রত্ন-রহস্ত । وم নিম্প্রয়োজন। এ বিধায় অবগু জ্ঞাতব্য স্থল স্থল বিষয়গুলি সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হইল। পূৰ্ব্বে যে, মধ্যে মধ্যে মুক্তাসম্বন্ধীয় ছায়,ও কাস্তির কথা বলা হইয়াছে, এক্ষণে তাহারই বর্ণনা করা আবগুক হইতেছে । কাস্তির ও ছায়ার প্রভেদ এই ষে, মুক্তার লাবণ্যবিশেষের নাম “কান্তি" আর বর্ণবিশেষের নাম “ছায়া” । "ভরতরস প্রকরণ’ নামক গ্রন্থে মুক্তাফলের কাস্তির সহিত স্ত্রীশরীরের লাবণ্যের উপমা দিয়া কান্তিশব্দের অর্থ বুঝান হইয়াছে। সেই গ্রন্থে বলা হইয়াছে যে, মুক্ততে যে এক প্রকার টলটলে চিকণভাব দৃষ্ট হয়, তাহাই স্ত্রীশরীরের লাবণ্য। অতএব, উক্ত দৃষ্টাস্তের দ্বারা পাঠকগণ বুঝুন যে, মুক্তার কাস্তি কি । ফল লাবণ্যের নাম কান্তি, আর বর্ণের নাম ছায়া । সেই ছায়া চারি প্রকার ; যথা— “চতুধর্ণ মৌক্তিকে ছায়া পাতা চ মধুর সিতা । নীল চৈব সমাখ্যাত রত্নতত্ত্বপরীক্ষকৈঃ ॥” “পীতা লক্ষ্মী প্রদা ছায়। মধুরা বুদ্ধিবন্ধিনী । শুক্ল ষশস্করী ছায়া নীল সৌভাগ্যদয়িনী ॥” “সিত ছায়া ভবেদ্বিপ্রঃ ক্ষত্রিয়শ্চর্করশ্মিমান । পীতচ্ছায়া ভবেৎ বৈশ্যঃ শূদ্রঃ কৃষ্ণরুচিৰ্ম্মতঃ ।” বর্ণের স্মরণের নাম ছায়। সৰ্ব্বসমেত মুক্তার চারি প্রকার ছায়া বা বর্ণস্ফুরণ নিদিষ্ট আছে। পীত, মধুর, (পিঙ্গলপ্রায় ), শুভ্র ও নীল। রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা এই চারি প্রকার মুক্তছিয়া বলিয়া গিয়ছে। তন্মধ্যে পীতচ্ছায়। স্ত্রীসম্পত্তি আনয়ন করে। মধুর ছায়াট বুদ্ধিবৃদ্ধি করে। শুক্ল যশঃ প্রদান করে ; এবং নীল সৌভাগ্য দান করে। মুক্তাসম্বন্ধে প্রধান প্রধান বক্তব্য সকল বল হইল, এক্ষণে “বেধকাৰ্য্য” ও “মূল্যকল্পনা” বলিতে হইবে । «..................*•* বেধকাৰ্য্য বা বিদ্ধ করিবার বিধি । মুক্তাকে এক প্রকার প্রস্তর বলিলেও বলা যায়। মুক্ত অতি কঠিন পদার্থ; সুতরাং তাছার বেধকাৰ্য্য সহজসাধ্য নহে। ইচ্ছা করিলেই যে ইচ্ছামত ছিদ্র করিবে তাহা পরিবে না। অগ্রে প্রক্রিয়া বিশেষ দ্বারা কোমল করিয়া লইতে হইবে পশ্চাৎ বিদ্ধ করিতে হইবেক । কোমল করিবার প্রণালী এইরূপ — t sir
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।