ভারতীয়-যুদ্ধরহস্ত। se o পদসঞ্চার দ্বারা আত্মরক্ষা ও পরকায় সৈষ্ঠের বা প্রহরীর প্রতিঘাত করা, দুই দুই জনে, তিন তিন জনে, কিংবা চারি চারি জনে একত্রিত হইয়া পঙক্তিক্রনে গমন করা, পিছু হুঁটা, সন্মুখভাবে পলায়ন করা, পশ্চাদ্ভাগে সৈনিকগণের সঙ্কেত অমুসারে পলায়ন করা, অথবা "ক্রর দিকে ধাবিত হওয়া, ইত্যাদি বহুবিধ কাৰ্য্য পূৰ্ব্বশিক্ষা অনুসারেই করিবেন, অন্যথাচরণ করিবেন না । বৃহস্থত সৈনিক অস্ত্রসিদ্ধির নিমিত্ত ( অব্যর্থতার নিমিত্ত ) উপসরণ অর্থাৎ অগ্রে (সম্মুখে ) ধাবিত হইবেন ; পশ্চাৎ কিঞ্চিৎ পিছু ছটিয়া অস্ত্র পরিত্যাগ করিবেন । বিক্ষিপ্ত প্রায় সৈনিক বসিয়া পড়িবেন, অথবা পাছু হুঁটিয়া আসিবেন। বিপক্ষকে যখন উপবিষ্ট দেখিবেন, তখনই অমনি তৎসমীপবৰ্ত্তী হইয় অস্ত্র পরি"াগ করিবেন। শুক্রনীতি গ্রন্থে এইরূপ আশ্চৰ্য্য যুদ্ধকাৰ্য্যসকল বর্ণিত হইয়াছে। অবশেষে কার্য্যসঙ্কট অনুসারে ক্রিয় পরিবর্তন করিবার উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে। সে সকল ক্রিয়াকৌশল পৰ্য্যালোচনা করিলে জ্ঞান হয় যে, ইহা অপেক্ষ গুরুত্বর ও কঠিন কাৰ্য্য আর নাই । এই কার্য্যে যে কত মনোবল ও কত তৎপরতা লাগে, তাহা নির্ণয় করা যায় না। পূৰ্ব্বে যে ক্রৌঞ্চ ও মকর প্রভৃতি বৃহের উল্লেখ করা হইয়াছে, শুক্রনীতি গ্রন্থে সে সকলের সঞ্চালন সম্বন্ধে কয়েকটা উপদেশ अi८छ् ।। ६१{}-- “একৈকশো দ্বিশোবাপি সজাশে বোধতো যথা । ক্ৰৌঞ্চানাং থে গতির্যাদৃক পঙক্তিতঃ সম্প্রজায়তে । তাদৃক্ সঞ্চারয়েৎ ক্ৰৌঞ্চবৃহং দেশবলং যথা ॥ সুন্মগ্রীবং মধ্যপুচ্ছং স্থলপক্ষত্ত্ব পঙক্তিতঃ । বৃহৎ পক্ষং মধ্যগল পুচ্ছং শ্বেনং মুখেন তু ॥ চতুস্পষ্মকরে। দীর্ঘ স্থলবত্ত্বে দ্বিরোষ্ঠকঃ । * সুচী সুহ্মমুখোদীৰ্ঘ সমদস্তাস্তুরন্ধ যুক্ ॥ চক্রবৃহশ্চৈকমার্গে হষ্টধা কুগুলীকৃতঃ । চতুৰ্দিষ্টপরিধিঃ সৰ্ব্বতোভদ্রসংজ্ঞকঃ ॥ অমাৰ্গশ্চাষ্টবলয়োগোলকঃ সৰ্ব্বতোমুখ: | শকট: শকটাকারে ব্যালো ব্যালাকৃতিঃ সদা । 학
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।