রত্ন-রহস্ত । - 8సి সম্প্রতি পূৰ্ব্বোৰু “জাত্য-মাণিক্য" শব্দের অর্থ নিৰ্ব্বাচন ও পরীক্ষা প্রদর্শন করা যাইতেছে । + মণিমাত্রেরই জাতি আছে। তাছা গুণ অনুসারেই অবধারিত হয়। কি কি গুণে জাতি ও কি কি গুণের অভাবে বিজাতি বলা যায়—তাহ উদ্ধৃত করা যাইতেছে। “মাণিক্যং কষঘর্ষণেহপ্যবিকলং রাগেণ জাত্যং জগুঃ ” রাজনির্ঘণ্ট । ইহার অর্থ পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। যুক্তিকল্পতরু বলেন,— “অপ্ৰণশ্যতি সন্দেহে শিলায়াং পরিঘর্যয়েৎ । দুষ্ট যোহত্যন্তশোভাবান পরিমাণং ন মুঞ্চতি ॥ স জ্ঞেয়ং শুদ্ধজাতিস্তু জ্ঞেয়াশ্চাদ্যে বিজাতয়: । স্বজাতকং সম্মুখেন বিলিথেৎ বা পরস্পরম্ ॥ বজ্রং বা কুরুবিন্দং বা বিমুচ্যান্তোন্তকেন চেৎ। ন শক্যং লেখনং কৰ্ত্তং পদ্মরাগেন্দ্রনীলয়োঃ ।” “যঃ শুমিকাং পুষ্যতি পদ্মরাগো ধোবা তুষাণামিব চূৰ্ণমধ্যঃ। স্নেহপ্রদিগ্ধো ন চ যে লিভাতি যোব প্রসৃষ্ট প্রজহাতি দীপ্তিম্। আক্রান্তমূদ্ধ চ তথাঙ্গ,লিভ্যং যং কালিকাং পার্শ্বগতং বিভৰ্ত্তি ॥” জাত্যমণি ? না বিজাত মণি ? এতদ্রুপ সন্দেহ দূর না হইলে তাহ কষশিলায় ঘর্ষণ করিবেক । ঘর্ষণ করিলে যদি শোভার আধিক্য হয় এবং পরিমাণ নষ্ট না হয়, তাহা হইলে তাহ জাত্য, নচেৎ বিজাত বলিয়া জানিবে । এই এক প্রকার পরীক্ষা । দ্বিতীয় প্রকার পরীক্ষা এই যে, হীরক হউক, বা মাণিক্য হউক, স্বজাতীয় দুইটী মণি মুখোমুখি করিয়া ঘর্ষণ করিবেক, অথবা একের দ্বারা অষ্ঠের গাত্র বিলেথিত অর্থাৎ আঞ্চোড়িত করিবেক । জাত্য হইলে কেহ কাহারও গাত্রে বিলেথন করিতে সমর্থ হইবেক না । তৃতীয় প্রকার পরীক্ষা এই যে, যে পদ্মরাগ মণি গুমিকার পুষ্টি করে, যে মণি তুষবৎ চুর্ণমধ্য, এবং যাহাকে দেহাঙ্ক দেখায় না, মার্জন করিলে যাহার দীপ্তি নৃন হয়, অঙ্গুলিদ্বয় দ্বারা যাহার মস্তক অর্থাৎ উর্দ্ধভাগ ধারণ করিলে পার্শ্বে কালিমা অর্থাৎ কাল আভা ( কাল দাগ বা দীপ্তিহীন ছায়া ) প্রকাশ পায়, নিশ্চিত তাহ জাত্য মণি নহে, তাহ বিজাত 、象う*
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।