পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांऊन् व्णांशिी ७ उ९ांौन बंगावांखा ও মীমাংসা হইয়াছিল বলিয়া ঐ কালকে বঙ্গদেশের সামাজিক ইতিবৃত্তের সন্ধিক্ষণ বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছি। যেরূপে মীমাংসা হইয়াছিল। তাহা পরে নির্দেশ করিতেছি । নূতন রাজারা যতদিন এদেশ ও এদেশবাসীদিগকে বুঝিয়া লইতে পারেন নাই, ততদিন কোনও বিভাগেই লঘুভাবে প্ৰাচীনকে বিপৰ্য্যন্ত কবেন নাই । সর্ববিভাগেই ভয়ে ভয়ে প্রাচীনের প্রতি হস্তক্ষেপ করিয়াছেন । রাজনীতি বিভাগে সর্বাগ্ৰে দেশীয় কৰ্ম্মচারীদিগের দ্বারা, দেশীয় রীতিতেই, সকল কাৰ্য্য করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। প্ৰথম প্ৰথম এক একজন এদেশীয় নায়েবদেওয়ান নিযুক্ত করিয়া তাহাদেব হন্তে রাজস্ব আদায়ের ভার দিয়াছেন। কিন্তু বহুকালের পরাধীনতাজাত দায়িত্ব-হীনতা দ্বারা জাতীয় চরিত্রের এমনি দুৰ্গতি হইয়াছিল যে, অনেক স্থলে এই নায়েব-দেওয়ানগণ মনে কবিতেন বিদেশীয়ের ত বেশ লুটিয়া লইয়া যাইবে, আমরা লাভ লোকসানের ভাগী নই, সুতরাং আমরা যাহা কিছু সংগ্ৰহ করিতে পারি। কবিয়া লই ; এইৰূপে ভঁহাদের উৎপীড়ন ও উৎকোচাদিতে লোকে এত জালাতন হইয়া উঠিল যে, অবশেষে সে সকল পদ তুলিয়া দিতে হইল। ক্লাইবের নাযোেব-দেওয়ান গোবিন্দরামের ও হেষ্টিংসের দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের কথা অনেকেই অবগত আছেন । এইরূপে কিছুদিন গেল ; শেষে, লর্ড কর্ণওয়ালিস বাহাদুর এদেশীয়দিগকে উচ্চ উচ্চ পদ হইতে অপসারিত করিয়া সেই সকল পদে ইউরোপীয়গণকে স্থাপন করিলেন। তখন হইতে এদেশীয়গণ সর্ববিধ উচ্চপদ হইতে চুত্যুত হইয়া হীন-দশায় পতিত হইলেন। তৎপরে ১৮৩৩ সাল পৰ্য্যন্ত এদেশীয়দিগের সেরেস্তাদারের উপরের পদে উঠিবার অধিকার থাকিল না। এই কালকে এদেশীয়দিগের প্রকৃত পতনের কাল বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। কারণ এই সময় হইতেই এদেশীয়গণ সর্ববিধ সম্মানের পদ হইতে অধঃকৃত হইয়া উন্নতির সম্ভাবনা ও তজনিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা হইতে বিদূরিত হইয়া, ক্ষুদ্র লক্ষ্য ও ক্ষুদ্রাশয়তার মধ্যে নিমগ্ন হইলেন। এই ক্ষুদ্র লক্ষ্য ও ক্ষুদ্রাশয়তার গর্ভে এদেশীয়গণ এখনও পড়িয়া রহিয়াছেন । এই লক্ষ্য, চিন্তা ও আকাজক্ষার ক্ষুদ্রতাকে পরাধীনতার সর্বশ্রেষ্ঠ শোচনীয় ফল বলিয়া গণনা করা যাইতে পারে। কারণ কোনও জাতি কিছুকাল এই অবস্থাতে বাস করিলে তাহাদের জাতীয় জীবন হইতে মনুষ্যত্ব ও মহত্ব লাভের সম্পূহ বিলুপ্ত হইয় यश्च । আইন আদালত সম্বন্ধেও রাজারা ভয়ে ভয়ে বহুকাল যথাসাধ্য প্ৰাচীন রীতি রক্ষা করিয়া চলিয়াছিলেন। ইহা অগ্ৰেই উক্ত হইয়াছে যে, ১৮০০ খ্ৰীষ্টাব্দে, লর্ড ওয়েলেসলি বিলাত হইতে নবাগত সিবিলিয়ানদিগকে এদেশীয় ভাষা ও এদেশীয় আইন প্ৰভৃতি শিক্ষা দিবার জন্য ফোর্ট উইলিয়ম কালেজ স্থাপন করিয়াছিলেন । তিন্তিয় বহুবৎসর জেলার জাজদিগের সঙ্গে এক একজন হি’,