পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९०२ রত্ন-রহস্ত । বলিয়া স্থির করিবেন । গুরুত্ব ও গুণ এই উভয় দ্বারাই মণির বৈজাত্য পরীক্ষা হইয় থাকে। সার কথা এই যে,— “জাত্যস্ত সৰ্ব্বেইপি মণেন জাতু বিজাতয়ঃ কাস্তিসমানবর্ণাঃ। তথাপি নানাকরণার্থমেবং ভেদ প্রকারঃ পরমঃ প্রদিষ্ট ॥” বিজাতীয় মণি সকল কি কাস্তিতে, কি বর্ণে, কোন অংশেই জাত্য মণির তুল্য হইতে পারে না। তথাপি ভিন্নতা বুঝাইবার নিমিত্ত উল্লিখিত ভেদ প্রণালীসকল উদ্দিষ্ট হইল । আ প্রণশুতি সন্দেহে শিলায়াং পরিঘর্ষয়েৎ । ঘু যোহত্যন্তশোভাবান পরিমাণং ন মুঞ্চতি।” মাণিক্য দেখিলেই তাহ জাত্য কি বিজাতীয় ? অকৃত্রিম কি কৃত্ৰিম ? এরূপ সন্দেহ হয় । সে সন্দেহ যদি অন্য কোন প্রকারে অপনীত না হয়, তবে, তাহ অন্য এক জাত্যমাণিক্যে ঘর্ষণ করিবেক । ঘর্ষণ করিলে যদি শোভা বৃদ্ধি হয়, আর পরিমাণ অর্থাৎ ওজনে হালকা না হয়, তাহ হইলে তাহ!— “স জ্ঞেয়: শুদ্ধজাতিস্তু জ্ঞেয়াশচন্তে বিজাতয়: ।” -শুদ্ধ জাতি হইবে, নচেৎ তাহা বিজাতীয় বলিয়া স্থির করিতে হইবে। পরিমাণ । মাণিক্যরত্নের আকারের ও ওজনের উচ্চসীমা কি, তাহ বলা যাইতেছে। দেখিতে কুঁচের সমান একটি মাণিক্য ওজন করিলে দশ কুঁচ, অর্থাৎ দশ রতি পর্যন্ত হইতে পারে এবং দেখিতে বিম্বফল সমান একটি মাণিক্য ওজনে দশ তোলা পৰ্য্যন্ত হইতে পারে। রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা বলেন যে, কি আকারে কি ওজনে, এতদপেক্ষ অধিক হয় এরূপ মাণিক্য কেহ কথন লাভ করেন নাই। “গুঞ্জাফল প্রমাণস্তু দশ সপ্ত ত্রিগুঞ্জকান । পদ্মরাগস্থলয়তি যথাপুৰ্ব্বং মহাগুণঃ ॥” যে পদ্মরাগ দেখিতে গুঞ্জ প্রমাণ, তাহা ১০, ৭ ও ৩ গুঞ্জার দ্বারা তুলিত অর্থাৎ ওজন হষ্টতে পারে। তাহা হইলে পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব ওজনযুক্ত পদ্মরাগই প্রশস্ত বলিয়া গণ্য। অর্থাৎ একটি গুঞ্জকার পদ্মরাগ ওজন করিলে যদি ১০ গুঞ্জ পরিমিত হয়, তাহা হইলে তাহ যত ভাল, ৭ গুঞ্জার সমান হইলে তাহা তত ভাল নহে। এই রূপ ৩ গুঞ্জীর সমান হইলে তাহ অপেক্ষা অধম বলিয়া জানিতে হইবেক । ఇరీత