পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । סאבא কৃত্রিমতা-পরীক্ষা । মুক্ত অতি মূল্যবান ও সুন্দর পদার্থ। ভারতবাসীরা ইহাকে মহারস্তু বলিয়া আদর করিয়া থাকেন। আদর ও মূল্যের আধিক্য দেখিলেই ধনপিপাস্থগণের লোভ বৃদ্ধি হয়। তৎসঙ্গে তাহার কৃত্রিমতাও ঘটে। মুক্তাও মূল্যবান ও আদরের বস্তু বলিয়া দুষ্টলোকেরা তাহা কৃত্রিম করিয়া থাকে। যুক্তিকল্পতরুকার ভোজদেব লিথিয়াছেন যে, সিংহলদেশের কৌশলী মনুষ্যেরা অতি আশ্চৰ্য্য কৃত্রিম মুক্ত প্রস্তুত করিয়া ক্রেতাদিগের মনোহরণ করিয়া থাকে । তাহার কাচের ন্যায় শুভ্ৰ “তার’ অর্থাৎ রজতে তৎশতাংশ হেম ( সুবর্ণ) যোগ দিয়া পারদমধ্যে রক্ষাকরতঃ এক প্রকার মুক্ত প্রস্তুত করিয়া থাকে। সে মুক্ত দেহভূষণমাত্র, ফলফল কিছু নাই । যুক্তিকল্পতরু বলেন, মুক্তায় যদি কৃত্রিমতা সন্দেহ হয়, তবে তাহার পরীক্ষার্থ এইরূপ প্রক্রিয়ার আশ্রয় লওয়া অবিশুক । যথা— “যস্মিন কৃত্রিমসন্দেহ: কচিদ্ভবতি মৌক্তিকে । উষ্ণে সলবণে স্নেহে নিশাং তদ্বসিয়েজলে ॥ ব্রীহিভিন্মদিনীয়ং বা শুষ্কবস্ত্রোপবেষ্টিতম্। যত্ত্ব, নায়াতি বৈবৰ্ণাং বিজ্ঞেয়ং তদকৃত্রিমম্। যদি কোন মুক্ত কৃত্রিম বলিয়া সন্দেহ হয়, তবে তাহা জলে ও উষ্ণ সলবণ স্নেহে অর্থাৎ লবণাক্ত তৈল কিম্বা ঘৃত প্রভৃতির মধ্যে একরাত্র রাখিয়া দেখিবেক । অথবা শুষ্কবস্ত্রের মধ্যে রাখিয়া ধান্তদ্বারা ঘর্ষণ করিবেক । এইরূপ করিলে যদি বিবর্ণ না হয় তবেই সে মুক্ত অকৃত্রিম নচেৎ কৃত্রিম বলিয়া জানিবে । “ব্যাড়ির্জগাদ জগতাং হি মহাপ্রভাবঃ সিদ্ধোবিদগ্ধোহিততৎপরয় দয়ালুঃ ” সিংহলীয় শিল্পীরা যেমন নানা উপাদানে কৃত্রিম মুক্ত প্রস্তুত করিতে পারিত, তেমনি বাড়ি প্রভৃতি মুনিরাও তাহার নানাপ্রকার পরীক্ষা করিতে পারিতেন। কল্পক্রমধৃত যুক্তিকল্পতরুগ্রন্থে কৃত্রিম মুক্তাপরীক্ষাসম্বন্ধে অন্ত কয়েকটি বচন লিখিত হইয়াছে। কৰ্ত্তব্যবোধে এ স্থানে সেগুলিও প্রদত্ত হইল। যথা— • “শ্বেতকাঁচসমং তার হেমাংশশতযোজিত । রসমধ্যে প্রধার্য্যেত মৌক্তিকং দেহভূষণম্। এবং হি সিংহলে দেশে কুৰ্ব্বস্তি কুশল জনাঃ"-ইত্যাদি । গরুড়পুরাণ দেখ।