রত্ন-রহস্ত । * : ম্পর্শ অতি কর্কশ । শুক্লপীতবর্ণ বরাহ বৈশ্যজাতীয় এই মুক্তার গঠন কুলফলের স্তায় । শুক্লকৃষ্ণ বর্ণ হইলে তাহ শূদ্রজাতীয় । এ মুক্তার বর্ণ নীল ও স্পর্শ কর্কশ । কুলফলের ন্যায় গঠন ও নবোদগত বরাহদস্ততুল্য বর্ণবিশিষ্ট সুন্দর বরাহ-মুক্ত অতি দুলভ। অপুণ্যবান মনুষ্যের ইহা পায় না । বেণুজ-মুক্ত । বেণু অর্থাৎ বাশ। ইহার অন্ত নাম ত্বক্সার। এই ত্বক্সার বা বাশে একপ্রকার পাথর জন্মে। বশে যে পাথর জন্মে তাহ৷ সপ্রমাণ করিবার জন্য অধিক প্রয়াস পাইতে হয় না। শাল ও সেগুন কাষ্ঠে যে প্রস্তর জন্মে তাহ অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন । শীল সেগুনে যেমন পাথর জন্মে তেমনি ধাশেও পাথর জন্মে। সেই বেণুজ-প্রস্তরই মুক্ত নাম পাইয়াছে । - লক্ষণ । “বর্ষেপিলানাং সমবর্ণশোভং ত্বক্সারপৰ্ব্বপ্রভবং প্রদিষ্টম । তে বেণবে দিব্যজনোপভোগ্যে স্থানে প্ররোহস্তি ন সাৰ্ব্বজন্তে ॥ কল্পদ্রুম | ত্বক্সার অর্থাৎ বংশের পর্বে অর্থাৎ গ্রন্থি প্রদেশে যে মুক্তাফল জন্মে, তাহ বর্ষোপলের ( শিলের ) ন্যায় বর্ণ ও শোভাবিশিষ্ট হয়। মুক্তাকর বশে সকল স্থানে জন্মে না। কেহ কেহ বলেন যে, স্বৰ্গীয় পুরুষদিগের উপভোগযোগ্য স্থানসমূহে জন্মিয় থাকে। কেহ কেহ “বংশলোচন’-কেই বেণুজ-মুক্ত বলেন, বস্তুতঃ তাহা সত্য নহে। কেননা, বৃহৎসংহিতাগ্রন্থে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, বেণুজ-মুক্ত মুক্তার ন্যায়। যথা— “কপুরস্ফটিকনিভং চিপিটং বিষমং বেণুজং জ্ঞেয়ম।” বেণুজ-মুক্ত কপূর স্ফটিকের ন্যায় প্রভাযুক্ত, পরস্তু কিছু চ্যাপটা। বিষম অর্থাৎ স্বগোল নহে। ঠিক এইরূপ অর্থের অন্য একটা বচন কল্পদ্রমে উদ্ধৃত হুইয়াছে যথা ১৭৯
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।