శ్రీ శ్రీ ' } রত্ন-রহস্য । “যে তু রাবণগঙ্গায়াং জায়ন্তে কুরুবিন্দকাঃ। পদ্মরাগ, ঘনং রাগং বিভ্রাণাঃ সঙ্কুটাৰ্চিয় । বর্ণনুযায়িনস্তেষামন্ধ দেশে তথাপরে। ন জায়ন্তে তু যে কেচিৎ মূল্যলেশমবাপ্ল যুঃ। তথৈব স্ফটিকোথানাং দশে তুম্ব সংজ্ঞকে। সধৰ্ম্মণ: প্রজায়স্তে স্বল্পমূল্য হি তে স্থতা: ॥” কুরুবিন্দের মধ্যে যাহার দীপ্তি মৃঢ় তাহাই স্ফটিকোস্তব স্থানে জন্মে। রাবণ গঙ্গা নামক স্থানে, যে সকল কুরুবিন্দ জন্মে, তাহার নিবিড় রক্তবর্ণ ও পরিষ্কার প্রভাযুক্ত। অন্ধ দেশে অন্য একপ্রকার পদ্মরাগ জন্মে : তাহ রাবণগঙ্গাজাত পদ্মরাগের বর্ণের অনুরূপ বর্ণযুক্ত নহে এবং তাহার মূল্যও অল্প। সেইরূপ, স্ফটিকাকর তুন্থরদেশোদ্ভব পদ্মরাগও অল্পমূল্য ; কিন্তু তাহ দেখিতে তৎসমধৰ্ম্মী হইয়া থাকে । মাণিক্যরত্নের জতিনির্ণয় । রত্নতত্ত্ববেস্তৃগণ প্রায় সকল রত্বেরই চারি প্রকার জাতি কল্পনা করেন। তাছাও আবার ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈষ্ঠ ও শূদ্র,—এই চারি নামে নিদিষ্ট । এরূপ জাতিকল্পনার মূল কি ? তাহ আমরা জ্ঞাত নহি । চিন্তা করিয়াও বোধগম্য করিতে পারি না। যাহাই হউক, মাণিক্যরত্বের জাতি,--যাহ রত্নশাস্ত্রে উল্লিখিত আছে,— তাহার কিয়দংশ এস্থলে উদ্ধৃত করিয়া পাঠকবর্গের কৌতুহল চরিতার্থ করিব। “মাণিক্যস্ত প্রবক্ষ্যামি যথা জাতিচতুষ্টয়ম্। ব্ৰহ্মক্ষত্ৰিয়বৈপ্তাশ্চ শূদ্রাশ্চাথ যথাক্রমম ॥” “রক্তশ্বেতো ভধেদ্ধি প্রস্তুতিরক্তস্থ ক্ষত্ৰিয়ঃ। রক্তপাতোভবেদ্বৈপ্তে রক্তনীলস্তথাস্ত্যজঃ ” অর্থ এই যে, যে প্রকারে মাণিক্যরত্বের জাতিচতুষ্টয় নির্ণীত হয়, তাহা বলিতেছি । ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্র, এই চারি প্রকার জাতি। যাতা রক্তশ্বেত অর্থাৎ অল্প রক্তিম—তাহ ব্ৰাহ্মণজাতীয় । যাহা অত্যন্ত লোহিত—তাহ ক্ষত্রিয়জাতীয়। যাঙ্গ রক্তপীত অর্থাৎ পীতাভাযুক্ত রক্তবর্ণ— তাহ বৈশুজাতীয় এবং যাহা নীল-আভাযুক্ত রক্তিম—তাহ অস্ত্যজ অর্থাৎ শূদ্রজাতীয় মাণিক্য। এই জাতিবিভাগসাধক বচনাবলির দ্বারা পূৰ্ব্বের লিখিত পীতাদি শব্দের অর্থ 芯、· - २२ 8
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।