পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত t '8 “গরুড়োমকরবহশচক্র; শুেনস্তথৈব চ। অৰ্দ্ধচন্দ্রশ বজশ্চ শকটব্যুহ এব চ। মগুনঃ সৰ্ব্বতোভদ্রে স্বচাব, হস্তথৈব চ।” গরুড়, মকর, চক্র, শুেন, অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ, বজ্র, শকট, মগুন, সৰ্ব্বতোভদ্র ও স্বচী,— অগ্নিপুরাণের মতে এই দশ প্রকার ব্যুহ প্রধান বলিয়া গণ্য। অগ্নিপুরাণ আরও বলিয়াছেন যে, — “ব্যুহাঃ প্রাণ্যঙ্গরূপাশ্চ দ্রব্যরূপাশ্চ নেকধ ॥” যুদ্ধকালে প্রাণীর অঙ্গের সাদৃশু লইয়া এবং ভিন্ন ভিন্ন দ্রব্যের গঠন প্রকার অবলম্বন করিয়া অনেক প্রকার বৃহ রচিত হইয়া থাকে। বস্তুতঃ বৃহের সংখ্যা কল্পনা করা বা সৈন্তরচনাকে সীমাবদ্ধ করা অসঙ্গত ভিন্ন সুসঙ্গত নহে । তবে দিগদর্শনের নিমিত্ত, সৈন্ত্যরচনার মর্য্যাদা বুঝাইবার নিমত্ত, নীতিবক্তৃগণ উক্ত প্রকার সীমাবদ্ধ কথা বলয় গিয়াছেন । অগ্নিপুরাণের রণদীক্ষা প্রকরণোক্ত নিম্নোদ্ধত শ্লোকটার তাৎপৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিলে উহাই প্রতীত হইবে। যথা--- # “দেশে ত্বদৃশুঃ শক্রণাং কুৰ্য্যাৎ প্রকৃতিকল্পনাম। * ংহতান যোধয়েদল্পান কামং বিস্তারয়েদ্বন্থন ॥” । উপযুক্ত যুদ্ধস্থান অবলম্বন করিয়া, শক্রগণের অজ্ঞাতসারে, আপনার সৈন্যরচনা করিবেক । অল্পসৈন্ত সমবেত হইয়া বহুর সহিত, ইচ্ছা হইলে সংহত অল্পের সহিত, আবখ্যকমতে বহুসৈন্তকেও বিস্তৃত করিয়া যুদ্ধ করিবেক । ব্যুহরচনার সম্বন্ধে নীতিসার ও নীতিময়ুখ গ্রন্থে লিখিত আছে যে, ব্যুহের সৰ্ব্বগ্রভাগে নায়ক অর্থাৎ সেনাপতি অবস্থান করবেন। অন্তান্ত বীরপুরুষ তাহাকে বেষ্টন করিয়া যুদ্ধ করবেন। পরন্তু তাহারা সকলেই সেনাপতির রক্ষণবেক্ষণ কর্য্যে নিযুক্ত থাকিবেন। স্ত্রীলোক, কোষ অর্থাৎ ধনাগার, রাজ আর ফন্তুসৈন্ত অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্যাদি ও তদ্রক্ষক,—ইহাদিগকে ব্যুহের মধ্যস্থলে সংরক্ষণ কর; কৰ্ত্তব্য । যথা “নায়কঃ পুরতে যায়াৎ প্রবীরপুরুষাৰ্বত: । মধ্যে কলব্রং কোষশ্চ স্বামী ফলগু চ যদ্বলম্ ॥” হস্তী সৈন্ত, অশ্বারোহী, রথরোহী ও পদাতি সৈন্ত,—এই চতুৰ্ব্বিধ সৈন্তই ব্যুহে বিস্তস্ত হয়। পরন্তু যে কোন প্রকার ব্যুহ রচিত হউক, সমুদায় ব্যুহেই উক্ত সৈন্ত স্থাপনের এক সাধারণ বিধি আছে। যথা—