পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৪

৯ * ভারত-রহস্ত । বৃক্তবর্ণত্রিরেখা চিহ্ন,যব পত্রাকার চিহ্ন,লণ্ডন ত্বক তুল্য চিহ্ন,নিশ্চিহ্ন ও নিৰ্ম্মল প্রকৃতি, মঞ্জিষ্ঠালতীকার চিহ্ন বা রেখা, শমীপত্রাকার রেখা,রোহিত মংস্তের শঙ্কাকার রেখা, শফরীশঙ্কাকার রেখা, মরিষ পত্রাকার রেখা, ভৃঙ্গরাজ পুষ্পবৎ চিহ্ন, খুৱাবৎ ধার ও নিশ্চিহ্ন, ধারস্থান কখন তীক্ষ্ণ, কখন বা মৃদ্ধ এবং ভূমি সকল, কখন বা নিৰ্ম্মল, জলতরঙ্গের স্থায় দৃশুমানত, ধারমোট ও অবয়ব নিশ্চিহ্ন, গুঞ্জফলাকার চিহ্ন, স্বক্ষ স্বাক্ষ বাণ চিহ্ন, দুৰ্ব্বাদলবর্ণ ও ধার তীক্ষ, বিল্পপত্রাকার দাগ, মম্বর পত্রাকার দাগ, শোিণপুষ্প তুল্য রেখা বিশিষ্ট, শঠ পত্রাকার দাগ, বিড়াল লোমাকার চিহ্ন, কেতকী পত্রাকার দাগ মূৰ্ব্বা (স্বচী মুখ নামক ক্ষুদ্র বৃক্ষ) তত্ত্বর স্থায় দাগ, অর্থাৎ অর্ণশ অৰ্দশ চিহ্ন অত্যস্ততীক্ষ ও অল্প লৌহের ছেদক, কলায় পুষ্পাকার চিহ্ন, চম্পক কুসুমাকার চিহ্ন, বলানামক লতার পত্রাকার চিহ্ন, বটের নামনার ন্যায় দাগ, বাশের ন্যায় নীলবর্ণ, শ্বেত ও কৃষ্ণবর্ণ, পত্রশিরাকার রেখা, জ্যেষ্ঠীসদৃশ চিহ্ন, জালাকারচিত্ন, পিপীলিকাকার চিহ্ন, নলপত্রাকার চিহ্ন, ঘর্ষণ করিলে কণা বাহির হয় এরূপ গুণবিশিষ্টত, কুষ্মাণ্ড বজীবৎ দাগ, লোমবৎ চিহ্ল, সিজ বৃক্ষের কণ্টকাকার চিহ্ন, বদর পত্রাকার চিহ্ন, বকুল পুষ্পাকার চিহ্ন, কাজির ছায় দৃশু অর্থাৎ নানা প্রকার মিশ্র চিহ্নযুক্ত, নিশ্চিন্তু ও মহিষের স্তায় কৃষ্ণবর্ণ, স্বাভাবিক নিৰ্ম্মল, নৈৰ্ম্মল্যের উপর উদ্ধ রেখা ও বক্র রেখা । এই সকল লক্ষ্মণ যদি স্বাভাবিক, অর্থাৎ খড়েগর গঠনের সঙ্গে সঙ্গে উৎপন্ন হয়, তবেই তাহা গ্রাহ নচেৎ কৃত্রিম করিলে অগ্রাহ । উল্লিখিত শত চিহ্লের মধ্যে কতকগুলি উৎকৃষ্টতা বোধক এবং কতকগুলি নিকৃষ্টতা জ্ঞাপক । ষে সকল চিহ্লের দ্বারা খড়েগর উত্তমত জানা যায়, সেগুলি বিশদ করিয়া বল। যাইতেছে । রৌপ্যাঙ্গ ও স্বর্ণ রেখাঙ্গ,—এই দুই খঙ্গ উত্তম। গজগুওঙ্গি খঙ্গ উত্তম, পরন্তু ইহার দ্বিতীয় লক্ষণ এই যে, রক্তস্পর্শ মাত্র ইহা শরীরে প্রবিষ্ট হয় এবং ইহা ধৌত করিলে যে জল নিঃস্থত হয়, তাহ পান করিলে অনেক ব্যাধি শাস্তি হয়। রক্তবীজ চিহ্নযুক্ত খঙ্গও উত্তম। দমন পত্রাঙ্গ খঙ্গও উত্তম, পরন্তু ইহার অন্ত এক পরীক্ষা এই যে, ইহাতে জল রাখিয়া দিলে একদিন পরে সে জলে দমন পত্রের গন্ধ উৎপন্ন হইবে । স্থলাঙ্গ খঙ্গও উত্তম, পরস্তু ইহার দ্বারা ক্ষত হইলে সৰ্ব্ব শরীরে শোধ জন্মে। অরুণাঙ্গ খঙ্গও ভাল, পরস্তু ইহার দ্বিতীয় লক্ষণ এই যে, স্বৰ্য্য-কিরণ স্পর্শে ইহা হইতে এক প্রকার তেজ নিঃস্থত হয় এবং ইহার সহিত পক্সকোরক একত্রিত রাখিলে তাহ রাত্রিকালেও ফুটিয়া থাকে। তিলাঙ্গ