b»iy ভারত-রহস্ত । বেক । যেরূপ নিজের শরীর যত্নপূর্বক রক্ষা করিতে হয়, রাজা সেইরূপ যত্নে অসির রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। শাঙ্গ ধর পদ্ধতি ও যুক্তিকল্পতরু প্রভৃতি গ্রন্থে খড়গসম্বন্ধে এইরূপ অনেক কথাবাৰ্ত্ত আছে। এই সকল কথা তত্ত্বাবতের সার সংগ্ৰহমাত্র । অবাস্তর কথা এই স্থানেই শেষ করা গেল । অন্ত স্থানে ইহার অবশিষ্ট কার্য্য অর্থাৎ যুদ্ধকালে ইহা কিরূপে ব্যবহৃত হয়, সেগুলি বর্ণন করা যাইবেক । অসি, খড়গ ও তরবারি ;–এ সকল পৰ্য্যায় শব্দ। এইজন্তই আমরা “অসি” শীর্ষক প্রবন্ধে কখন খড়গ, কখন বা তরবারি শব্দের উল্লেখ করতেছি । ইতি পূৰ্ব্বে এতৎসম্বন্ধে আমরা যে প্রথম প্রস্তাব লিখিয়াছি, তাহাতে সকল বক্তব্য পর্য্যাপ্ত হয় নাই। এজন্ত আমরা এতৎসম্বন্ধে দ্বিতীয় প্রস্তাব লিখিতে বাধ্য হইলাম। প্রথম প্রস্তাবে শুক্রনীতি, আগ্নেয় ধনুৰ্ব্বেদ, বীরচিস্তামণি, বৃহৎসংহিতা ও বৃহৎ শাঙ্গ ধর প্রভৃতির প্রমণ ও তাহার বঙ্গানুবাদ প্রদত্ত হইয়াছে। পরস্তু কল্পদ্রুম অভিধানে যে যুক্তিকল্পতরু ও খড়গপরীক্ষা নামক গ্রন্থের সংগ্রহ আছে, তাহার অত্যন্ত্র বাক্যও উদ্ধৃত করি নাই। সেই ক্রট পরিহার করিবার জন্তই এই দ্বিতীয় প্রস্তাবের আরম্ভ। প্রথমে ইহার কল্পদ্রুমধৃত খড়গপরীক্ষার একটা বঙ্গামুবাদ এবং ইহার শেষভাগে খড়গক্রিয় অর্থাৎ খড়গযুদ্ধের সঞ্চরণপ্রণালী বর্ণন করিলাম। কল্পদ্রুম গ্রন্থে যে সকল সংস্কৃত শ্লোক আছে, সে গুলিকে সুপ্রাপ্য বলিয়া পরিত্যাগ করিলাম । তদ্বারা যে জ্ঞানলাভ হয়, তাহাই বঙ্গভাষায় গ্রথিত করিলাম । *: খঙ্গের পরীক্ষ আট প্রকারে নিম্পন্ন হয় । সেই জন্তই খড়গবিজ্ঞান অষ্টাঙ্গ বলিয়া বিখ্যাত। খঙ্গের প্রথম বিজ্ঞেয় অঙ্গ, দ্বিতীয় রূপ, ৩য় জাতি, ৪র্থ নেত্র, ৫ম অরিষ্ট, ৬ষ্ঠ ভূমি, ৭ম ধ্বনি এবং তাহার ৮ম পরিমাণ । খঙ্গের অঙ্গ কি ? তাহ শুনুন। খড়গ গঠিত হইলে তাছার শরীরে যে নানা প্রকার চিহ্ন বা দাগ ( রেখাকার কি ত্রণাকার প্রভৃতি ) উৎপন্ন হয়, সেই সকল চিহ্নই খড়গশাস্ত্র মতে তাহার অঙ্গ। ঐ অঙ্গ সৰ্ব্বসমেত (১০০) এক শত প্রকার হইতে পারে, অধিক নহে । খঙ্গের রূপ কি ? জাতি কি ? নেত্র কি ? অরিষ্ট কি ? ভূমি কি ? ধ্বনি কি ? এবং পরিমাণই বা কি রূপ ? এ সমস্তই যথাক্রমে বর্ণন করা যাউক । রূপ —খঙ্গে যে নীল রঙ, কি কাল রঙ, কি অষ্ঠ কোন রঙ, দৃষ্ট হয়, সেই দৃশ্যই তাহার রূপ ।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।