পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিক । ه/و} পুষ্পরাগ, পাচি অর্থাৎ মরকত ও মাণিক্য,--এই কয়েকটকে মহারঞ্জ বলিয়াছেন । * মহৰ্ষি অগস্ত্য পুষ্পরাগ, বৈদূৰ্য্য, গোমেদ, স্ফটিক ও প্রবালকে উপরত্ব বলিয়াছেন । { এরূপ মতভেদের কারণ কি ? এবং কিরূপ গুণাগুণ লইয়াই বা তাহার রত্নের মহত্ত্ব মধ্যমত্ত্ব ও স্বল্পত্ব নির্ণয় করিতেন, তাহ আমরা জ্ঞাত নহি । তৎসম্বন্ধে আমাদের অনুভব এই যে, যিনি যাহাকে সুন্দর বা ভাল বলিয়া জানিতেন, তিনি তাহাকে মহত্ত্ব পদ প্রদান করিতেন । পৌরাণিক মতে এদেশে দুইখানি মহারাষ্ট্র ছিল । তাহার একখানির নাম **কৌস্তুভ,” অপর খানির নাম “স্ত্যমন্তক’ এই দুই মহরিত্নের বিষয় পশ্চাৎ অর্থাৎ প্রশ্নপরিশিষ্টে বর্ণিত হইবে । কেহ কেহ অল্পমান করেন যে, বৰ্ত্তমান “কহিনুর” নামক ইরক পুৰ্ব্বকালের “স্যমন্তক” । এ অনুমান কতদূর সত্য তাহা বলিতে পারি না । প্রাচীন প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে দেখা যায়, ঐ দুই মহামণি সমুদ্রে পাওয়া গিয়াছিল। প্রথমখানি অতি আদিম কালের সমুদ্রমন্থন হইতে উত্থিত হইয়া ভগবান বিষ্ণুর উরোভূষণ হইয়াছিল ; দ্বিতীয়খানি যুধিষ্ঠিরের সমসাময়িক রাজা সত্ৰাজিৎ সমুদ্রতটে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । অনেকেই মনে করিয়া থাকেন যে, পূৰ্ব্বকালের মণিকারের হীরার পরিকন্ম বা কৰ্ত্তনক্রিয়া ( কট, ) জ্ঞাত ছিলেন না । পরস্তু মণিশাস্ত্রের আলোচনার দ্বারা তাহাদের উল্লিখিত ভ্রম দুরীভূত হইতে পারে। প্রত্যেক মণিশাস্ত্রেই রত্নের পরিকল্ম করিবার কথা আছে । মহষি অগস্ত্য, রয়ের ‘ছেদন” ও “উল্লেখন” করণের কথা স্পষ্টাক্ষরে ব্যক্ত করিয়াছেন । সে সকল দেখিলে কোন অজ্ঞান না রত্নশিল্পের প্রাচীনত স্বীকার করিবে ?

  1. বজ্ৰং মুক্ত{প্রবালঞ্চ গোমেদশ্চেন্দ্ৰনীলক: । বৈদুৰ্য্যঃ পুষ্পপ্পাগশ্চ পাচিৰ্ম্মাণিক্যমেবচ । মহরিত্নানি চৈতানি নব প্রোক্তানি রিভিঃ ॥ + ‘পুষ্পরাগঞ্চ বৈদুৰ্য্যং গোমেম্বঃস্ফটিক প্ৰভম্। পঞ্চোপরত্নমেতেষাং প্রশ্বালং-” { "রঞ্জানং পরিকস্মাৰ্থং মূল্যং তস্ত ভবেল্লঘু। ছেদনোল্লেখনৈশ্চৈব স্থাপনে শোভকৃৎ যখ৷ ”

অগস্তিমতম্।