ভারতীয় যুদ্ধরচন্ত । >6* বিস্তীর্ণ দ্বার,--রাজা এরূপ পুরে বাস কল্পিবেন । নিকটে কোন পৰ্ব্বত, কি নদী, বন অথবা ভূমি থাকিলে ভাল হয় । মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি বলিয়াছেন যে,-- “রম্যং পশব্যমাজীবং জাঙ্গলং দেশমাবশেৎ । তত্ৰ দুৰ্গণি কুৰ্ব্বত জনকোষস্থ গুপ্তয়ে ॥” রমণীয়, পশু পোষণের উপযুক্ত, বিবিধ ভক্ষ্য দ্রব্যের উৎপত্তি ভূমি, জল ও পৰ্ব্বতশালী,~~রাজ এরূপ দেশে বাস করিবেন ; এবং তাদৃশ স্থানে স্বজন বর্গ, ধনাগার ও আত্মরক্ষার্থ দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিবেন । মহর্ষি মনু দুৰ্গবাসের উপকারিত বর্ণন করিয়া গিয়াছেন । যথা— “এক শ তং যোধয়তি প্রা কারস্থে ধনুর্ধরঃ । শতং দশ সহস্রাণি তস্মাদুর্গং সমাশ্রয়েৎ ” যে হেতু এক যোদ্ধা দুর্গ প্রাকারে অবস্থিত থাকিয়া শ ত যোদ্ধার সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ হয়, এবং শত যোদ্ধ, দশ সহস্ৰ যোদ্ধাকে পরাভব করিতে পারে, এই হেতু রাজার দুর্গ আশ্রয় করত বাস করিবেন । ৪র্থ, ভুগের সংখ্যা ও প্রকারভেদ । দুর্গ অনেক প্রকার। তন্মধ্যে মন্থর মতে ৭, কামনকির মতে ৯ নববিধ দুৰ্গই প্রধান। মহর্ষি মনু প্রাধান্ত ক্রমে ৭ প্রকার দুর্গের উল্লেখ করিয়াছেন, পরস্তু কমন্দক ও মহর্ষি ব্যাস তদপেক্ষ দুইটী অধিক দুর্গের ব্যবস্থা করিয়াছেন । মমু-মতানুযায়ী সপ্ত দুর্গ এই—
- ধন্থদুর্গং মহীদুর্গ মব দুর্গং ৰাক্ষ মেব চ। মৃতুর্গং গিরিদুর্গঙ্ক সমাশ্রিত্যাবসেৎ পুরম্।” যাহার নিকটবৰ্ত্তী দিক সমূহে জলবর্জিত স্থান অর্থাৎ মরুভূমি বিদ্যমান আছে, তাদৃশ দুর্গের নাম ধন্থ দুর্গ। মহীদুর্গ অর্থাৎ মৃত্তিকার দ্বারা সম্পাদিত দুর্গ। অবৃদুর্গ অর্থাৎ জলপ্পুর্গ। যাহার নিকটবৰ্ত্তী দিক সমূহে মহাজল বিদ্যমান আছে, তাহারই নাম জল দুর্গ বৃক্ষের দ্বার রচিত ছগ বিশেষের নাম বাক্ষ দুগ্ধ ; যাহার চতুৰ্দ্ধিক নিবিড় হচ্ছেদ্য বৃক্ষে পরিব্যাপ্ত তাহাই বাক্ষ দুর্গ। মূহুর্গ অর্থাৎ যাহার আশ্রয়ে বহুতর বীরমনুষ্য বাস করে। গিরিদুর্গ অর্থাৎ দুরারোহ পৰ্ব্বত যাহার চতুর্দিকে আছে। মসু এই ছয় প্রকার হর্গের উল্লেখ করিয়াছেন ; পরস্তু কামনাকী এতদপেক্ষ ঐরিণ নামক আর একটী অতিরিক্ত দুর্গের কথা বলিभ्रां८झ्न ! यथt - - *