রত্ন-রহস্য । .* মীনজমুক্তার লক্ষণ এই যে, তিমিমৎস্যজাত মুক্তাসকল স্থূলতায় গুঞ্জ অর্থাৎ কুঁচের ন্যায়, লঘু অর্থাৎ হালকা, পাটলা পুষ্পের ন্তায় কাস্তিমান, কিন্তু তাহার ছাতি বা ছায়া অল্প । ইহার বর্জ লতা অতি সুন্দর। মীনমুক্তার সামান্ত লক্ষণ এই বটে ; কিন্তু মংস্যদিগের প্রকৃতিভেদ থাকায় তদুৎপন্ন মুক্তফলে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ প্রভেদ হইয়া থাকে। যথা— “বাতপিত্তকফদ্বন্দ্বসন্নিপাত প্রভেদত: | সপ্তপ্রকৃতয়ে মীনাঃ সপ্তধা তেন মৌক্তিকম্।।” গরুড় পুরাণ । বায়ু, পিত্ত, কফ, এতন্ত্রয়ের দুই দুই ও তিন তিন ক্রমে মৎস্য সকল সপ্ত প্রকার প্রকৃতি সম্পন্ন হইয়া থাকে । সুতরাং তদ্যুৎপন্ন মুক্তও সপ্ত প্রকার প্রভেদযুক্ত হয়, ইহা নিণাত হইয়াছে। সেই প্রভেদ এইরূপ— “লঘিষ্ঠমরুণং বাতাৎ আপীতং মৃদু পিত্ততঃ। শুক্লং গুরু কফোন্দ্রেকাৎ বাতপিত্তান্মুছলঘু। বাতশ্লেষ্মভবং স্থলং পিত্তশ্লেষ্মজমচ্ছকম্। সৰ্ব্বলিঙ্গ প্রয়োগেণ সান্নিপাতিকমুচ্যতে । একজt: শুভদাঃ প্রোক্তাস্তথা বৈ সান্নিপাতিকাঃ ॥” বাতাধিক্য বশতঃ লঘু ও অরুণাভ হয়। পিত্ত প্রাধান্য হেতু মৃদু ও ঈষৎ পীতবর্ণ হয়। কফের বাহুল্যে গুরু ও শ্বেতাভ হইয়া থাকে। বাতপিত্ত উভয়ের প্রবলে মৃদু অর্থাৎ কোমল ভাবাত্রাস্ত এবং লঘু হয়। বাত, শ্লেষ্ম, উভয়ের প্রাবল্যে কিছু স্থলাকার হয় এবং পিত্তশ্লেষ্মজাত হইলে স্বচ্ছতার আধিক্য হয়। এক একটা ও দুই দুইট প্রকৃতিতে যে সকল লক্ষণ নির্দেশ করা হইল, ইহার সকল চিহ্ন যদি কিছু না কিছু পরিমাণে দৃষ্ট হয়, তবে তাহ সান্ত্রিপাতিকজ বলিয়৷ গণ্য করিতে হইবে। এই সকলের মধ্যে সান্নিপাতিকজ এবং একজ মুক্তাই প্রশস্ত শু শুভদায়ক । ş°: বরাহমুক্ত বা শূকরমতি । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, শূকরও একটা মুক্তর আকর। সপের ফণার, মৎস্যের মস্তকে, হস্তীর দপ্তকোষে যেমন পাথর জন্মে তেমনি শূকরের দস্তকোষেও
- १*