शरुggक । রাজা ও প্ৰজা উভয়েব মনে এই পবিবৰ্ত্তন ঘটিয়া উভয় শ্রেণীর মনে একই প্রশ্নের উদয় হইল। বাজারা ভাবিতে লাগিলেন, কি প্রকারে এদেশ শাসন করি, প্ৰাচীন বা নবীন রীতি অনুসারে ? প্ৰজাগণও চিন্তা করিতে লাগিলেন, কাহাকে এখন আলিঙ্গন করি ;-প্ৰাচীনকে বা নবীনকে ? ১৮২৫ হুইতে ১৮৪৫ সাল পৰ্যন্ত বিংশতি বর্ষের মধ্যে উক্ত উভয় প্রশ্নের, বিচার