রত্ন রহস্য । ❖ ዓ ইহার অনুরূপ করিয়া লইবেন । অর্থাৎ যেখানে পীতবর্ণ বলা হইয়াছে, সেখানে তাহা পরিষ্কার পীত নহে, পীতাভ রক্তিম, এইরূপ অর্থ হইবেক । কেননা রক্তবর্ণ মণিই যে মাণিক্য, ইহা “শোণোপল” প্রভৃতি নামদার ব্যাখ্যাত হইয়াছে। যুক্তকল্পতরুগ্রস্থে এই জাতিনিৰ্ব্বাচন সম্বন্ধে বিশেষ উক্তি আছে। যথা— “পদ্মরাগে ভবেদ্বপ্রঃ কুরুবিনস্ত বাহুজঃ। সৌগন্ধকে ভবেদ্বৈশ্যে মাংসথগুস্তথাপরে ॥” পূৰ্ব্বোক্ত পদ্মরাগমণিষ্ট বি প্রজাতীয়। কুরুবিন্দনামক মাণিক্য বহুজ অর্থাৎ ক্ষা এয়জাতীয়। সৌগন্ধি নামক মাণিক্য বৈশু জাতীয় এবং মাংসখণ্ডনামক মাণিক্য শূদ্রজাতীয় । r মাণিক্যের বর্ণের সাদৃশ্যাদি । মাণিক্যরত্নের বর্ণের প্রভেদ থাকায় উহ নানা নামে ব্যবহৃত হয় এবং তদন্ত্র সালেই জাতি, বিজাতি ও মূল্যাদির কল্পন করা হয়। অতএব মাণিক্যরত্ন সাধারণতঃ রক্তবর্ণ, ইহা স্থির রাপিয়া, তাহার প্রভেদ বুঝাইবার জন্ত, বর্ণাস্তরের সহিত সংযোগের কথা বর্ণিত হইয়ছে, ইহা বুঝতে হইবে । যথা—“রক্ত শ্বেতোভবেদ্ধি পঃ” ইত্যাদি । সেই মিশ্রবর্ণগুলির ধথার্থ ভাব ও অবস্থা বুঝাইবার জন্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের রক্তিম-বস্তুর সহিত তুলনা করিয়া কোন মণিক্যের কিরূপ রঙ তাহা বুঝান হইয়াছে। পরস্তু রত্নপরীক্ষণ আভ্যস্ত ন হইলে কেবল বচনবলির দ্বারা সে সকল প্রভেদ অনুভূত হইতে পারে না। মাণিক্য চেনা সুকঠিন । ব্যবসায়ী ব্যতীত সহস্র লেখাপড়া জানিলেও মণিকোর ভাল মন্দ নিৰ্ব্বাচনে সক্ষম হওয়া যায় না। ফল, বচনগুলি উদ্ধৃত না করলে প্রস্তাব অসম্পূর্ণ ও পাঠকবর্গের কুতুহল বিচ্ছিন্ন হইবে, ইহা ভাবিয়াই দেগুলি লিখিতে বাধ্য হইলাম। “শোণপদ্মসমাকরিঃ থদিরাঙ্গ রস প্রভ: { পদ্মরাগেদ্বিজঃ প্রোক্তশছায়াভেদেন সব্বদা ॥” “গুঞ্জ-সিন্দূর বন্ধ,ক-নাগরঙ্গসমপ্রভঃ । দাড়িমীকুসুমাভাস: কুরুবিন্দস্তু বাহুজঃ ॥” “হিস্কুলভাশোকপুষ্পভমীষৎপাতলোহিতম্। জবালাক্ষারসপ্রায়ং বৈশুং সৌগন্ধিকং বিদ্যুঃ ॥” “আরক্তঃ কাস্তিহীনশ্চ চিকুণুশ বিশেষতঃ । মাংসখণ্ডসমভাবৃেহত্ত্যঙ্গঃ পাপনাশনঃ ” 、ミー さ
পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।