ब्लङ्ग-झुङ्छ । ३१ মুক্ত মধুররস ও শীতল-গুণবিশিষ্ট, চক্ষুরোগের উপকারী, বিষনাশক রাজ্যক্ষ রোগের সমতাকারী এবং ক্ষীণ ব্যক্তির বলবীৰ্য্যপুষ্টিবৃদ্ধিকারী । এই সকল গুণ ভিষকক্রিয়ায় উক্ত হইয়াছে। ধারণের সহিত এ গুণের সম্পর্ক নাই। রত্নশাস্ত্রে এইরূপ মুক্তাসম্বন্ধীয় বহুতর গুণাগুণের বিচার দৃষ্ট হয়। গ্রন্থবৃদ্ধির ভয়ে সে সমুদায়ের উল্লেখ করা হইল না । মুক্তাসম্বন্ধীয় যে সকল দোষের উল্লেখ আছে, তম্ভাবতের মধ্য হইতে অগ্রে গরুড়পুরাণোক্ত কয়েকটি প্রধান দোষের বর্ণনা করা যাইতেছে। মুক্তাসম্বন্ধে যে সমস্ত দোষ আছে, তন্মধ্যে ৪টি মহাদোষ, ৬টি মধ্যম দোষ, তদ্ভিন্ন দুই একটি ক্ষুদ্র দোষও আছে। যথা— “চত্বরঃ সু্যমহাদোষঃ ষন্মধ্যাশ্চ প্রকীৰ্ত্তিতাঃ । এবং দশ সমাখ্যাতাস্তেষাং বক্ষ্যামি লক্ষণম্।” “শুক্তিলগ্নশ্চ মৎস্তক্ষোজঠরঞ্চাতিরক্তকম্। ত্রিবৃত্তঞ্চ চিপীটঞ্চ ত্র্যশ্ৰং ক্লশকমেব চ। কৃশপাশ্বমবৃত্তঞ্চ মৌক্তিকং দোষবস্তুবেৎ ॥” মুক্তাসম্বন্ধে চারিটি মহাদোষ এবং ছয়টি মধ্যম দোষ আছে । সৰ্ব্বসমেত দশটি দোষ রত্নপরীক্ষকগণ কর্তৃক সমাখ্যাত হইয়াছে। সেই দশটি দোষের নাম ও লক্ষণ যথাক্রমে বলা যাইতেছে। শুক্তিলগ্ন, মৎস্তাক্ষ, জরঠ বা জঠর ও অতিরক্ত ; এই চারিটি মহাদোষ বলিয়া গণ্য। ত্রিবৃত্ত, চিপীট, ত্র্যশ্র, কৃশ, কৃশপাশ্ব ও অকৃত্ত,—এই ছয়প্রকার দোষ মধ্যম বলিয়া খ্যাত। প্রথমোক্ত গুক্তিলগ্ন ও মৎস্তাক্ষ প্রভূতির লক্ষণদি কিরূপ, তাহা সেই গরুড়পুরাণেই নির্দিষ্ট আছে। যথা— ১ শুক্তিলগ্ন— “ঘত্ৰৈকদশে সংলগ্নঃ শুক্তিখণ্ডে বিভব্যতে । শুক্তিলগ্নঃ সমাখ্যাত: স দোষং কুষ্ঠকারক: ॥” যে মুক্তার কোন এক প্রদেশে বা কোন এক অংশে ভগ্নগুক্তিথও (ঝিনুকের শন্ধ ) সংশ্লিষ্ট থাকে, তাহ “গুক্তিলগ্ন’ নামে খ্যাত এবং তাহা কুণ্ঠরোগের আকর্ষক । h 羚@
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।