যুদ্ধ-ধৰ্ম্ম । ృళీe') “বৃদ্ধে বালে ন হস্তব্যে নৈব স্ত্রী নৈব যে দ্বিজঃ তৃণপূর্ণমুখশ্চৈব তবাশ্মীতি চ যে বদেৎ ॥” বৃদ্ধ, বালক, স্ত্রী, ব্রাহ্মণ এবং যে তৃণ মুখে করিয়া “আমি তোমার’ এইরূপ কথা বলে, তাহাকে কোন ক্রমেই বিনাশ কর কৰ্ত্তব্য নহে । - মহর্ষি বৈশম্পায়নও স্বকৃত নীতিপ্রকাশিক গ্রন্থে উক্ত প্রকার উপদেশ করিয়াছেন । যথা— “ন কুটেরাযুধৈহঠাৎ যুধ্যমানে রণে রিপূন । দিঞ্চৈরতুল্পণৈরস্ত্রৈর্যন্ত্রৈশ্চৈব পৃথগুবিধৈ: ॥ ন হন্তাদর্ক্ষমারূঢ়ং ন ক্লাবং ন কৃতাঞ্জলিম্। ন মুক্তকেশং নাসীনং ন তবাক্ষ্মীতি বাদিনম্। ন প্রস্থপ্তং ন প্রণতং ন নগ্নং ন নিরায়ুধম্ ॥ নাযুদ্ধমানং পশুস্তং ন পরেণ সমাগতম্। আয়ুষ্কৰ্যসনং প্রাপ্তং নার্ভং নাতিপরিক্ষতম্ ॥ ন হীনং ন পরাবৃত্তং ন চ বল্মাকমাশ্রিতম্ । ন মুখে তৃণিনং ইন্যাৎ ন স্ত্রিয়োবেশধারিণম্ ॥ এতাদৃশান ভটেৰ্ব্বাপি ঘাতয়ন কিন্বিষী ভবেৎ।” নীতি প্রক শিকার এই সকল বচন অতি সরল শব্দে গ্রথিত আছে। বিশেস্বতঃ এ গুলির অর্থ প্রায় পুরোক্ত বচনাবলীর দ্বারায় গতীর্থ হইয়াছে । ফল, প্রথমোক্ত কূটস্কেল প্রকৃত ব্যাখা করিতে হইলে শতঘ্নী প্রভৃতি আগ্নেয় অস্ত্রগুলিকেই প্রধান কল্পে গণ্য করিতে হয়। এক্ষণকার কামান-যুদ্ধ অত্যন্ত কুট। কমানের ন্যায় কুটাস্ত্র আর কিছুই নাই ও ছিল না । আমরা পূৰ্ব্বেই প্রতিপন্ন করিয়াছি যে, পূৰ্ব্বকালে কামানের ন্যায় অথবা অন্ত এক আকারের কামান ছিল ; কিন্তু তদ্বারা তাহারা যুদ্ধ করিতেন না। কামনের দ্বারা যুদ্ধ করায় অধৰ্ম্ম হয় এবং উহাতে কিছুমাত্র পৌরুষ নাই, এইরূপ বোধ থাকাতেই তৎকালের ক্ষত্রবীরেরা কামান কি কোনরূপ যন্ত্রাগ্নির দ্বারা মনুষ্য বধ করিতে উৎসাহী হইতেন না । মহাভারতে উক্ত হইয়াছে যে,— "তাবলুণ্ঠেৎ পীড়য়েচ্চ শত্ৰোঃ প্রকৃতয়ঃ স্বয়ম্। বশে জাতঃ পুনস্তামু পিতৃবন্দ্রকৃত্তিমাচরেৎ ॥” শক্ৰ যতকাল না বশীভূত হয়, ততকাল তাহার অনুগত প্রজা ও অমাতাদিগকে পীড়িত করিবেক এবং তাহার ধনও লুণ্ঠন করিবেক ; পরস্তু সে যখন
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।