ఆఫి ভারত-রহস্ত । হইবে ; দিন দিন দৈনিক যুদ্ধের অবসানে রাত্রিকালে আমাদের শক্রতা বিদূরিত থাকিবে ; তুল্যযোগ অতিক্রম, অন্যায়ীচরণ ও কেহ কাহাকে প্রতারণা করিব না । বাগযুদ্ধকালে বাগযুদ্ধই হইবে, অস্বযুদ্ধকালে অস্ত্রযুদ্ধই হইবে। পলায়িত ব্যক্তিকে ও বৃহচ্যুত ব্যক্তিকে প্রহর করা হইবে না। রথ রথীর সহিত, গজারোহী গজারূঢ়ের সহিত, অশ্বারোহী অশ্বরোঢ়ের সহিত, পদাতি পদাতির সহিত যোগ্যতা, উৎসাহ, বল ও অভিলাষানুসারে যুদ্ধ করিবে ; তাহাতে কেহ প্রতিকুল কি প্রতিবন্ধক হইবে না। অগ্রে সতর্ক করিয়া পশ্চাৎ প্রহার করা হইবে । বিশ্বস্ত ও ভয়বিহবল ব্যক্তিকে প্রচার করা হইবে না। নিরস্ত্র হইলে, বৰ্ম্মরহিত হইলে, কদাচ তাহাকে প্রহর করা হইবে না । সারথি, ভারবাহী, শস্ত্রনেতা দাস ও বাদ্যকর প্রভৃতিকে বধ করা হইবে না । ভারত যুদ্ধে ইত্যাদিপ্রকার অদ্ভূত যুদ্ধধৰ্ম্মের নিয়ম প্রতিষ্ঠাপিত হইয়াছিল। যুদ্ধে কি প্রকার কার্যা করিলে ধৰ্ম্মরক্ষা হয়, তাহা মনুসংহিতা, নীতিময়ুখ, কমন্দকীয় নীতিসার, বৃদ্ধ শাঙ্গাধর, নীতি প্রকাশিক ও শুক্রনীতি প্রভৃতি গ্রন্থে সবিস্তর বর্ণিত আছে । যথা— ন চ হন্যাৎ স্থলারূঢ়ং ন ক্লাবং ন কৃতাঞ্জলিম্। ন মুক্তকেশমাসানং ন তবাক্ষ্মীতি বাদিনম্ ॥ ন সুপ্তং ন বিসন্নাহং ন নগ্নং ন নিরায়ুধম্। নযুধ্যমানং পশুস্তং ন পরেণ সমাগতম্ ॥ ন ভীতং ন পরাবৃত্তং সত্যং ধৰ্ম্মমনুস্মরন ৷” (নীতিময়ুখস্থত মনুবচন । ) বে ব্যক্তি যান হইতে অবতরণ করিয়াছে, স্থলারূঢ় হইয়াছে, তাহাকে আঘাত দিধের নছে । ক্লাবকে আঘাত করা কৰ্ত্তব্য নহে ! যে অঞ্জলি বদ্ধ করিয়া দাড়ায়, তাহাকে প্রহার করা কৰ্ত্তব্য নহে ৷ মুক্তকেশ ব্যক্তিকে, উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং বে ব্যক্তি “আমি তোমার শরণাগত হইলাম" বলে, তাহাকে বধ করিতে নাই। নিদ্রিত ব্যক্তিকে, যুদ্ধযোগ্য পরিচ্ছদ রহিত ব্যক্তিকে, নগ্ন ব্যক্তিকে ও নিরন্স ব্যক্তিকে আঘাত করিবে না । যে যুদ্ধ করিতেছে না, যে যুদ্ধ দেখিতে আসিয়াছে, যে অপরের সহিত সংগ্রাম করিতেছে, যে ভয়বিহবল হইয়াছে, যে পলাইবার উদ্যোগ করিয়াছে, যে পশ্চায়ুথ হইয়াছে, সাধুদিগের ধৰ্ম্ম মনে করিয়া এষ্ট সকল ব্যক্তিকেও আঘাত করা কর্তব্য নহে ।
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।