রত্ন-রহস্ত । ు শুক্রনীতি, বৃহৎসংহিতা প্রভৃতি প্রাচীন ও প্রাচীনতর গ্রন্থেও ইহার ভূরি প্রমাণপ্রয়োগ দৃষ্ট হয়। বিশেষতঃ ভোজরাজকৃত “যুক্তিকল্পতরু” গ্রন্থে কিছু অধিক পরিমাণে দৃষ্ট হয়। yস্তার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুর এই যুক্তিকল্পতরু গ্রন্থ হইতে মুক্তাবিষয়ক অনেক প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া কল্পদ্রুম অভিধানে সন্নিবেশিত করিয়াছেন। পাঠকবর্গের গোচরার্থ পুস্তকগুলির অগ্রে পরিচয় দিলাম, এক্ষণে মুক্তার আকর বা উৎপত্তিস্থান গুলি বলিব । “মাতঙ্গোরগমীনপোত্রিশিরসত্ত্বকসারশঙ্খাস্তু ভূং। শুক্রীনামুদরাচ্চ মৌক্তিকমণিঃ স্পষ্টং ভবতাষ্টধা ।” যুক্তিকল্পতরু । (১) মাতঙ্গ—হস্তী । (২) উরগ-সপ। (৩) মীন-মৎস্য । (৪) পোস্ত্রী— শূকর। (৫) স্বকৃপার—বশি । (৬) শঙ্খ-শাথ । (৭) অস্তুভূৎ—মেঘ। (৮) গুক্তি-ঝিনুক । ভাবপ্রকাশ গ্রন্থে এইরূপ লিখিত আছে— “শঙ্খোগজশ্চ ক্রোড়শ্চ ফণী মৎস্যশ্চ দত্রেঃ । বেণুরেতে সমাখ্যাত। তজ জ্ঞৈৰ্ম্মেীক্তিকযে নয়; ॥” ভাবপ্রকাশ । (১) শঙ্খ-শাথ । (২) গজ-হস্তী। (৩) ক্রোড়–ঝিনুক । (৪) ফণী—সপ। (৫) মৎস্ত–মাছ । (৬) দদুর-ভেক । (৭) বেণু-বাশ । মল্লিনাথ অন্য একটি বচনের উল্লেখ করিয়াছেন। যথা— “দ্বিপেন্দ্র জীমূত বরাহ শঙ্খ মৎস্যাহি শুক্ত দ্বিবৰেণুজানি। মুক্তফলানি প্রথিতানি লোকে তেৰাস্তু শুক্ত স্তবমেব ভূরি।” (১) দ্বিপেন্দ্ৰ—জাত্যহস্তী । (২) জীমূত—মেঘ । (৩) বরাহ-পূকর। (৪) শঙ্খ–শাখ। (৫) মৎস্ত-মাছ । (৬) অহি-সপ। (৭) গুক্তি-ঝিনুক । (৮) বেণু-বঁশি । এই সকল স্থান হইতে মুক্ত জন্মে এইরূপ প্রসিদ্ধ আছে বটে ; পরস্তু শুক্ত,স্তব মুক্তাই বহু উৎপন্ন হয়। স্তার রাজা রাধাকান্ত দেব অন্য আর একটা বচন উল্লেখ করিয়াছেন। যথা— “গজাহিকোলমৎস্তানাং শীর্ষে মুক্তাফলোদ্ভবঃ । ত্বকসারগুক্তিশঙ্খানাং গর্ভে মুক্তাফলোদ্ভবঃ ” হস্তী, সৰ্প, শূকর ও মৎস্যের মস্তকে মুক্তামণি জন্মে এবং বঁশি, ঝিনুক ও শাখের উদরে জন্মে। এই সকল বচনের মধ্যে মল্লিনাথের ধৃত বচনটীতেই ১৭১
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।