প্রতিষ্ঠিত - گسسته ు --~~స* $*** সন ১২৯৩ সালে "مس سیاسی استانهای تهران به عسیس মুক্ত । এদেশে যখন একমাত্র দেবভাষী সংস্কৃতের প্রাবল্য ছিল, তখন হইতে ‘রত্ন” শব্দটি চলিয়া অসিতেছে। ংস্কৃতশাস্ত্র আলোচনার দ্বারা জ্ঞাত হওয়া যায় যে, পূৰ্ব্বাচার্য্যের হুইপ্রকার অর্থে “রত্ন” শব্দের সঙ্কেত বন্ধন করিয়া গিয়াছেন এক, সামান্যতঃ উৎকৃষ্ট বস্তুর উপর, দ্বিতীয়, উৎকৃষ্ট প্রস্তরের উপর । উক্ত দ্বিবিধ বস্তুর উপরেই রত্বের প্রয়োগ দেখা যায় । “জাতে জাতে যছৎকৃষ্টং তদ্ধি রত্নং প্রচক্ষতে ” প্রত্যেক জাতীয় বস্তুর মধ্যে যেটা উৎকৃষ্ট সেইটিই রত্ন । যথা—স্ত্রীরত্ন, পুরুষরত্ন, অশ্বরত্ন, বিদ্যারত্ন ইত্যাদি। ‘রত্নস্তু মণিভেদেন্তাৎ’ মণিবিশেষের সহিতও রত্নশব্দের সঙ্কেত বাধা আছে । রত্নশব্দের এই দ্বিতীয় অর্থের বিবরণ ব্যক্ত করাই অামাদের উদ্দেশ্য এবং সেই জন্যই আমরা উপরে ‘রত্নরহস্য” মুকুট স্থাপন করিলাম । এক সময়ে ভারতবর্ষবাসিদিগের মনে যে কি পৰ্য্যন্ত প্রস্তরপরীক্ষাবিষয়ক অনুসন্ধিৎসা প্রবল হইয়াছিল, এই প্রস্তাব পাঠ করিলে পাঠকবর্গ তাহ উত্তমরূপ অবগত হইতে পরিবেন। অগ্নিপুরাণোক্ত রত্নপরীক্ষা প্রকরণে অনেক প্রকার রত্নের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যথা—বজ, মরকত, পদ্মরাগ, মৌক্তিক বা মুক্ত, ইন্দ্রনীল, মহানীল বৈদূৰ্য্য, গন্ধশস্য, চন্দ্রকাস্ত, স্বৰ্য্যকান্ত, স্ফটিক, পুলক, কর্কেতন, পুষ্পরাগ জ্যোতীরস, রাজপট্ট, রাজময়, সৌগন্ধিক, গঞ্জ, শঙ্খ, গোমেদ, রুধিরাখ্য, ভল্লাতক, ধূলী, তুখক, সীস, পীলু, প্রবাল, গিরিবঞ্জ, ভুজঙ্গমণি, বজমণি, টিটিভ, পিণ্ড, ভ্রামর উৎপল । ( অগ্নিপুরাণ, ২৪৫ অধ্যায় দেখ 1) ফল, রত্নপদবাচ্য যত প্রকার মণি আছে তন্মধ্যে নয়টি প্রধান । এই জন্য অমর “নবরত্ন” নামটি সৰ্ব্বদ শুনিতে পাই । তদযথা
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।