避冬 রত্ন-রহস্ত ।
- সম্ভেদোভিন্নমিত্যুক্তং শস্ত্রঘাতবিধায়কম ” "কর্কর কর্করাযুক্তং পশুবন্ধবিনাশরুৎ "
যুক্তিকল্পতরু। যে মাণিক্যে দুই প্রকার ছায়ার সম্বন্ধ থাকে-তাহ দ্বিচ্ছায়দোষগ্রস্ত । সেই দ্বিচ্ছায় মাণিক ধারণ করিলে বন্ধুবিনাশ হয়। যাহাতে পদচিহ্ন থাকে-তাহ দ্বিরূপদোষদুষ্ট। পদ কি ? তাহাও পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে। এই দ্বিরূপদোষগ্রস্ত মাণিক ধারণ করিলে পরাভব হয়। ভিন্ন অর্থাৎ ভঙ্গ হইলে সম্ভেদ বলে । সম্ভেদ মাণিক্য ধারণ করিলে অস্ত্রাঘাতে মৃত্যু হয়। কর্কর অর্থাৎ কাকরদার। কঁকিল্লারদার মাণিক ধারণ করিলে পশুনাশ, বন্ধন ও বংশনাশ ঘটনা হয় । “ফুগ্ধেনেব সমালিপ্তমঘনীপুটমুচ্যতে। অশোভনং সমুদিষ্টং মানিক্যং বহুদুঃখকৃৎ ।” “মধুবিন্দুসমাচ্ছায়ং কোকিলং পরিকীৰ্ত্তিতম্। আযুলক্ষ্মীর্যশোহস্তি সদোষং তন্ন ধারয়েৎ ” "রাগহীনং জলং প্রোক্তং ধনধান্তাপবাদকৃৎ । ধূম্রং ধূমসমাকারং বৈদ্যুতং ভয়মাবহেৎ ।” অর্থ এই যে, যে পদ্মরাগ দুগ্ধলিপ্তের ন্যায় দেখায়—তাহা অশোভনদোষাক্রাস্ত । এই অশোভন মাণিক ধারণে বহুপ্রকার দুঃখ জন্মে। যাহাতে মধুবিন্দুর ন্যায় অর্থাৎ মধুর ছিটার ন্যায় দাগ দৃষ্ট হয়—তাহ কোকিল । কোকিল মাণিক্য ধারণে আয়ু, লক্ষ্মী ও যশ নষ্ট হয় ; সুতরাং তাহ ধারণ করিবে না । যাহার রাগ বা রক্ততা নাই অথবা অল্পরক্তিম—তাহার নাম জল । এই জল-মাণিক ধারণে ধন-ধান্তাদি নষ্ট হয় । যাহাতে ধুত্রের আভা দৃষ্ট হয় তাহ ধূম্র। এই ধূম্ৰ-মাণিক্য ধারণ করিলে বজ্রভয় হয়। গ্রন্থান্তরে অন্যপ্রকার উক্তি আছে ; যথা
- "শোভাদ্বিতযুবস্তে যে মণয়ঃ ক্ষতিকারকাঃ । উভয়ত্র পদং যেষাং তেন চ স্থাৎ পরাভবঃ । ভিল্লেন যুদ্ধে মৃত্যুঃ স্তাৎ কর্করং ধননাশকৃৎ । দুগ্ধেনেৰ সমালিপ্তঃ পুটকে যন্তু সম্ভবেৎ।
হঃখকুৎ স সমাখ্যাতে ন নৃপৈ রক্ষণায়ক । &**