Ꮌ © 8 ভারত-রহস্ত । সৈন্তমন্নং বৃহদ্বাপি দৃষ্ট মার্গং রণস্থলম্। # বৃহৈবু হেন বৃহাভ্যাং সাঙ্কর্ষ্যেণাপি কল্পয়েৎ।” রাজা অথবা সেনাপতি যেমন সঙ্কেত প্রকাশ করিবেন, সৈনিকগণ তদনুসারে হয় একে একে, না হয় দুই দুই জনে কিংবা বহুজনে শিক্ষানুরূপ সঞ্চরণে প্রবৃত্ত হইবেন । বলকাসমূহ যেমন আকাশে পঙক্তিক্রমে গমন বা ভ্রমণ করে, দেশ ( যুদ্ধস্থান ) ও সৈন্যবল বিবেচনা করিয়া, সেইরূপ ক্রমে ক্রৌঞ্চব্যুহ সঞ্চালন করিবেক । ক্ৰৌঞ্চ অর্থাৎ বক। ইহা তংপঙক্তি সঞ্চরণের ন্যায় সঞ্চারিত হয় বলিয়া এই ব্যুহের নাম ক্রৌঞ্চ )। পঙক্তিক্রমে গ্রীবাদেশ স্থশ্ব, পুচ্ছদেশ মধ্যম, পক্ষদ্বয় স্থল অর্থাৎ পিস্তীর্ণ করা আবশুক । শোনবাহের পক্ষ বিস্তৃত, গলদেশ ও পুচ্ছ মধ্যম, মুখ শোনপক্ষীর তুল্য । মকরাহ চতুষ্পদাকার, বক্ত দেশ স্থল ও দীর্ঘ, ওষ্ঠ দ্বিগুণ। হুচাবাহের মুখ স্বক্ষ, দীর্ঘ ও সমদন্তাকার, এবং রন্ধ যুক্ত । চক্রব্যুহের মার্গ অর্থাৎ প্রবেশযোগ্য পথ একট, ৮টি কুণ্ডলাকৃতি পঙক্তির দ্বার বেষ্টিত। সৰ্ব্বতোভদ্র বৃহের চতুৰ্দ্দিকে ৮ পরিধি, এতাবন্মাত্র বিশেষ আছে । ইহার প্রবেশযোগ্য দ্বার নাই, বলয়কৃতি ৮পঙক্তির দ্বার নিৰ্ম্মিত ও গোল । সকল দিকেই ইহার মুখ থাকে । শকটব্যুহ শকটাকার, ব্যালবাহ সৰ্পকার, এইরূপ অন্যান্য বৃহও অন্যান্য জন্তুর আকারবিশিষ্ট । সৈন্য অল্প কি অধিক, তাহ পর্যবেক্ষণ করিয়া, রণভূমি কিরূপ তাহ নিৰ্ণয় করিয়া, সঞ্চরণের পথ কিরূপ তাহ দেখিয়া, হয় একট, না হয় দুইটী অথবা ৩৪ট ব্যুহ রচনা করিয়া যুদ্ধ করিবেক এবং রণভূমি, সৈন্যভ্রমণের পথ,– ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করিয়া হয় কোন নির্দিষ্টব্যুহ রচনা করিবেক, অথবা সঙ্কর বা মিশ্র বৃহ নিৰ্ম্মাণ করিবেক। বৃহসম্বন্ধে ইহার অতিরিক্ত কথা মহাভারতের টাকায় সংগৃহীত আছে । বিস্তার ভয়ে সে সকল উল্লেখ করিলাম না । ফল, মাছ বল ভুট্টল, তদুর ভারতবর্ষীয় প্রাচীন যুদ্ধপ্রণালীর এক প্রকার সামান্ত ছবি প্রদর্শিত চট্টল। অতঃপর আমরা ধৰ্ম্মযুদ্ধ ও কূটযুদ্ধের কতিপয় নিয়ম বর্ণনা করিয়া প্ৰবন্ধ শেল করিব; সম্প্রতি দুর্গ সম্বন্ধে তু একটা কথা বলা যাউক ।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।